জায়নামাজেই ভরসা
নিজস্ব প্রতিবেদক : ও মন রমজানের ওই রোজার শেষে এলো খুশির ঈদ। ঈদের আনন্দ আজ ঘরে ঘরে। সব ভেদাভেদ ভুলে সবাই এক কাতারে শামিল। আর সেই উৎসবের শুরু হয় ঈদের নামাজের মাধ্যমে।
তবে রাজধানীতে নামাজের আগে বৃষ্টি শুরু হওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন মুসল্লিরা। যারা ছাতা নিয়ে বাসা থেকে বের হন , তারা কিছুটা স্বস্তি পেলেও বাকিরা পড়েন বিপদে। অনেকেই বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে যান। বাধ্য হয়ে অনেকেই গাছের নিচে বা ভবনের নিচে আশ্রয় নেন। এরপর ঈদের জামাতে শরিক হতে বৃষ্টি উপেক্ষা করে যান ঈদগাহ বা মসজিদে। ছাতা না আনায় বৃষ্টি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে জায়নামাজকেই বেছে নেন তারা। যারা বাচ্চাদের নিয়ে বের হন, তারা পড়েন সবচেয়ে বেশি বিড়ম্বনায়। নিজে ভিজে বাচ্চাকে সুরক্ষা করার প্রয়াস ছিল তাদের।
গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে দেখা যায়, যারা নামাজ পড়তে বায়তুল মোকাররমে যান তাদের অনেককেই জায়নামাজ মাথায় দিয়ে যেতে দেখা যায়। তারপরও অঝোর বৃষ্টিতে ভিজে যান তারা।
বায়তুল মোকাররমে ছেলেকে নিয়ে নামাজ পড়তে আসা মো. হানিফ বলেন, ছেলেকে নিয়ে এসেছি নামাজ পড়তে। তখন বৃষ্টি ছিল না। এজন্য আর ছাতা নিয়ে বের হইনি। এখন তো দেখতেই পাচ্ছেন, কী অবস্থা! ভিজে একাকার হয়ে গেছি।
যারা মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে বের হন তাদেরও ভিজে ভিজে বাসায় ফিরতে দেখা যায়। আলামিন নামের এক ব্যক্তি বলেন, বায়তুল মোকাররমে নামাজ পড়েছি। এখানে একটার পর একটা জামাত হবে। মুসল্লিরা আসবেন নামাজ পড়তে। আমার নামাজ পড়া হয়ে গেছে, এখন যদি আমি বা আমরা এখানে দাঁড়িয়ে থাকি তাহলে অন্য মুসল্লিদের প্রবেশ করতে অসুবিধা হবে। নিজে একটু কষ্ট করে বাসায় গেলে অন্যরা তো একটু স্বস্তিতে নামাজ পড়তে পারবেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৫ জুন ২০১৯/মামুন খান/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন