ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

ঋতুভেদে সুস্থতা, অসুস্থতা এবং প্রতিকার: ১ম পর্ব

মো. আমিরুল ইসলাম প্রামাণিক || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ঋতুভেদে সুস্থতা, অসুস্থতা এবং প্রতিকার: ১ম পর্ব

চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, প্রাগৈতিহাসিক যুগে রোগ-ব্যাধির প্রকোপ কম ছিল। সাধারণ রোগ-ব্যাধি ছাড়া জটিল রোগ ছিল হাতে গোনা। যেমন বাত, কুষ্ঠ এবং ক্যানসার- এরকম সামান্য ক’টি। এই অবস্থা ক্রমে ক্রমে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এ নিয়ে গবেষণা ও আবিষ্কার থেমে নেই। উপায় উদ্ভাবন হয়েছে প্রচুর কিন্তু খুব লাভ হয়নি। একটা রোগ ভালো হয়েছে তো আর একটা এসে হাজির হয়েছে। সুস্থতা, অসুস্থতা, রোগ-ব্যাধি, এর  কারণ ও প্রতিকার ইত্যাদি বিষয়ে নানা জনের নানা প্রশ্ন আছে। সেসব কারণ এবং তার প্রতিকার নিয়ে লিখেছেন মো. আমিরুল ইসলাম প্রামাণিক।

মহান আল্লাহতায়ালা তাঁর সৃষ্টির সব কিছুরই দু’টি রূপ দিয়েছেন। একটি খারাপ অপরটি ভালো। তাই ধরে নেয়া যায় যে, রোগ যেমন আছে প্রতিকারও তেমন আছে এবং তা সমানে সমান। অতএব, আমাদের শরীরটা যে যে উপাদানে তৈরি তার তারতম্য হলে আমরা অসুস্থ হই। যথাযথভাবে প্রতিপূরণের ব্যবস্থা হলে সুস্থ হয়ে উঠি। তবে, যদি হঠাৎ নতুন একটি রোগের আবির্ভাব ঘটে তখন তাৎক্ষণিকভাবে তার সমাধান পাওয়া যায় না। খানিক পরে ঠিকই তারও সমাধান খুঁজে পাওয়া যায়। এতদিন তাই হয়ে আসছে। অন্তত চিকিৎসা বিজ্ঞানীদের নতুন নতুন আবিষ্কার তারই ইঙ্গিত দেয়। আর পুরনো যেসব রোগ-ব্যাধি আছে তার সিদ্ধান্ত আগেই হয়ে আছে। মানুষ নানা উপায়ে দূর আয়ু পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেন, তবে ধুঁকে ধুঁকে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে পৌঁছান। পৃথিবী ধ্বংসের শেষ পর্যায়ে হয়তো সব কিছুরই সমাধান খুঁজে পাওয়া যাবে। কিন্তু তখন আর কারো কিছু করার থাকবে না। মানুষের জীবনে জন্ম ও মৃত্যু এটা চিরন্তন সত্য। যদি সত্যি সত্যিই মৃত্যু এসে হাজির হয়, তাহলে তা মেনে নেয়া ছাড়া অন্য কোন উপায় নেই। রোগ-ব্যাধি কেবল দুর্ভোগ বাড়ায়, আর মৃত্যু এমনি এমনিই হয়। এক্ষেত্রে পবিত্রতা এবং সচেতনতা যাবতীয় দুর্ভোগ লাঘবের একমাত্র প্রতিষেধক ধরে নেয়া যায়।

মানব কাঠামোর উপাদান এবং তার কার্যক্রম: মানুষ মাটি দিয়ে তৈরি একথা সত্য। কিন্তু শেষ অবধি তা কেবল মাটির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে নি। মাটির সাথে আরো তিনটি যথা- আগুন, পানি ও বায়ু নামক উপাদানের সংমিশ্রণ আছে। এ বিষয়ে বস্তুবাদী এম্পেদোক্লেস (খ্রিস্টপূর্ব ৪৩০)-এর যুক্তি ছিল এ রকম: ‘‘মহাবিশ্বের সবকিছু চারটি শাশ্বত ‘উপাদান’ বা ‘সবকিছুর শিকড়’ দ্বারা গঠিত হয়: এগুলো হলো- মাটি, পানি, বায়ু এবং আগুন। এই চারটি উপাদানের বিন্যাস এবং পুনর্বিন্যাস দ্বারা সমস্ত পরিবর্তন ব্যাখ্যা করা যায়। জীবনের বিভিন্ন প্রকারভেদ এই উপাদানগুলির উপযুক্ত মিশ্রণ দ্বারা সৃষ্ট হয়।’’ অর্থাৎ এসব উপাদানের সমন্বয়েই সৃষ্টি হয়েছে মানবদেহের কোষ, টিস্যু, রক্ত, অস্থি, উপাস্থি, সন্ধি ইত্যাদি নানা কিছু। এসবে আবার অন্যান্য উপাদানে ভরপুর। অন্যান্য বিজ্ঞানী এবং অনুসন্ধানকারীরা বলছেন যে, একজন মানুষের শরীরে প্রায় ৩৭ মতান্তরে ১০০ ট্রিলিয়ন কোষ থাকে। এতে আবার নিউক্লিয়াসও থাকে। এই নিউক্লিয়াসের ভেতরে আবার আরএনএ, ডিএনএ থাকে। যাদেরকে বংশগতির ধারক বা জিন বলা হয়। মানুষের সুস্থাবস্থায় এসব উপাদান তাদের নিজ নিজ কাজ স্বাধীনভাবে করে থাকে। কোনো প্রকারে স্বাধীনতা ক্ষুণ্ন হলেই ব্যতিক্রম কিছু ঘটে। যাকে আমরা রোগ বলে থাকি।

স্বোপার্জিত রোগ-ব্যাধি: মানব শরীরে আরএনএ, ডিএনএ প্রবেশ করে পূর্বপুরুষের হাত ধরে। অর্থাৎ পূর্বপুরুষের কাছ থেকে প্রায় সমপরিমাণ আরএনএ, ডিএনএ তাঁদের সন্তান-সন্তুতিদের মধ্যে কপি হয়ে যায়। এবং পূর্বপুরুষের অনেক কিছু তাতে সংরক্ষিত হয়ে যায়। মূলত সন্তান-সন্তুতিরা কতটুকু সুস্থতা উপভোগ করবে আর কতটুকু অসুস্থতা ভোগ করবে তার খানিকটা নির্ভর করে এর উপর। তবে পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে সন্তান-সন্তুতি, বিশেষ করে ছেলে অথবা মেয়ে সন্তানের সবাই এক রকম অবস্থা পায় না। প্রথম সন্তান যেমনটা পায়, দ্বিতীয় সন্তান হুবহু তেমনটা পায় না, আবার তৃতীয় সন্তান প্রথম ও দ্বিতীয় সন্তানের অনুরূপ পর্যায়ের আরএনএ, ডিএনএ পায় না। প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্নভাবে পায়, বিবর্তন বলে তো একটা কথা আছে সেটা এক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। অর্থাৎ সন্তান-সন্তুতির জন্মদানকালে পূর্বপুরুষের যিনি যে অবস্থায় থাকেন এবং ঠিক ঐ সময়ে তাঁদের মাঝে আরএনএ, ডিএনএ’র যে অবস্থা বিরাজ করে ঠিক তদ্রুপ আরএনএ, ডিএনএ সন্তান-সন্তুতিদের মধ্যে কপি হয়ে যায়। এভাবে পূর্বপুরুষদের কাছ থেকে যেসব রোগ-ব্যাধি সন্তান-সন্তুতিরা পায় তাকে স্বোপার্জিত রোগ-ব্যাধি বলে।

অর্জিত রোগ-ব্যাধি: স্বোপার্জিত রোগ-ব্যাধি ছাড়াও মানব শরীরে কিছু অর্জিত রোগ-ব্যাধির আবির্ভাব ঘটে। যা পূর্বপুরুষের কাছ থেকে পাওয়া রোগ-ব্যাধির সাথে মিল থাকতে পারে আবার নাও পারে। হতে পারে নতুন কোন রোগ-ব্যাধি। পৃথিবীতে এই দু’ভাবে পাওয়া রোগ-ব্যাধিই মানুষকে ভোগান্তির সর্বোচ্চ শিখরে পৌঁছে দেয়। সকল সুখ উপভোগ করেছেন অথবা রোগ-ব্যাধি নেই এমন মানুষ পৃথিবীতে বিরল। কেউ হয়তো একটু কম কেউ একটু বেশি, রোগ-ব্যাধি আছে এবং থাকবে অনন্তকাল। অর্জিত রোগ-ব্যাধি মানুষের নিজের কৃতকর্মের দোষে সৃষ্টি হয়।

হিপোক্র্যাটিসের দৃষ্টিভঙ্গি: রোগের উৎপত্তি সম্পর্কে চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক মহামতি হিপোক্র্যাটিস (খ্রিস্টপূর্ব ৪৬০-৩৭০) অনেক আগেই তাঁর নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরেছেন। তিনি তাঁর লেখা ‘The Sacred Disease’ বইতে লিখেছেন যে, “রোগ সৃষ্টি হয় বাহ্যিক প্রাকৃতিক, বাস্তবসম্মত এবং বিজ্ঞানভিত্তিক কারণ থেকে। তিনি মনে করতেন যে, যে কোন পরিবর্তনই রোগের কারণ। প্রধানত আহার-বিহার, কাজ-কর্মের দোষে এবং বিশেষত জলবায়ুর দোষে রোগের সৃষ্টি হয়। তিনি আরও বিশ্বাস করতেন যে, উষ্ণ, শীতল, আর্দ্র ও শুষ্ক এ ধরনের অবস্থার কোনটার বিকৃতি ঘটলেই রোগীর ধাতুগত রসসমূহ প্রভাবিত হয়ে রোগের সৃষ্টি করে। রোগীর হজম সংক্রান্ত গোলযোগের কারণ অনুসন্ধানের জন্য তিনি রোগীকে বমি করিয়ে সেই বমি পরীক্ষা করে দেখতেন। রোগের কারণ অনুসন্ধানে তাঁর বিজ্ঞানভিত্তিক দৃষ্টিভঙ্গি “হিপোক্র্যাটিস পদ্ধতি” নামে পরিচিত। স্বয়ং চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক যখন একথা বলছেন তখন আয়ুর্বেদ, ইউনানি, হোমিওপ্যাথি শাস্ত্র অন্য আর কী বলতে পারে। তাই এসব শাস্ত্রেও একই ধরনের কথা বলা হয়েছে। তবে ব্যাখ্যা-বিবৃতি হয়তো ভিন্নভাবে তুলে ধরা হয়েছে মাত্র। হিপোক্র্যাটিসের থিউরি অনুযায়ী ধারণা করা যাচ্ছে যে, জলবায়ু অর্থাৎ উষ্ণ, শীতল, আর্দ্র ও শুষ্ক এই চার অবস্থার জন্য মানব শরীরে যেসব বিকৃতি সাধিত হয় সেসব মূলত স্বোপার্জিত অবস্থা থেকে। আর আহার-বিহার এবং কাজ-কর্মের বিচ্যুতির ফলে যেসব রোগ-ব্যাধির আবির্ভাব ঘটে তা মূলত অর্জিত অবস্থা থেকে। এখানে কিন্তু ঐ সেই আগুন, পানি, বাতাস আর মাটির প্রভাব লক্ষ্য করা যায়।

হিপোক্র্যাটিসের দৃষ্টিভঙ্গির মিল-অমিল: মানবদেহের অন্যতম উপাদান আগুনের সাথে হিপোক্র্যাটিসের উষ্ণতা, পানির সাথে শীতলতা, আর্দ্রতার সাথে বাতাস এবং শুষ্কতার সাথে মাটির সাযুজ্যতা আছে। এখন এই আগুন, পানি, বাতাস এবং মাটি কিভাবে আমাদের রোগ-ব্যাধি এবং সুস্থতা ও অসুস্থতাকে প্রভাবিত করে সে কথায় আসা যাক। আসলে মানব শরীরের আগুন শরীরে প্রয়োজনীয় তাপ সৃষ্টির কাজ করে। যার জন্য শরীর গরম থাকে, সতেজ থাকে। পানি সেই তাপের সাম্যবস্থা রক্ষা করে। কম-বেশি হলে এর ভারসাম্য রক্ষায় টান পড়ে। বাতাস ফুসফুসকে সতেজ রাখে, ব্যতিক্রম হলে তাতে অসুবিধা হয়। আর মাটি থেকে অন্যান্য যা কিছুর সৃষ্টি। এর ব্যতিক্রম হলে পুরো শরীরেই সমন্বয়হীনতা দেখা দেয়। বায়ু দূষণ, পানি দূষণ, মাটি দূষণ ইত্যাদির প্রভাব যেমন পরিবেশে দেখতে পাই তেমনি শরীরেও তার প্রভাব পড়ে। বাতাস, পানি এবং আগুনের অন্যতম ধর্ম হলো সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া। আর তাই এসবের প্রভাবে মানুষ ক্রমে ক্রমে বেড়ে উঠে। এর ত্রুটি দেখা দিলে রোগ-ব্যাধিও ক্রমে ক্রমে বেড়ে উঠে। এর সাম্যাবস্থা বিরাজ করলে তখন মানুষ সুস্থ থাকেন। চার উপাদানের প্রাচুর্যতা এবং স্বল্পতায় কিরূপ সমস্যা দেখা দিতে পারে সে সম্পর্কে ব্যক্তিগত ধারণা নিচে তুলে ধরছি।

আগুনের প্রাচুর্যতা ও স্বল্পতা: ধরা যাক, কারো শরীরে আগুনের প্রাচুর্যতা আছে। এ ধরনের মানুষ তখন কার্বো-নাইট্রোজিনস ধাতুর অন্তর্ভুক্ত হবেন। কেউ এ ধাতুর কবলে পড়লে তাঁর প্রস্রাবে ক্লোরাইড ও ফসফেটের স্বল্পতা দেখা দিবে। ফুসফুস ও হৃৎপিন্ডের ক্রিয়া অনিয়মিত হবে। মৃগী রোগ ও গুটিকা পীড়া দেখা দিবে। প্রায়ই রাতের বেলায় অঙ্গ-প্রত্যঙ্গাদিতে ব্যথা-বেদনা অনুভব করবেন। তাঁর মধ্যে বিষণ্নতা, রক্তচাপের হ্রাস-বৃদ্ধি, স্ট্রোক, আলসার, বাতুলতা, সিফিলিস ইত্যাদিও দেখা দিতে পারে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও লোভী প্রকৃতির হবেন। অ্যালকোহলে আসক্ত হবেন। ব্যাভিচারি স্বপ্ন দেখবেন। গরমের সাথে কোন সখ্য থাকবে না। যা কিছু গরম তাতে অস্থির হয়ে যাবেন। আগুনের স্বল্পতা দেখা দিলে ঠিক তার উল্টো ফল দেখা দেবে।

পানির প্রাচুর্যতা ও স্বল্পতা: শরীরে যদি পানির প্রাচুর্যতা দেখা দেয় তাহলে তিনি হাইড্রোজিনয়েড কনস্টিটিউশন অর্থাৎ শ্লেষ্মাপ্রধান ধাতুর অন্তর্ভুক্ত হবেন। এতে করে বর্ষাকালে, ঝড়-বৃষ্টি, বজ্রপাত ইত্যাদি সময়ে অসুস্থতা অনুভব করবেন। জলীয় পদার্থ, স্যাঁৎসেঁতে বাসগৃহ, আর্দ্রবায়ু অসুস্থতার কারণ হবে। কিডনি, প্রস্রাব সম্বন্ধীয় গোলযোগ, যৌনতার হ্রাস-বৃদ্ধি, বন্ধাত্ব, গণেরিয়া, আঁচিল, টিউমার, মিউকাসের বৃদ্ধির শিকার হবেন। সমুদ্র, জলাশয়, নদী তীরে ভ্রমণ তাঁর জন্য নিরাপদ হবে না। কারণ, শরীরে পানির প্রাচুর্যতায় পানির সাথে সর্বদাই তাঁর শত্রুভাব পরিলক্ষিত হবে। পানি স্বল্পতায় অনেক ক্ষেত্রে উল্টো ফল বা অন্যরূপ রোগ-ব্যাধি দেখা দেবে।

বাতাসের প্রাচুর্যতা ও স্বল্পতা: কারো শরীরে যদি বাতাসের প্রাচুর্যতা দেখা দেয়, তাহলে তিনি অক্সিজিনয়েড ধাতুর কবলে পড়বেন। শরীরে বাতাসের পরিমাণ বেড়ে যাবে। ফলে টিস্যুসমূহ অতি দ্রুত ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। আমরা জানি যে, আমাদের শরীরের মধ্যে যেসব কোষ বা টিস্যু আছে তা নিয়মিত সময়ের ব্যবধানে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়, আবার নতুনভাবে কোষ তৈরি হয়। এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট সময়ের আগেই তা ধ্বংসপ্রাপ্ত হবে। ফুসফুসের জন্য বাতাসের প্রাচুর্যতা তো খুবই বিপজ্জনক। এ ধরনের মানুষের মধ্যে যে কোন কাজে ভয় ভাবটি প্রকট হয়ে দেখা দেবে। বিড়ি-সিগারেটে আসক্তি দেখা দেবে। প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করছি যে, অনেকে মনে করেন যে, বন্ধুদের পাল্লায় পড়ে মানুষ তামাকে আসক্ত হন। ব্যাপারটা আসলে আদৌ সত্য নয়। যদি তাই হতো তাহলে সিগারেট আর বিড়ি ফ্যাক্টারির মালিকের পরিবার এবং তাতে কর্মরত মানুষজন ও তাঁদের পরিবারের সবাই এতে আসক্ত হতেন। আর সবার আগে তাঁরাই মারা যেতেন। খোঁজ নিলে জানা যাবে যে, এসবের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত তাঁদের অনেকেই তামাকে আসক্ত নন এবং আসক্তির কোন সম্ভাবনাও নেই। যাক, বাতাসের প্রাচুর্যতা যাঁদের শরীরে আছে তাঁদের রাতে খুব বেশি পরিমাণে ঘাম দেখা দেবে। শরীরে যেসব গ্রন্থি রয়েছে তার বিকৃতি ঘটবে। ঠান্ডা, কাশি, ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, এ্যাজমা ইত্যাদির কবলে পড়বেন। যে কোন ধরনের বাতাস (শুষ্ক, হিমেল, দমকা) তাঁদের সহ্য হবে না। অক্সিজেনের স্বল্পতায় ঠিক বিপরীত চিত্রটি দেখতে পাওয়া যাবে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ ডিসেম্বর ২০১৮/তারা

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়