ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

মেরিন ফিশ অ্যাকুরিয়ামে মুগ্ধ দর্শনার্থী

সুজাউদ্দিন রুবেল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০২, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মেরিন ফিশ অ্যাকুরিয়ামে মুগ্ধ দর্শনার্থী

সুজাউদ্দিন রুবেল, কক্সবাজার : পর্যটনের জেলাখ্যাত কক্সবাজারের ঝাউতলায় বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে তোলা হয়েছে মেরিন ফিশ অ্যাকুরিয়াম। পর্যটকদের সাগর তলের স্বাদ পাইয়ে দিতেই অ্যাকুরিয়ামটির সৃষ্টি।

নান্দনিক শিল্পকর্ম ও বৈদ্যুতিক আলোয় ঝলমলে ছোট-বড় শতাধিক অ্যাকুরিয়াম সাজানো হয়েছে সুড়ঙ্গের মতো করে । তাতে রাখা হয়েছে নানা জাতের সামুদ্রিক মাছ। এ যেন সাগরতলের মাছের রাজ্য।

সুড়ঙ্গ দিয়ে ঢুকতেই হঠাৎ হাজির হতে পারে বিশাল এক হাঙ্গর, যার ওজন প্রায় ৫০ কেজি। ছুটে আসতে পারে মানুষ খেকো মাছ পিরানহাও। তারপর দেখা মিলবে লবস্টার, কোরাল, জেলি ফিশসহ নানা মাছ। অ্যাকুরিয়ামগুলোতে রাখা হয়েছে কৃত্রিম প্রবাল। সেই প্রবালের ভেতরে রং বেরঙের মাছ সাঁতরে বেড়াচ্ছে। এ ছাড়াও আছে কচ্ছপ-কাঁকড়াসহ সাগরের গভীর তলদেশের নানা কীটপতঙ্গ।

সংশ্লিষ্টরা জানালেন, এটাই দেশের প্রথম ও একমাত্র মেরিন ফিশ অ্যাকুরিয়াম।পর্যটন শিল্প বিকাশে তাদের এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন তারা । এখানে দেখা যাবে সাগরতলের  অপরূপ প্রকৃতি।



এ অ্যাকুরিয়ামে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সমুদ্রের গভীর তলদেশে প্রাণি বসবাসের চিত্র। আছে গাছপালা লতাপাতা ফুল। ইটপাথর আর কংক্রিটে আবদ্ধ জীবনে থেকে এখানে এসে নিঃসন্দেহে মুগ্ধ হবেন দেশি-বিদেশি পর্যটক ও  দর্শনার্থী।

এখানে মা-বাবা’র সাথে ঘুরতে আসা শিশু সাবিম জানায়- সার্ক, লবস্টার, কাঁকড়া ও জেলি ফিশ দেখে সে খুবই মজা পেয়েছে। যারা আসছেন, তাদের সকলের অভিব্যক্তিই এ রকম।

প্রায় একশো কোটি ব্যয়ে বেসরকারিভাবে অ্যাকুরিয়ামটি তৈরি করেছে রেডিয়েন্ট গ্রুপ। স্বত্বাধিকারী শফিকুর রহমান চৌধুরী বলেন- ‘সাগরের তলদেশে থাকা প্রবাল, শৈবাল ও বিভিন্ন প্রজাতির মাছ রাখা হয়েছে এখানে। দর্শনার্থীরাও এগুলো বেশ উপভোগ করছেন।’

তিনি বলেন, ‘অ্যাকুরিয়ামটিতে মূলত বঙ্গোপসাগরের বিভিন্ন প্রজাতির দু’শতাধিক সামুদ্রিক মাছ সংরক্ষণ করা হয়েছে। অচেনা এবং সাগরের বিলুপ্ত প্রায় মাছও রয়েছে এখানে। এটি কেবল বিনোদনের জন্য নয়, সাগরের জীববৈচিত্র্য ও প্রাণী সম্পর্কে জানার একটি শিক্ষা কেন্দ্রও।’



কক্সবাজারের চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, ‘কক্সবাজারে এ রকম আধুনিক আরও অ্যাকুরিয়াম তৈরি হলে পর্যটক ও স্থানীয়রা সমুদ্রের তলদেশ সম্পর্কে জানতে পারবেন। এটা পর্যটকদের জন্য বিনোদনের একটি আলাদা মাত্রা যোগ করবে।’



রাইজিংবিডি/কক্সবাজার/১৩ ডিসেম্বর ২০১৭/সুজাউদ্দিন রুবেল/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়