ঢাকা     মঙ্গলবার   ১৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৩ ১৪৩১

বই পড়তে উৎসাহিত করাই তাদের কাজ

এম আর লিটন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:০৯, ১৩ মার্চ ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বই পড়তে উৎসাহিত করাই তাদের কাজ

এম আর লিটন: নতুন প্রজন্ম যখন গেমস, ফেসবুক ও ইন্টারনেট নিয়ে ব্যস্ত, তখন স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সচেতনতামূলক ও সৃজনশীল কর্মকাণ্ড চলিয়ে যাচ্ছে ‘বিচ্ছুরণ পাঠক-লেখক সমাবেশ’। তরুণদের লেখালেখি ও বই পড়তে উৎসাহিত করা এই সামাজিক সেচ্ছাসেবী সংগঠনের কাজ।

‘বিচ্ছুরণ পাঠক-লেখক সমাবেশ’ ২০১৭ সালে ৮ মে মানিকগঞ্জ শহরে আত্মপ্রকাশ করে। জেলার বিভিন্ন অনার্স ও কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে সংগঠনটি গঠিত হয়। বর্তমানে সংগঠনটিতে ১১ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি রয়েছে। একজন সমন্বয়কারী, একজন সহ-সমন্বয়কারী আর বাকি সবাই কার্যকরী সদস্য। মানিকগঞ্জ শহরের রিজার্ভ ট্যাংক এলাকায় সংগঠনটির অস্থায়ী কার্যালয় অবস্থিত।

সংগঠনটির সৃজনশীল কার্মকাণ্ডের মধ্যে রয়েছে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের একাডেমিক লেখাপড়ার পাশাপাশি অন্যান্য সৃজনশীল বই পড়তে উৎসাহিত করা এবং কবিতা আবৃ্ত্তি, সুন্দর লেখা ও চিত্রকলার প্রতি আগ্রহ তৈরি করা। সংগঠনের কর্মীরা নিয়মিত পাঠচক্রের আয়োজনও করে থাকে। কর্মীরা বিভিন্ন স্কুল-কলেজে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে তাদের উল্লেখিত বিষয়ে আগ্রহী করে।
 


‘বিচ্ছুরণ পাঠক-লেখক সমাবেশ’র সমন্বয়কারী মানিকগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা ৪র্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রুমা আক্তার রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা নিয়মিত বিভিন্ন স্কুল-কলেজে যাই এবং শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলি। তাদের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইসহ বিভিন্ন বই পড়তে উৎসাহ ও লেখালেখি করতে আগ্রহী করি। আমরা তাদের বই পড়তে দেই, একটি বই পড়তে ৫-৭ দিন সময় দেই, এরপর বই নিয়ে আসি। বিভিন্ন দিবস উপলক্ষে তাদের কাছে লেখা আহ্বান করি। তারা লেখা জমা দিলে সেই লেখা ফেসবুক পেজ এবং বিভিন্ন অনলাইন পত্রিকায় প্রকাশের জন্য চেষ্টা করি। আমাদের উদ্দেশ্য সবাইকে সৃজনশীল কাজে সম্পৃক্ত রাখা।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমাদের এখানে অনেক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং এনজিও আছে। সবাই সমাজের জন্য কাজ করে কিন্তু কোনো সংগঠন বই পড়ার প্রতি এবং লেখালেখির প্রতি শিক্ষার্থীদের এভাবে উৎসাহিত করে না। আমরা সেই জায়গা থেকে চিন্তা করে কাজটি করছি। আমাদের পরিচিত বড় ভাই-বোনদের কাছ থেকে আমরা বই সংগ্রহ করছি। কিছু বই সংগঠনের সদস্যরা চাঁদা দিয়ে কিনেছে। আমাদের কাছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বইসহ বিভিন্ন বিষয়ক মোট ৩ শতাধিক বই রয়েছে।
 


‘বিচ্ছুরণ পাঠক-লেখক সমাবেশ’র সহ-সমন্বকারী মানিকগঞ্জ সরকারি দেবেন্দ্র কলেজের বাংলা ৪র্থ বর্ষের ছাত্র রুহুল আমীন রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘আমরা স্বপ্ন দেখি একটি গণমুখী বিজ্ঞানভিত্তিক ও সৃজনশীল শিক্ষা ব্যবস্থার। আমরা নিজেরা ভালো কাজে সম্পৃক্ত থাকতে চাই এবং অন্যকে সৃজনশীল কাজে যুক্ত করতে চাই। এজন্য আমাদের এই সংগঠন।’

তিনি আরো বলেন, ‘ভবিষ্যতে আমরা শহরে একটি আধুনিক লাইব্রেরি করতে চাই, যেখানে তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার থাকবে। শহরের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা নিয়মিত লাইব্রেরিতে আসবে, বই পড়বে এবং সৃজনশীল সকল তথ্যসেবা পাবে।’



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ মার্চ ২০১৮/ফিরোজ/তারা

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়