ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

আমারে দেবো না ভুলিতে...

শাহ মতিন টিপু || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ২৮ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আমারে দেবো না ভুলিতে...

শাহ মতিন টিপু: আমি চিরতরে দূরে চলে যাবো। তবু আমারে দেবো না ভুলিতে... এমন অসংখ্য নজরুল গীতি বিখ্যাত হয়ে আছে বরেণ্য শিল্পী ফিরোজা বেগমের কন্ঠে। গানের মতোই তিনি আজো দূর আকাশের তারা হয়ে জ্বলে রয়েছেন।

নজরুলসঙ্গীত আর ফিরোজা বেগম যেন এক ও অভিন্ন। এ কথা বললে ভুল হবেনা যে, নজরুল সঙ্গীতে সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশে তিনি আজো সবাইকে ছাড়িয়ে। এই মহান শিল্পীর জন্মদিন আজ।

১৯৩০ সালের ২৮ জুলাই গোপালগঞ্জের রাতইল ঘোনাপাড়া গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম জমিদার পরিবারে তার জন্ম। বাবা খান বাহাদুর মোহাম্মদ ইসমাইল এবং মা বেগম কওকাবুন্নেসা।

শৈশবেই তার সঙ্গীতের প্রতি অনুরাগ। দশ বছর বয়সে ফিরোজা বেগম কাজী নজরুলের সান্নিধ্যে আসেন এবং তার কাছ থেকে তালিম নেন। নজরুলের গান নিয়ে প্রকাশিত তার প্রথম রেকর্ড বের হয় ১৯৪৯ সালে। নজরুলসঙ্গীত ছাড়াও তিনি আধুনিক গান, গজল, কাওয়ালি, ভজন, হামদ ও নাতসহ বিভিন্ন ধরনের সঙ্গীতে কন্ঠ দিয়েছেন।
 


তিনি ১৯৫৫ সালে বিয়ে করেন সে সময়ের খ্যাত সুরকার, গায়ক ও গীতিকার কমল দাশগুপ্তকে। ১৯৭৪ সালের ২০ জুলাই কমল দাশগুপ্ত মৃত্যুবরণ করেন। এ দম্পতির তিন সন্তান- তাহসিন, হামীন ও শাফীন। হামিন ও শাফিন দুজনই সঙ্গীতশিল্পী।

উপমহাদেশের বিখ্যাত এই শিল্পীর ৮৮তম জন্মবার্ষিকীকে আজ গুগলও স্মরণ করছে। হোমপেজ খুললেই গুগল ডুডলে ভেসে উঠছে তার সোনালি ছবি। ডুডলে ক্লিক করলেই ফিরোজা বেগম সংক্রান্ত তথ্য পাতায় নিয়ে যাচ্ছে।

কাজী নজরুল অসুস্থ হওয়ার পর ফিরোজা বেগম নজরুলসঙ্গীতের শুদ্ধ স্বরলিপি ও সুর সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তিনি ৩৮০টির বেশি একক সঙ্গীতানুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।

সঙ্গীতে অসাধারণ অবদানের জন্য ১৯৭৯ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদান করা হয় তাকে। এছাড়াও তিনি একুশে পদক, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র পুরস্কার, সত্যজিৎ রায় পুরস্কার, নাসিরউদ্দীন স্বর্ণপদক, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি স্বর্ণপদক, সেরা নজরুল সঙ্গীতশিল্পী পুরস্কার (একাধিকবার), ভারতের নজরুল আকাদেমি পদক, চুরুলিয়া স্বর্ণপদক ও বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডিলিট অর্জন করেন।

২০১২ সালের ১২ এপ্রিল তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের কাছ থেকে ‘বঙ্গ সম্মান’ পুরস্কার গ্রহণ করেন। কিডনি জটিলতায় ২০১৪ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার অ্যাপোলো হাসপাতালে মারা যান তিনি।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ জুলাই ২০১৮/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়