ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘যাবজ্জীবন আশা করেছিলাম, তারপরও রায়ে সন্তুষ্ট’

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘যাবজ্জীবন আশা করেছিলাম, তারপরও রায়ে সন্তুষ্ট’

নিজস্ব প্রতিবেদক : জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার প্রধান প্রসিকিউটর দুর্নীতি দমন কমিশনের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট মোশাররফ হোসেন কাজল বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ সব আসামির যাবজ্জীবন সাজা প্রত্যাশা ছিল। তারপরও আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট।

বৃহস্পতিবার বকশীবাজার আদালত থেকে বেরিয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।

মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, খালেদা জিয়ার অপরাধ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আদালত বেগম জিয়ার বয়স ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনায় নিয়ে  মূল আসামি হওয়া সত্বেও কম সাজা দিয়েছেন। আমরা খালেদা জিয়াসহ মামলার সব আসামির যাবজ্জীবন সাজা প্রত্যাশা করেছিলাম। তারপরও আদালতের রায়ে সন্তুষ্ট।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের অর্থ আত্মসাতের মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামির ১০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।

রায় ঘোষণার সময় মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ওই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে আদালতে হাজির করা হয়।

মামলায় ১০ বছর করে যাদের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে তারা হলেন- খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমান, প্রাক্তন এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রাক্তন সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলাটি দায়ের করেন দুদক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ। ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট ওই কর্মকর্তাই খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ১২ আগস্ট মামলাটি বিচারিক আদালতে যায়।

আদালতের নথির হিসেব অনুযায়ী এ মামলায় বিচারিক আদালতে ৮ বছর ৫ মাস ২৬ দিনে মোট ২৩৬টি ধার্য তারিখে শুনানির পর রায় হলো।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/শাওন/নূর/রহমান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়