ঢাকা     বুধবার   ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৪ ১৪৩১

জোর করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট না খাওয়ানোর পরামর্শ

মুহাম্মদ নূরুজ্জামান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৪৬, ২ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
জোর করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট না খাওয়ানোর পরামর্শ

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা : কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর পর দক্ষিণাঞ্চলের তিন জেলায় ৪০০ শিশুকে হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে পাঠানো হয়েছে।

এ ঘটনার পর খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর থেকে জোর করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট না খাওয়ানোর জন্য সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে। সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচির প্রথম দিন লক্ষ্যমাত্রার ৮০ শতাংশ শিশুকে ট্যাবলেট খাওয়ানো হয়। আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলবে।

পরিচালক (স্বাস্থ্য) মো. রওশন আনোয়ার রোববার এ রাইজিংবিডিকে বলেন, শিশুরা মূলত শনিবার আতঙ্কগ্রস্ত ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়ে স্বাস্থ্যসেবা নিতে আসে। কুষ্টিয়ায় পাঁচজন, শৈলকুপায় ১০ জন ও মাগুরায় একজন শিশু চিকিৎসাধীন আছে। তার দেওয়া তথ্য মতে, জোর করে কৃমিনাশক ট্যাবলেট না খাওয়াতে সিভিল সার্জন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের কাছে ক্ষুদেবার্তা পাঠানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য বিভাগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঝিনাইদহের শৈলকুপায় ১৮৬ জন, ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে পাঁচজন, কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ২৫০ জন এবং মাগুরা সদর হাসপাতালে ১২ জন শিশু শনিবার ভর্তি হয়।

স্বাস্থ্য বিভাগের সূত্র উল্লেখ করে, শিশুরা খালি পেটে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খেলে বমি হতে পারে। তা ছাড়া আতঙ্কগ্রস্ত হয়েও অনেকেই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শনিবার ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলার অচিন্তপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে শুরু করে। এরপর একে একে দেবতলা প্রাইমারি স্কুল, কবিরপুর প্রাইমারি স্কুল, হিতামপুর প্রাইমারি স্কুল, কাতলাগাড়ি হাইস্কুলসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হতে থাকে। 

ঝিনাইদহের সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা এ প্রসঙ্গে বলেন, জেলায় ৮১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাঁচ লাখ শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট না খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এ পর্যন্ত ৮০ শতাংশ সফল হয়েছে।

মাগুরার সিভিল সার্জন ডা. মুন্সি মো. ছাদুল্লাহ জানান, ১/২ জন শিশু চিকিৎসাধীন আছে। জেলার লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২ লাখ ৫৫ হাজার শিশুকে ট্যাবলেট খাওয়ানো।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডা. মো. নাজমুল ইসলাম জানান, পাঁচ লাখ শিশুকে কৃমিনাশক ট্যাবলেট খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল। জোর করে কাউকে ট্যাবলেট খাওয়ানো হচ্ছে না। বৃহস্পতিবার নাগাদ লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা আশাবাদী।



রাইজিংবিডি/খুলনা/২ এপ্রিল ২০১৭/মুহাম্মদ নূরুজ্জামান/রিশিত

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়