ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

১৯৯৯-২০১৯ বিশ্বকাপ, কতোটুকু পাল্টেছে ক্রিকেট?

ইয়াসিন হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৪৬, ২৫ মে ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
১৯৯৯-২০১৯ বিশ্বকাপ, কতোটুকু পাল্টেছে ক্রিকেট?

আর কিছুদিন পরেই শুরু হতে যাচ্ছে ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আসর ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ।  বিশ্বকাপের বারোতম আসর এবার বসবে ক্রিকেটের আতুরঘর ইংল্যান্ডে।  দীর্ঘ বিশ বছর ও চারটি আসর বিরতি দিয়ে ইংল্যান্ডে আবারো ফিরছে ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপ।

১৯৯৯ থেকে ২০১৯ বিশ্বকাপের মাঝের সময়টাতে কতটুকু বদলেছে ক্রিকেট? কতবার পাল্টেছে ক্রিকেটের নিয়ম-কানুন! দুই দশকে ক্রিকেটের বিভিন্ন পরিবর্তনের খবর জানাচ্ছে শায়েখ আল মোমুন শুভ।  আজ পড়ুন শেষ পর্ব

* প্রত্যেকটি দলের একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উইকেট কিপার।  স্টাম্পের পেছন সামলানোর পাশাপাশি ব্যাট হাতে দলের প্রয়োজনে একটি ভালো ইনিংস উপহার দেয়ার ক্ষমতা রাখেন একজন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। যতই ইমার্জেন্সি রিপ্লেসমেন্ট হোক না কেন বর্তমানে কোন দলেই এমন উইকেট কিপার পাওয়া যাবে না যার ব্যাটিং পারফরম্যান্স একেবারে রুগ্ন।  ১৯৯৬’র মার্চ থেকে ১৯৯৮’র ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪৯৫টি ইনিংসে উইকেটকিপাররা ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়েছে।  এতে ২৪.৪১ গড়ে এবং ৭৪.১৬ স্ট্রাইক রেটে রান এসেছে ৯৮৬৫, সেঞ্চুরি হয়েছে ৬টি।  দলের ব্যাটিং লাইনআপের প্রথম পাঁচজনের মধ্যে তারা সুযোগ পেত ৪২ শতাংশ।  অপরদিকে ২০১৫’ র এপ্রিল থেকে ২০১৮’র ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭৬৫ ইনিংসে ৩৩.২৩ গড়ে ও ৮৪.৫ স্ট্রাইক রেটে ২২৪০১ রান করেছেন উইকেট কিপার ব্যাটসম্যানরা।  তাদের থেকে সেঞ্চুরি এসেছে ৩২টি। দলের ব্যাটিং লাইনআপের প্রথম পাঁচজনের মধ্যে তারা সুযোগ পেয়েছে ৬৮ শতাংশ।  এই সমীকরণটিই যথেষ্ট যে একটি দলের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান দিনদিন কতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে ।


পড়ুন প্রথম পর্ব: ()

* আগে প্রতিটি দলেই এমন কয়েকজন ব্যাটসম্যান ছিল যে দলের বিপদে সবসময় হাল ধরতো।  সময়ের সাথে সাথে সেই ধারা অনেকটাই বদলেছে! এখন শুধু স্কোর বড় করলেই হয় না সেটা করতে হয় খুবই দ্রুততার সাথে । ১৯৯৬-১৯৯৮ সালে দলগুলোর ‘বাকি’ (মূল দায়িত্ব বোলিং) ব্যাটসম্যানের রান ছিল ৭৩.৮৯ এবং মূল পাঁচজন ব্যাটসম্যানের ছিল ৮০.৫৮। ১৯৯৯-২০০২ সালে তা হয় ৭৩.৪৭ ও ৭৭৫২ এবং ২০০৩-২০০৬ সালে হয় ৭৫.৬৫ এবং ৭৮.২৬।  ২০০৭-২০১০ এ তা অনেকটাই বেড়ে হয়ে যায় ৮২.০২ ও ৮৬.৯৫ এবং ২০১১-২০১৪ হয়ে যায় ৮১.৫৪ এবং ৮৪.৪২।  ২০১৫-২০১৮ সালে সবচেয়ে বেশি বেড়ে হয়েছে ৯২.১৮ ও ৯৭.৩৮। প্রতিযোগীতায় টিকে থাকতে ব্যাটসম্যানদের পাশাপাশি সহযোগীদের ভূমিকা কতোটুকু বেড়েছে তা একবার ভেবেই দেখুন।

পড়ুন দ্বিতীয় পর্ব: ()

* বিশ্বকাপের সবচাইতে সফল দল বিনা বাক্যে বলা যায় অস্ট্রেলিয়া । তারা প্রতিটি বিশ্বকাপেই খুবই দুর্দান্ত মানের পারফরম্যান্স এবং এমন কিছু রেকর্ড গড়েছে যা আদৌও ভাঙ্গা সম্ভব কিনা কে জানে। ১৯৯৬-১৯৯৮ মৌসুমে খেলার জয় পরাজয়ের অনুপাত ৩.৬৯%।  ওই সবচেয়ে সফল দল ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।  পরবর্তী বিশ্বকাপে তারা সেমিফাইনালের আগে যেতেই পারেনি এবং সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।  ১৯৯৯-২০০২ এ ৩.৮৭% নিয়ে সফল দল ছিল অস্ট্রেলিয়া এবং পরবর্তী বিশ্বকাপে তারাই চ্যাম্পিয়ন হয়।  ২০০৩-২০০৬ এ ওই অস্ট্রেলিয়া ছিল এগিয়ে ৩.৩২% নিয়ে এবং সেবারও চ্যাম্পিয়ন হয় অস্ট্রেলিয়া।  ২০০৭-২০১০ এ তা পরিবর্তন হয়ে ২.২৫% অনুপাত নিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা হয় সফল দল যদিও তারা কোয়ার্টার ফাইনালেই থেমে যেতে হয়, সেবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত।  ২০১১-২০১৪ সালে সবচেয়ে সফল দল ছিল ভারত ১.৮৪% নিয়ে কিন্তু পরবর্তী বিশ্বকাপে তারা থেমে যায় সেমিফাইনালেই এবং চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।  ২০১৫-২০১৮ সালে ২.৪৩% নিয়ে সবচেয়ে সফল দল হিসেবে বিশ্বকাপে পা রেখেছে স্বাগতিক ইংল্যান্ড । দেখা যাক এবার কি হয় ।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ মে ২০১৯/ইয়াসিন

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়