ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

মগজ না হৃদয়

তপন চক্রবর্তী || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০২:২৮, ২৩ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মগজ না হৃদয়

তপন চক্রবর্তী : দার্শনিক ও সাহিত্যিক আমাদের মনে বদ্ধমূল ধারণা সৃষ্টি করেছেন যে, দুই শ্রেণির মানুষ রয়েছে। এদের এক শ্রেণি মগজ দ্বারা পরিচালিত হয়। অন্য শ্রেণির মানুষকে পরিচালনা করে  হৃদয়। (মগজকে বুদ্ধি ও হৃদয়কে আবেগ হিসেবে বিবেচনা করলে আলোচ্য বিষয় বুঝতে বোধ করি বেশি সুবিধে হবে। আসলে মগজই তো সব কিছুর নিয়ন্ত্রক। কাজেই হৃদয়ের নিয়ন্ত্রকও তো মগজ। কিন্তু সাধারণ দৃষ্টিতে বুদ্ধি ও আবেগের মধ্যে সূক্ষ্ম লক্ষ্মণরেখা রয়েছে।) লেখক তাঁর সৃষ্ট মানব মানবীতে, মগজ ও হৃদয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব-আপোস, বিদ্বেষ-ভালোবাসা, বিচ্ছেদ-মিলনের নানান কথার মালা গেঁথে, হৃদয় না মগজ, কার দাবি বড় তা তুলে ধরার প্রয়াস পান। তাঁদের আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে মানুষগুলোকে আচার আচরণে মাঝে মাঝে সম্পূর্ণ বিপরীত দুই মেরুর বাসিন্দা বলে ভ্রম হয়। মগজ পরিচালিত মানুষ সাধারণত শান্ত,  গোছালো, সংবেদনশীল, যুক্তিবাদী ও সতর্ক স্বভাববিশিষ্ট মনে করা হয়। এদের ব্যক্তিত্ব স্নিগ্ধ, মধুর কিন্তু কঠোর। রবীন্দ্রনাথের গোরা, শরৎচন্দ্রের সব্যসাচী, ডেভিড কপারফিল্ডের অ্যাগনিসের মতো। হৃদয় পরিচালিত মানুষ অভিমানী, অস্থির ও একগুঁয়ে স্বভাবের। সে সঙ্গে এরা দিলখোলা, মুক্তমনা, স্পষ্টবাদী ও অবিমৃষ্যকারী এবং কখনো সখনো কেউ জীবনকে পরিপূর্ণভাবে ভোগ করায় মাতোয়ারা হয়ে ওঠে। আবেগপ্রবণ মানুষ প্রায়শ অপরিণত কর্মকাণ্ড করে। তাড়াহুড়ো করে বোকার মতো সিদ্ধান্ত নেয় ও অপাত্রে বিশ্বাস স্থাপন করে নিজের সর্বনাশ ডেকে আনে। অবশ্য, শেষোক্ত ধরনের মানুষরাই সাহিত্যের উপজীব্য হিসেবে অধিকতরো সমাদৃত হয় এবং এরা সাহিত্যে নানান মাত্রা যোগ করে। এ প্রসঙ্গে শরৎচন্দ্রের ‘দেবদাস’ই সবচেয়ে অধিক আলোচিত আদর্শ উদাহরণ হিসেবে চিহ্নিত হতে পারে। চিহ্নিত হতে পারে শেক্সপীয়রের ‘ম্যাকবেথ’।

কাজেই সাধারণ মানুষের ধ্যানধারণায় এমন একটা বিশ্বাস জন্মেছে যে, মগজ ও হৃদয় এক সঙ্গে চলে না। এরা কখনো গাঁটছড়া বাঁধে না। মনোবিজ্ঞানী স্পীয়ারম্যান, যুবস্টোন, গুইলফোর্ড প্রমুখ প্রণীত তত্ত্বগুলোতেও উক্ত বক্তব্যের প্রতিফলন লক্ষ্মণীয়। তাঁদের তত্ত্বও পাশ্চাত্যে খুব প্রভাব ফেলেছিল। অবশ্য আমরা যদি নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে নীবিড়ভাবে দেখি তাহলে মগজ ও হৃদয়ের পারস্পরিক সম্পর্ক নির্ণয় খুব শক্ত কাজ হবে না। আমরা যে কোনো সমস্যার সুরাহা করার জন্য মগজ ব্যবহার করি। কিন্তু আমরা সমস্যা দ্বারা যদি হৃদয়তাড়িত না হই (মৃদু আলোড়ন জাগা সত্ত্বেও) তাহলে সমস্যা সমাধানের আবশ্যকতা আমাদের দৃষ্টি এড়িয়ে যাবে। কাজে যাওয়ার সময় নিত্য যানজটে আটকে যাওয়ার বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা থেকে অফিসযাত্রী কম যানজটের অলিগলি খুঁজে নিতে পারে। নানা সংকটের জটিল আবর্তে নিমজ্জমান দিশেহারা মানুষ নিরাপদ, সুস্থ ও স্বস্তিময় জীবনের অন্বেষা অব্যাহত রাখতে পারে। সকল সমস্যার সমাধান সহজ নয়। কতিপয় সমস্যার সমাধানের প্রয়াস দীর্ঘদিন চালিয়ে যেতে হয়। সে সঙ্গে সমস্যা সমাধান করায় উদ্ভাবনী দক্ষতা অর্জন করতে হয়। মাঝপথে হাল ছেড়ে দেয়ার জন্য ভেতর থেকে জোর তাগিদ অনুভূত হয় মাঝে মাঝে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে হৃদয়ই মানুষকে সমস্যা সুরাহায় শক্তি যোগায়। ধরুন, একজন শিক্ষার্থী অঙ্কশাস্ত্রের একটি জটিল সমস্যা সমাধানে রাত-দিন চেষ্টা চালিয়েই যেতে থাকে। কারণ, তার কাছে চ্যালেঞ্জটি খুবই উদ্দীপনামূলক। সমস্যা সমাধানকালে মানুষকে হৃদয়ের কতকগুলো প্রকাশ যেমন ক্রোধ, ভয়, উদ্বেগ, দুঃখ, হতাশা ইত্যাদিকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। এতে নিজের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল থাকে। কোনো ব্যক্তি এককভাবে সকল সমস্যা সমাধান করতে পারে না। তাকে অন্য মানুষের সাহায্য ও পরামর্শ নিতে হয়। কিন্তু তা নিতে হলে অন্যের হৃদয়কে বুঝতে হয় এবং সেই ব্যক্তির হৃদয়ের সুষ্ঠু ব্যবহার নিশ্চিত করতে হয়। কোনো কিশোর তার দাদা-দাদিকে একটি ধাঁধার রহস্য উন্মোচনে এভাবে অনুরোধ করবে যাতে প্রবীণ বা বুড়ো মানুষটি এই কাজে নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব মনে করেন, তিনি নিজেকে সম্মানীয় বোধ করেন। কাজেই, বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করার জন্য আমাদের কেবল নিজের নয়, অন্যের হৃদয়কে বুঝতে হবে এবং তাদের আবেগকে মর্যাদা দিতে হবে।

মনোবিজ্ঞানী গোলেমান, স্যালোভে ও মায়ার ১৯৮০-১৯৯০ সালে মগজের আবেগপ্রবণ অংশের অন্বেষণে গবেষণা পরিচালনা করেছিলেন। এতে ফলপ্রসূ উদ্ভাবন পরিলক্ষিত হয়নি। বিশ শতকের দশম দশকেও অনুসন্ধানের কাজ বিচ্ছিন্নভাবে চলতে থাকে। অবশেষে ১৯৯৫ সালে মনোবিজ্ঞানী ড্যানিয়াল গোলেমান হৃদয় ও মগজের মধ্যে পারস্পরিক নীবিড় সম্পর্কের বিষয়টিকে পাদপ্রদীপের আলোয় স্পষ্টভাবে তুলে ধরেন। তিনি হৃদয়গত বুদ্ধিমত্তাকে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ ভাগে বিভক্ত করেন। বিভাগসমূহ হলো : (১) স্বীয় হৃদয় সম্বন্ধে জ্ঞাত হওয়া; (২) স্বীয় হৃদয়কে সামাল দেওয়া; (৩) নিজেকে অনুপ্রাণিত করা; (৪) অন্যের হৃদয়ের ধ্যানধারণা শনাক্ত করা; এবং (৫) সুষ্ঠুভাবে পারস্পরিক সম্পর্ক রক্ষা করা ইত্যাদি।

এতে স্পষ্ট বোঝা যায় যে, হৃদয়গত বুদ্ধির ধারণা আকস্মিকভাবে সৃষ্ট হয়নি। এর পূর্ব নির্দিষ্ট প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। বহু বছর আগে, জনগণের সঙ্গে আচরণ ও জনগণকে বোঝার ক্ষমতাকে সামাজিক বুদ্ধিমত্তা হিসাবে গণ্য করেছিলেন অপর এক মনোবিজ্ঞানী। বিজ্ঞানীর নাম ই. আই. ডন ডাইক। গত শতকের আট-এর দশকে মনোবিজ্ঞানী হাওয়ার্ড গার্ডনার তাঁর বহুমাত্রিক বুদ্ধিমত্তা তত্ত্বে আন্তর্ব্যক্তিক বুদ্ধিমত্তার ধারণার পরামর্শ দেন। তিনি মানুষের সঙ্গে আচরণ ও সামাজিক সমঝোতাকে আন্তর্ব্যক্তিক বুদ্ধিমত্তা বলে বোঝাতে চেয়েছেন। তবে ডন ডাইক ও গার্ডনার অন্য মানুষের অনুভূতি উপলব্ধির ওপর বিশেষ জোর দিয়েছেন। গোলেমানও কিন্তু ব্যক্তির নিজেকে বোঝার ওপর যথেষ্ট গুরুত্ব আরোপ করেছেন।

হৃদয়গত বুদ্ধির ধারণা বোঝার স্বার্থে এর বৃহৎ উপাদানগুলো সম্পর্কে বোঝার আবশ্যকতা রয়েছে। স্বীয় আবেগের দিকে তীক্ষ্ম দৃষ্টি রাখলে, একে নিয়ন্ত্রণ করা যায়। কিন্তু লোক নিজের আবেগ সম্পর্কে খুব সচেতন নয়। বেশির ভাগ মানুষই স্বীয় আবেগকে বুঝতে পারে না এবং একে নিয়ন্ত্রণেও রাখতে পারে না। নিজের আবেগ সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকলে, সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয় না। যেমন, যাদের বন্ধুরূপে পেতে চায়, তা পায় না। নিজের উষ্ণীষে যে সব পালক লাগাতে চায় তা পারে না। আবেগকে কেবল বুঝতে পারলে কোনো লাভ হবে না। সে সবের প্রকাশও যথার্থভাবে ঘটাতে হবে যাতে তা অন্যরা উপলব্ধি করতে পারে। মা শিশুকে যতোক্ষণ না বুকে চেপে আদর দিচ্ছেন ততোক্ষণ তিনি শিশু তাঁকে কতোখানি ভালোবাসে তা অনুভব করতে পারেন না। মানুষের আবেগ তার আবেগপ্রসূত অনুভূতি ও সেসবের বহিঃপ্রকাশ নিয়ন্ত্রণে ভূমিকা পালন করে। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অন্যায় আচরণে কোনো সহকর্মী যতোই বিক্ষুব্ধ হোন না কেনো, তিনি মেজাজ হারিয়ে চাকরি খোয়ানোর ঝুঁকি হয়তো নেবেন না। নিজেকে অনুপ্রাণিত করা মানে সমস্যা সমাধানের দীর্ঘ শ্রম প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত থাকার আগ্রহ সৃষ্টি করা।

অন্যের মানসিক অবস্থা সঠিকভাবে যাচাই করার যথার্থ ব্যবস্থা গ্রহণে সফল হওয়ার অর্থ হলো, আপনি সে ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের মনের আবেগকে নিপুণভাবে শনাক্ত করতে পেরেছেন। অপরের আবেগকে প্রভাবিত করা মানে আপনি আপনার ইচ্ছেমতো অন্যের অনুভূতিতে পরিবর্তন ঘটানোয় সক্ষম। যেমন অঙ্কশাস্ত্রের একজন উৎসাহী শিক্ষক তাঁর শিক্ষার্থীর মধ্যে এই শাস্ত্র চর্চার প্রেরণা দিতে পারেন। পারস্পরিক সুসম্পর্ক বজায় রাখার প্রতি মানুষের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সে সঙ্গে এটি আবেগগত বুদ্ধিমত্তারও নির্দেশক। এ ব্যাপারে দক্ষ মানুষ সবার ভালোবাসা অর্জন করেন। মানুষ তার জীবনের সকল ক্ষেত্রে সাফল্য লাভে সহায়তা দান করে। সে সঙ্গে তার সুখের জীবন পরিক্রমাও নিশ্চিতি পায়। দক্ষ এই ব্যক্তি সাধারণত সামাজিক দলের সমন্বয়কের ভূমিকা পালন করেন। তিনি দলের অন্যান্য সদস্যদের কর্মকাণ্ড ও আচরণে শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায়, তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব-বিরোধ অবসানে ব্রতী হন। তাঁর ব্যক্তিগত সম্পর্ক সম্পর্কিত সমস্যার তিনি সমান গুরুত্ব দেন এবং কাউকে রাগান্বিত হয়ে বা কটূবাক্য প্রয়োগ করে আহত করেন না। গোলেমানের গবেষণা মতে, উচ্চ বুদ্ধ্যঙ্কের (আই কিউ) চেয়ে স্বল্প বুদ্ধ্যঙ্ক সম্পন্ন মানুষ শিক্ষার্থী হিসাবে আশানুরূপ ফল করায় ব্যর্থ হয়েছেন এবং তাঁরা পেশায়ও খুব একটা খ্যাতি অর্জন করতে পারেননি। অথচ মোটামুটি বুদ্ধিমান বহু মানুষ আনুষ্ঠানিক শিক্ষায় অনেক ভালো ফল করেছেন। উচ্চতর থেকে উচ্চতম ডিগ্রিলাভ করেছেন, এবং খ্যাতির শীর্ষে আরোহন করেছেন। ডিগ্রি ছাড়াও সামাজিক, মানবিক নানা কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সমৃদ্ধ জীবন গঠন করেছেন। এসবের অন্যতম কারণ শেষে উল্লিখিত মানুষগুলো তাঁদের আবেগগত জীবনকে বা হৃদয়কে সুষ্ঠুভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পেরেছেন। গবেষণায় আরো জানা গেছে, সফল বিনিয়োগকারী উচ্চ আবেগগত বুদ্ধিমত্তার অধিকারী হয়ে থাকেন। পর্যাপ্ত পরিমাণে আবেগগত বুদ্ধিমত্তার অভাবে মানুষের মধ্যে বিমর্ষতা, বদহজম, তিরিক্ষি মেজাজ, আক্রমণাত্মক মনোভঙ্গি ও অপরাধ প্রবণতা দেখা দিতে পারে।

আবেগগত বুদ্ধিমত্তার অস্তিত্ব, এর আনুষঙ্গিক প্রকৃতি ও প্রভাবের প্রত্যক্ষ প্রমাণগুলো বর্তমানে সর্বজনীন। স্যালোভি ও মেয়ার আবেগগত বুদ্ধিবৃত্তির প্রবক্তা। এঁরা এটির সমর্থনে বিশ্বস্ত প্রমাণ উপস্থাপন করেছেন। আবার অনেক বিজ্ঞানী আবেগগত বুদ্ধিবৃত্তির সপক্ষে পর্যাপ্ত প্রমাণ খুঁজে পাননি। তবে উভয়দলের মনোবিজ্ঞানী আবেগের অস্তিত্ব বিষয়ে সংশয় প্রকাশ করেননি। আবেগ যে বাস্তব ব্যাপার এর সপক্ষে তাঁরা সাক্ষ্যপ্রমাণ হাজির করেছেন। তাহলে, বোঝা যাচ্ছে হৃদয় মানুষকে উদ্দীপিত করে। মানুষকে অনুপ্রাণিত করে। হৃদয়বৃত্তিক প্রয়াস অব্যাহত রাখায় শক্তি যোগায়। হৃদয় আবেগকে সুনিপুণভাবে পরিচালিত করে। আবেগসর্বস্য বুদ্ধিহীন মানুষ যেমন সমাজের জন্য বোঝা, তেমনি আবেগহীন বুদ্ধিমান মানুষের সংখ্যা বাড়লে তা সমাজের জন্য অশনি সংকেত। পরিশীলিত বুদ্ধি ও নিয়ন্ত্রিত আবেগের মেলবন্ধনে সমাজে সমৃদ্ধি আসে। প্রশ্ন উঠতে পারে, হৃদয়গত বুদ্ধিমত্তা পরিমাপে ব্যবহৃত পদ্ধতিগুলো বিজ্ঞানসম্মত কি না। পণ্ডিতদের মতে, হৃদয়গত বুদ্ধিমত্তা পরিমাপক মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা-নিরীক্ষাগুলোকে আরো নির্ভরযোগ্য করার আবশ্যকতা রয়েছে। এক গুচ্ছ সুষ্ঠু পরিকল্পনার মাধ্যমে হৃদয়গত বুদ্ধিমত্তা বিষয়ে গোলেমানের বক্তব্য কতোখানি গ্রহণযোগ্য তা নিশ্চিত করা আবশ্যক। গোলেমান আরো বলেছেন আবেগগত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে স্নায়বিক কর্মকাণ্ডের সম্পর্ক রয়েছে এবং এই স্নায়ুর অবস্থান মস্তিষ্কের আমাইগড্যালা নামক অংশ। এ নিয়েও বিতর্ক থাকতে পারে। প্রকৃত সত্য উদ্ভাবনের চেষ্টা চলছে। আশা করি বিজ্ঞানীরা সহমতে পৌঁছাতে পারবেন।

লেখক: শিক্ষাবিদ ও গবেষক






রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ এপ্রিল ২০১৯/তারা

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়