ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বার্ন হাসপাতালের কাজ ১৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৩৬, ৯ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বার্ন হাসপাতালের কাজ ১৬ মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ

সচিবালয় প্রতিবেদক : ‘রাজধানীর চানখাঁরপুলে নির্মাণাধীন ‘শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি’ এর কাজ ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।

মঙ্গলবার বার্ন হাসপাতালের নির্মাণকাজ পরিদর্শনকালে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেন।

মন্ত্রী বলেন, ‘এটি আন্তর্জাতিক মানের সর্ববৃহৎ বার্ন হাসপাতাল, যা স্বাস্থ্যখাতের বড় একটি অর্জন। নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার পরপরই দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হাসপাতালটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন। আশা করি অগ্নিদগ্ধ মানুষের সেবাদানের ক্ষেত্রে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতাল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলে শীর্ষস্থানে পৌঁছাতে সক্ষম হবে।’

পৃথক বার্ন হাসপাতালের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘২০১৩ ও ২০১৪ সালে বিরোধী দলের জ্বালাও পোড়াও রাজনীতি এবং আগুন সন্ত্রাসের শিকার অগ্নিদগ্ধ নিরীহ মানুষের আর্তনাদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ব্যথিত করে। সে সময় তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বার্ন ইউনিটে ছুটে গিয়েছিলেন অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে। তাঁরই নির্দেশে এদেশে প্রথম আন্তর্জাতিক মানের একটি বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইনস্টিটিউট গড়ে তোলার কাজ হাতে নেয়া হয়।

মন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালটিতে দক্ষ, প্রশিক্ষিত চিকিৎসক ও নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে। শতভাগ সেবার মান নিশ্চিত করা হবে। এমনভাবে প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলা হবে যেন বিদেশ থেকে রোগীরা এই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন।’

হাসপাতাল পরিদর্শনকালে ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপনার মাধ্যমে অবহিত করা হয়। এসময় জানানো হয়, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসক ও নার্সদের তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যে এই হাসপাতালের জন্য বাংলাদেশের চিকিৎসক ও নার্সদের প্রশিক্ষণের কাজ শুরু হয়েছে। গত এপ্রিলে এক ব্যাচের প্রশিক্ষণ সম্পন্ন হয়েছে। তিন বছর মেয়াদে ধাপে ধাপে এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন হবে।

মন্ত্রী হাসপাতালের নির্মাণ কাজ যেন ক্রটিমুক্ত ও বিশ্বমানের হয় সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার নির্দেশ দেন। একইসঙ্গে ইনস্টিটিউটে গবেষণা এবং দক্ষ জনবল সৃষ্টিতে শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ সৃষ্টির উপরও তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ছাড়াও প্রকল্প সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. সামন্ত লাল সেন, ঢামেক বার্ন ইউনিটের প্রধান  অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক আফজালুর রহমান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ডা. দিলীপ কুমার রায়সহ মন্ত্রণালয়, ঢামেক হাসপাতাল এবং নির্মাণ সংশ্লিষ্ট সেনাবাহিনীর ঊর্দ্ধতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৯ মে ২০১৭/নঈমুদ্দীন/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়