ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সামাজিক সচেতনতায় সানজিদা

বেনজির আবরার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৬, ৬ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সামাজিক সচেতনতায় সানজিদা

সানজিদা লিজা

বেনজির আবরার : আমাদের চারপাশে রয়েছেন এমন অনেক নারী যাদের কাজের কথা ভাবলেই মনে হয়- এ যেন অন্যরকম এক আবহ, অনেক দু:খকে না করে দেবার গল্প। যার কথা এখন বলবো তিনি ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, পড়াশোনা করেছেন খাদ্য ও পুষ্টি বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর। নাম সানজিদা লিজা।

ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ-এর মাধ্যমে কাজ করছেন সামাজিক নানা ইস্যুতে। নিজের এই সংগঠন সম্পর্কে জানালেন, ‘বেশ কিছু কাজের সঙ্গেই যুক্ত আছি। প্রথমেই বলতে গেলে বলতে হয় ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ (ওয়াইসিবি) এর কথা। আসলে আমার সব কাজের সূচনা এখান থেকেই। আমি ওয়াইসিবির একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা, বর্তমানে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ওয়াইসিবি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন যেখানে তরুণরা নানা বিষয় নিয়ে কাজ করছে এবং সমাজে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছে। তার মধ্যে অন্যতম- হেপাটাইটিস ও থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা, রোড হসপিটাল (সেফটি ক্যাম্পেইন), ইয়ুথ ইনফরমেশন সেন্টার এবং লাইব্রেরি, ওয়ান্ডার ওম্যান, গ্রিন আর্মি সহ তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ক নানা কর্মসূচি। ওয়াইসিবি বর্তমানে ঢাকা, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে প্রায় ৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫০ জন শিক্ষার্থীদের নিয়ে। এছাড়াও ইয়ুথ ভিলেজ নামে একটি সামাজিক ব্যবসার উদ্যোগের সহ-উদ্যোক্তা আমি। পুষ্টিবিদ হিসেবে কাজ করছি ইয়ুথ ভিলেজ- এর একটি উদ্যোগ ‘সেন্টার ফর নিউট্রিশন অ্যান্ড ওয়েলনেস’ এ। এছাড়াও ব্রিটিশ কাউন্সিল, দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট এর সঙ্গেও কাজ করছি।’

সম্প্রতি থ্যালাসেমিয়া নিয়ে কাজ করার স্বীকৃতিস্বরুপ ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশ পেয়েছে কুইন্সের পয়েন্টস অব লাইটস অ্যাওয়ার্ড।

সানজিদা সম্পর্কে জানতে চাইলে ইয়ুথ ক্লাব অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট হিমেল রহমান বললেন, ‘এত প্রাণবন্ত মেয়ের সঙ্গে এক টিমে কাজ করা সত্যিই দারুণ ব্যাপার। আমরা আজ যতটা তার অনেকাংশেই ওর অবদান রয়েছে, ওয়াইসিবি পরিবারের অন্যতম সেরা সদস্য সানজিদা।’

সানজিদার কাছে জানতে চাইলাম তার পরিবার সম্পর্কে। বললেন, ‘বাবা-মা আর ছোট বোন নিয়ে আমার পরিবার। বাবা বাংলাদেশ বিমান বাহিনীতে কর্মরত, মা গৃহিণী আর ছোট বোন আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এ ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়ছে।’

কিভাবে এত কিছু সামলাচ্ছেন? হেসে উত্তর দিলেন, ‘আসলে এত সব কিছু সামলানোর জন্য মনের ইচ্ছাশক্তি, সময় ব্যবস্থাপনা এবং যাদের সঙ্গে কাজ করছি- ওয়াইসিবি পরিবারের সদস্যরা, উপদেষ্টা ও পরিচালক পর্ষদের বড় ভাই-বোনদের সাহায্য, ভালোবাসা, অনুপ্রেরণা আমাকে সব সময় শক্তি যুগিয়ে যাচ্ছে।’

শেষে এসে সানজিদা লিজা বলেন, ‘একটা প্রশ্ন আমি যুক্ত করি?’ বললাম, ‘বলেন আপু।’ প্রশ্নটি হলো, ‘সাংগঠনিক মেয়েদের শক্তির জায়গাটা কোথায়?’ উত্তরদাতাও নিজে। বললেন, ‘আমার মনে হয়, সবার আগে নিজের ইচ্ছাশক্তি দ্বারা যোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। একটু ধৈর্য্য ধরে কারো অনুগ্রহ বা মুখাপেক্ষী না হয়ে নিজ যোগ্যতায় স্থান করে নিতে হবে।’
 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ জুন ২০১৮/ফিরোজ

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়