ভোলায় গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যাচেষ্টা

ভোলা সংবাদদাতা : ভোলার শিবপুর ইউনিয়নে আরজু বেগম নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।

রোববার ভোররাতের দিকে ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার ভোররাতে ডাক-চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে ঘরের মধ্যে মাটিতে গৃহবধূ আরজুকে গলাকাঁটা দেখতে পান। দ্রুত উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠান। এ ঘটনায় কে বা কারা জড়িত তা জানা যায়নি।

গৃহবধূ আরজু বেগম (৩৫) ওই এলাকার বাসিন্দা রাজমিস্ত্রী মো. ফরিদের স্ত্রী। আরজু বেগমের তিনটি কন্যা সন্তান রয়েছে। এরা হলো- মহিমা (১৪), মৌসুমী (৯) ও লামিয়া (৬)। তারা স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করে।

গৃহবধূর বড় মেয়ে মহিমা বলে, ‘আমার বাবা ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করে। রাত ৯টার দিকে বাবায় ফোন দেয়। ফোনে কথা বলা শেষ হলে আমরা সবাই রাতের খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যাই। আমি, মা ও ছোট দুই বোন বাড়িতে থাকি এবং সবাই এক বিছানায় ঘুমাই। আমার ছোট বোন লামিয়া ফজরের আজানের সময় “মা”, “মা” বলে কান্নাকাটি করে। তারপর আমার ও মৌসুমীর ঘুম ভেঙে যায়। এরপর পাশে তাকিয়ে দেখি মা বিছানায় নেই। ঘরের লাইট জ্বালিয়ে দেখি মা রক্তাক্ত অবস্থায় ঘরের মাটিতে পড়ে আছে। তখন আমরা ডাক-চিৎকার দেই। বাড়ির আশপাশের লোকজন ডাক-চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে মাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।’

এদিকে, মেয়ে মহিমা অভিযোগের তীর ছুঁড়েন পার্শ্ববর্তী নুরুল ইসলামের দিকে। সে জানায়, নুরুলের সাথে তাদের পূর্বে থেকে জমিজমার সমস্যা রয়েছ।

গৃহবধূ আরজুর স্বামী ফরিদ কয়েকদিন আগে আরজুকে দিয়ে ভোলা থানায় প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে একটি সাধারণ ডায়েরি করায়। জিডি করার দুই দিন পর এ ঘটনা ঘটলো।

সরেজমিনে দেখা যায়, বসতঘরের দরজা, জানালা কিছুই ভাঙা নেই। এমনকি মাটি খুঁড়ে প্রবেশের চিহ্নও নেই।

এ ঘটনায় পুলিশ এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি। যার বিরুদ্ধে অভিযোগের তীর সেই নুরুল ইসলামের (৬৫) তিন ছেলে ঢাকায় রাজমিস্ত্রীর কাজ করে।

খবর পেয়ে ভোলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ছগির মিঞা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




রাইজিংবিডি/ভোলা/১৫ জুলাই ২০১৮/ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন/সাইফুল