ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

স্মৃতি বিস্মৃতিতে পহেলা বৈশাখ

মাহবুব রেজা || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৭:৫২, ২৩ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
স্মৃতি বিস্মৃতিতে পহেলা বৈশাখ

ছোটবেলায় আমরা দেখেছি বাংলা বছরের শুরুর দিন আমাদের বসুবাজার লেনের ছোটবড় সবার মধ্যে এক ধরনের আনন্দের দোল খেলে যেত। সে আনন্দের দোল কিভাবে কিভাবে যেন ছড়িয়ে যেত আশেপাশের মহল্লায়ও। হাঁসফাঁস করা প্রচণ্ড গরমের ভেতর চৈত্র মাসের শেষের দিনগুলো যত বৈশাখের প্রথম দিনের দিকে যাওয়া শুরু করত আমাদের ছোটদের মধ্যে আনন্দ আর ঘুরে বেড়াবার উৎকণ্ঠা ততই বাড়তে থাকত। পহেলা বৈশাখ আসার আগে থেকে বন্ধু নির্মলের নেতৃত্বে কোন কোন মহল্লায় ঘুরতে যেতে হবে; ইসলামপুর-রথখোলা-তাঁতিবাজার-শাঁখারিবাজার-পাটুয়াটুলি না নবাবপুরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে গেলে আমাদের সাড়ম্বরে মিষ্টি মুখ করানো হবে- চাই কি এসব উৎসব পার্বণে পাড়া মহল্লার কার কার বাসায় গেলে দু’চার পয়সা আয় রোজগারও হতে পারে তার দিকনির্দেশনাও ওর কাছ থেকে বেশ ভালোভাবেই আমরা পেতাম। নির্মলের বাপ-চাচাদের ছিল রায়সাবাজারে জুয়েলারির দোকান। ও জানে কোথায় গেলে আমরা লাভবান হবো। সুতরাং আমরা কায়দা করে সেইসব দিনগুলোতে নির্মলের সঙ্গে দলবেঁধে ঘুরে বেড়াতাম। সারাবছর আমাদের কাছে নির্মলের তেমন একটা মার্কেট না থাকলেও চৈত্রসংক্রান্তি, পহেলা বৈশাখ, দোল পূর্ণিমা, লক্ষ্মীপূজা, দুর্গা পূজাসহ উৎসব পার্বণে নির্মলের কদর বেশ বেড়ে যেত। মনে আছে, একবার নির্মল আমাদের বন্ধুদের ধূপখোলা মাঠে নিয়ে গিয়েছিল। একবার রথ খোলা মাঠে চড়ক পূজার খেলা দেখাতে নিয়ে গিয়েছিল আমাদের। আমি খুব অবাক হয়েছিলাম চড়ক পূজা দেখে।
বসুবাজার লেনে নির্মল ছিল আমার কাছের বন্ধু। ও পগোজ স্কুলে পড়ত, স্কুলটা সদরঘাটের ওদিকে ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে। নির্মলের ছোট দুই ভাই দুই স্কুলে পড়ে। একজন আমাদের সঙ্গে নারিন্দা স্কুলে আরেকজন দয়াগঞ্জ স্কুলে। নির্মলদের তিন ভাইয়ের এরকম তিন স্কুলে পড়া নিয়ে আমাদের বন্ধুবান্ধবদের মধ্যে চাপা কৌতূহল ছিল। একদিন নির্মলই আমাদের সেই কৌতূহলের রহস্য ভেঙে দিয়ে বলল, ‘আমার মায় সবসময় আমাগো কয়, আমি আমার সব পোলারে এক গোয়ালে পড়তে দিমু না।’

‘কছ কি? এক গোয়ালে! মাসিমা কি তগো গরু-বাছুর ভাবে!’

আমাদের বিস্ময়সূচক সমস্বর উত্তরে নির্মল আমাদের আরও আশ্বস্ত করে তার মার কথা শোনাল। নির্মলের মা নির্মলকে বলেছে, ‘শোন নির্মল সামনের বলদ যেদিকে যায় পেছনের বলদও সেদিকে যায়। তাই বলদদের ছড়িয়ে ছিটিয়ে একেক গোয়ালে বড় করে তুলতে পারলে মঙ্গল- তাতে অনেক শিক্ষা লাভ হয়।’

এরপর থেকে নির্মলকে আমরা প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে ‘বলদ’ বলে ডাকি। মাঝে মধ্যে দেখা গেল নির্মল ওর বাবা, মা, ভাইবোনদের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়েছে তখন আমরা নির্মলকে বলদ না বলে ‘মিরকাদিম’ ডাকতাম। কারণ নির্মলই আমাদের বলেছে বিক্রমপুরের ওই এলাকা নাকি নাদুসনুদুস গরু আর বলদের জন্য বিখ্যাত। আমাদের ‘বলদ’ ডাক শুনে নির্মল যে বেজার হতো সেটা বোঝা যেত না। তাকে বরং খুশিই দেখাত।

আমরা মাকে একটানা খুব বেশিদিন কাছে পাই নি কখনো। বছরের বেশিরভাগ সময় আমার মাকে ঢাকা মেডিক্যালের কেবিনে থাকতে হতো। অনেকদিন মেডিক্যালে থাকতে থাকতে মা যখন হাঁপিয়ে উঠতেন বাবা তখন ডাক্তারদের বলে মাকে কয়েকদিনের জন্য বাড়ি নিয়ে আসতেন। মা যে ক’দিন বাসায় থাকতেন সে ক’টা দিন আমাদের আনন্দ দেখে কে! তখন খুব আনন্দে আমাদের দিন কাটত। সপ্তাহখানেক থাকার পর মার শরীর আগের মতো খারাপ হয়ে যেত। বাবা তখন মার সাথে রাগারাগি করতেন, কতবার বলি শরীরটা একটু ভালো হোক, তারপর বাড়ি যেও। আমার কথা কে শোনে?’

আমাদের সঙ্গে কয়েকদিন থাকার ফলে আমার মার রূপ বিভা যেন আগের চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণে বেড়ে যেত। মা যে ভেতরে ভেতরে অনেক অসুস্থ সেটা বাইরে থেকে বোঝা যেত না। অসুস্থ থাকার ফলে আমার মা দিন দিন শুকিয়ে যাচ্ছিলেন। মার হার্টের সমস্যা ছিল, শ্বাস কষ্টের সমস্যাও ছিল। মাকে দেখে আমরা বুঝতে পারতাম মা আমাদের ছেড়ে মেডিক্যালে যেতে চাইতেন না। মন খারাপ করে মা আমাদের ছেড়ে আবার চলে যেতেন মেডিক্যালে। মা সাধারণত সন্ধ্যার দিকে আমাদের বসুবাজার লেন থেকে বাবার সঙ্গে রিকশায় চড়ে মেডিক্যালে রওনা হতেন। মার রিকশা যখন আমাদের গলি দিয়ে ধীরে ধীরে অদৃশ্য হয়ে যেত মার জন্য আমাদের মন খারাপ হয়ে উঠত। নানী তখন আমাদের বুঝিয়ে শুনিয়ে ঘরে তুলতেন।

মা সব সময় কেন অমন মন খারাপ করা সন্ধ্যার দিকে আমাদের ছেড়ে চলে যেতেন? সেই প্রশ্নের উত্তর আমাদের জানা ছিল না। পরে বয়স হলে বুঝতে পেরেছি মানুষের ছোটবেলায় ওরকম হাজার হাজার অবান্তর প্রশ্ন থাকে যার কোনো সদুত্তর থাকে না।

মা মেডিক্যালে চলে যাওয়ার পর বছরের প্রায় সব দিন আমাদের ছিল নিউজপ্রিন্টের মতো সাদামাটা ধরনের। বাবা সকালবেলা নানীর কাছে আমাদের রেখে বেরিয়ে পরতেন কাজে। কোর্টকাছারির কাজ শেষে মেডিক্যালে চলে যেতেন। সেখানে মার দেখভাল করে ঘরে ফিরতে ফিরতে রাত। রাতে ঘরে ফিরে বাবা আমাদের সঙ্গে ভাত খেয়ে ঘুমিয়ে পড়তেন। পরদিন বাবা আবার সকাল সকাল বেরিয়ে পড়তেন, ফিরতেন সেই রাতে। এভাবেই চলতে থাকে বাবার দিনরাত। মা থাকেন মেডিক্যালে বাবা থাকেন বাইরে ফলে আমরা বাবা-মা ছাড়া নিয়মকানুনের ধার না ধরে যে যার মতো তরতর করে বেড়ে উঠেছি।

আমাদের বাড়িটা ছিল বসুবাজার লেনের আর সব বাড়িঘরের চেয়ে একটু আলাদা। আমাদের বাড়ির আশেপাশে আরও জম্পেশ বাড়িঘর থাকলেও আমাদের বাড়ির একটা বাড়তি পরিচিতি ছিল ‘উকিল বাড়ি’ হিসেবে। অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে নিজের পয়সায় আব্দুল আজিজ সাহেব বসুবাজার লেনের এই বাড়ির মালিক হলেও আমাদের মহল্লা তো বটেই আশেপাশের মহল্লার মানুষজনের কাছেও এই বাড়ির অলিখিত মালিক হিসেবে পরিগণিত হতেন আমার বাবা এডভোকেট রিয়াজউদ্দিন আহমেদ।

এরকম প্রায়ই হতো। বাইরের কেউ শরত গুপ্ত রোডে ঢুকে নিজেদের আত্মীয়স্বজনদের বাড়িঘরের সন্ধান করতে থাকলে আশেপাশের লোকজনকে তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে দেখা যেত। তারা বাড়ি খুঁজতে আসা আগন্তুককে হাতের ইশারায় লোকেশন বুঝিয়ে দিয়ে বলতেন, এই রাস্তা ধইরা সিধা নাক বরাবর চইলা যাইবেন। কিছুদূর গেলেই পাইবেন জটাধারী এক সাধুর মুদির দোকান। হের দোকানের পেছনে দেখবেন তাল গাছের মতন খাড়ায়া রইছে এক বাড়ি, হেই বাড়ির নাম হইল মল্লিক বাড়ি। সাধুর দোকান পার হয়া আরও দুইতিন মিনিট আউগাইলে পাইবেন একটা তিন রাস্তার মোড়। তিন মোড়ের এক রাস্তা ঢুইকা গেছে মনির হোসেন লেনের ভিত্তে (ভেতরে)। এক রাস্তা ঢুইকা গেছে ঋষি পাড়ার দিকে আর ডাইন দিকের রাস্তা হান্দায়া গেছে দয়াগঞ্জের দিকে। এইবার আপনে খালি কষ্ট কইরা হেই মোড় থিকা কোনোদিকে না তাকায়া সোজা ডাইন দিকে তাকাইবেন। তাকাইলে দেখবার পাইবেন কয়েকখান বাড়ির পর লেপ দেয়া মাটির ঘরের কালারের মতন একখান দোতলা বাড়ি- এইটাই হইল উকিল বাড়ি। আর এই বাড়ির দুইখান বাড়ির পরেই আপনে যে বাড়ি খুঁজতাছেন হেই বাড়ি, বুঝবার পারছেন?

রাস্তাঘাটের এত লম্বা ডিরেকশনের হ্যাপা যেকোনো আগন্তুককে বিভ্রান্তির অতলে তলিয়ে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এত লম্বা ফিরিস্তিতে আগন্তুকদের অনেকেই খেই হারিয়ে ফেলতেন। ফলে কিছুদূর গিয়ে তাদেরকে আবার নতুন করে অন্য কারো সাহায্য নিতে হতো এবং তাদেরকে একই ভঙ্গি আর ভাষাতে দিক নির্দেশনার বয়ান শুনতে হতো।

ছোটবেলায় কেউ আমাদের সামনে ‘উকিল বাড়ি’ বললে আমাদের বুকের ছাতি বিনে পয়সায় ফুলেফেঁপে উঠত। আমাদের এরকম ফুলেফেঁপে ওঠা দেখে মা আমাদের বলতেন, ‘দেখ দেখ, তোদের বাপের কি গুণ, টাকাপয়সা দিয়ে বাড়ি না কিনেও কেমন বাড়ির মালিক হয়ে বসে আছে।’

ছোটবেলায় মার কথা শুনে আমাদের ভাইবোনের মধ্যে একটা বদ্ধমূল বিশ্বাস জন্মে গিয়েছিল বড় হয়ে উকিল হলেই বুঝি বিনে পয়সায় এরকম দোতলা বাড়ির মালিক হয়ে যাওয়া যায়।

নির্মলের মাকে আমরা ‘শিখা মাসি’ ডাকতাম। শিখা মাসির গায়ের রং কালো হলে কি হবে কথাবার্তায় আমার মায়ের মতোই ছিলেন। পার্থক্য শুধু মার গায়ের রং হলুদ-ফর্সা। মার সঙ্গে শিখা মাসির ছিল খুব ভাব। দুজনেই বই পড়ার পোকা। পাড়ার লাইব্রেরি থেকে বই আনলে শিখা মাসি পড়া শেষ করে মাকে দিতেন। মাও তাই করতেন। নির্মলের সঙ্গে যখনই ওদের বাড়ি যেতাম আমি খেয়াল করতাম মাসি আমাকে নির্মলের চেয়ে বেশি আদর করতেন। ভুলেও আমার কাছে মেডিক্যালে থাকা মার খোঁজখবর নিতেন না। কিন্তু নির্মলের সঙ্গে যখন আমার দেখা সাক্ষাৎ হয় প্রথমেই সে আমার কাছে মার খবর জানতে চায়। আচ্ছা, নির্মল কেন সব সময় আমার কাছে মার খোঁজখবর জানতে চায়?

তবে শিখা মাসি আমাকে দেখলে যত্নআত্তি করে ভাত খেতে দেন। পায়েস খেতে দেন। আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দেন। শার্টের বোতাম লাগিয়ে দেন আর আমার দিকে আমার মায়ের মতো কেমন এক দৃষ্টিতে যে তাকিয়ে থাকেন! নির্মলদের বাড়িতে চৈত্রসংক্রান্তি, পহেলা বৈশাখ কিংবা উৎসব পার্বণে ভালোমন্দ রান্না হলে ও আমাকে ওদের বাড়িতে নিয়ে যেত। মনে আছে একবার পহেলা বৈশাখে নির্মলদের বাড়িতে আমি খাসির মাংস, পটল আর বেগুন ভাজির সঙ্গে মাস কলাইয়ের ঘন ডাল দিয়ে পেটপুরে ঘি ভাত খেয়েছিলাম। ঘি ভাত অনেকটা পোলাওয়ের মতো করে রান্না ভাত। খুব তৃপ্তি সহযোগে খেয়েছিলাম সেদিন। তখনকার দিনে পহেলা বৈশাখে আজকের দিনের মতো এরকম ধুমধাম করে লোক দেখানো ইলিশ পান্তা খাওয়ার রেওয়াজ ছিল না। আমাদের ছোটবেলার বৈশাখে বাড়ি বাড়ি ভালোমন্দ খাওয়ার চল ছিল। তবে নির্মলদের বাড়ি গেলে শিখা মাসি সব সময় আমাকে যে কথাটা বলতেন তা হলো, ‘সাবু, তোমার যদি বাড়িতে ভালো না লাগে তাইলে তুমি সোজা আমার বগলে আইসা পড়বা।’

শিখা মাসি অবিকল মার মতো করে কথা বলেন। আমরা মেডিক্যালে মাকে দেখে যখন বাড়ি ফেরার জন্য মার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে চলে আসতে চাই তখন মাও শিখা মাসির মতো করে বলেন, বাসায় মন না বসলে আমার বগলে চলে আসবি।

নির্মলদের বাড়ি থেকে বের হয়ে আমি যখন আমাদের বাড়ির পথ ধরি, বাড়ি ফেরা না পর্যন্ত আমার মনে হতে থাকে আমার মা বুঝি আমার সঙ্গে সঙ্গে হাঁটছেন। আমার সঙ্গে কথা বলছেন। ঘরে ফিরলে আমার ভুল ভাঙে।

উনিশ শ’ আটাত্তর সালে বায়ান্ন দিনের ব্যবধানে আমাদের বাবা-মা মারা গেলে আমরা আজিজ সাহেবের বসুবাজার লেনের বাড়ি ছেড়ে চলে আসি। তারপর ভাসতে ভাসতে কেটেছে আমাদের ভাইবোনদের সমন্বিত ছন্নছাড়া জীবন।

অনেক কাল আগে আমার বন্ধু নির্মল মারা গেছে। আমাদের বাড়ির কয়েকটা বাড়ি পর নির্মলদের বাড়ি ছিল। নির্মল মারা যাবার পর শিখা মাসিরা বাড়িঘর বিক্রি করে কলকাতা চলে গেছে।

মাঝে মাঝে মন খারাপ হলে আমি আমার ফেলে আসা শৈশবের নারিন্দার বসুবাজার লেনে যাই। বিশেষ করে উৎসব পার্বণের দিনগুলোতে যাওয়ার চেষ্টা করি বেশি। সময় সুযোগ পেলে যাইও। গেলে আমি আমাদের বাড়ির সামনের গলিতে হাঁটাহাঁটি করি। কালের গতিপ্রবাহে এখন নতুন নতুন সব মানুষ এসেছে মহল্লায়, তারা তাদের মহল্লায় আমার মতো অর্বাচীনকে দেখে অবাক হয়। তারা অবাকিত নয়নে আমার দিকে তাকিয়ে থাকে। তারা হয়ত ভাবে, বসুবাজার লেনে এ আবার কোন মানুষ!

আমি নির্মলদের পুরনো বাড়ির সামনে দাঁড়াই। নির্মলদের মাটির ঘর আর নেই। সেখানে উঠেছে দুই ইউনিটের ইটপাথরের পাঁচতলা বাড়ি। আমি নির্মলদের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে এখনো মাটির ঘরের প্রশান্তি খুঁজে পাই। খুঁজে পাই শিখা মাসির অপার ভালোবাসার স্পর্শ। নাকে এসে ধাক্কা মারে শিখা মাসির হাতে রান্না করা মজার মজার খাবারের ঘ্রাণ। বিশেষ করে পহেলা বৈশাখে রান্না করা শিখা মাসির হাতের অসাধারণ খাসির মাংস, পটল আর বেগুন ভাজি, মাস কলাইয়ের ঘন ডাল আর ঘি ভাতের ঘ্রাণ।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ এপ্রিল ২০১৯/তারা   

রাইজিংবিডি.কম

সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়