ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বিশ্ব আইবিডি দিবস পালিত

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১১, ২০ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিশ্ব আইবিডি দিবস পালিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনফ্ল্যামেটরি বাওয়েল ডিজিজ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে বিশ্ব আইবিডি দিবস পালিত হয়েছে।

শনিবার এ উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের নেতৃত্বে র‌্যালিটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন অংশ প্রদক্ষিণ করে।

এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ছিল ‘ইউনাইটেড উই স্ট্যান্ড’। র‌্যালিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, ডেন্টাল অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মো. গাজী শামীম হাসান, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এবিএম আব্দুল হান্নান, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. প্রজেশ কুমার রায়, সহযোগী অধ্যাপক ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষসহ ওই বিভাগের শিক্ষক, চিকিৎসক ও শিক্ষার্থীরা অংশ নেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. চঞ্চল কুমার ঘোষ জানান, ইনফ্লামেটরি বাওয়েল ডিজিজ (আইবিডি) অর্থাৎ ক্রন্স ডিজিজ ও আলসারেটিভ কোলাইটিস দুটি রোগই খুব জটিল। এই রোগ দুটো সারা জীবনের রোগ অর্থাৎ এখন পর্যন্ত যত ওষুধ আবিষ্কার হয়েছে তার মাধ্যমে নিরাময়যোগ্য নয়। এ ছাড়া বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সমস্যা বা জটিলতার আশঙ্কা থাকে। তারপরও আধুনিক চিকিৎসার মাধ্যমে বেশির ভাগ রোগী রোগ নিয়ন্ত্রণ রেখে সুখী সমৃদ্ধ ও পারিবারিক জীবন উপভোগ করতে পারেন।

তিনি বলেন, প্রতিটি রোগীর উপসর্গে কিছু ভিন্নতা থাকে এবং রোগের মাত্রা বা তীব্রতা সকল রোগীর জন্য একরকম নয়। ফলে রোগ নিয়ন্ত্রণে উপসর্গের উপশমের জন্য বিভিন্ন ওষুধের সমন্বয়ে চিকিৎসা করা হয়। রোগের তীব্রতা অনুযায়ী ওষুধের মাত্রা ও প্রকার বাড়ানো ও কমানো হয়। এই রোগে ব্যবহৃত প্রতিটি ওষুধের কম বেশি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে। সবসময় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কম রেখে বা দূরে রেখে রোগকে পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করা হয়। তবে রোগের তীব্র অবস্থা দমনের জন্য প্রাথমিক ওষুধ প্রয়োগের সময় কিছু কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেনে নিতে হয়, তা না হলে রোগ সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না। তবে অবশ্যই কোনো মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মেনে নেওয়া হয় না এবং প্রয়োজনে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াকারী ওষুধ তাৎক্ষণিক বন্ধ করে অন্য ওষুধ প্রয়োগ করা হয়।

ক্রস ডিজিস ও আলসারেটিভ কোলাইটিস রোগ নিয়ে শুধু একই ওষুধ সবসময় খেয়ে ভালো থাকার নিশ্চয়তা নেই। তাই নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে পরীক্ষার মাধ্যমে রোগের প্রকৃত অবস্থা জেনে সময় সময় ওষুধের প্রকার ও মাত্রা নির্ধারণ করতে হয়। এতে চিকিৎসার ব্যয় বেড়ে যায় সত্য, তবে সুস্থ থাকতে হলে এর বিকল্প নেই। আর একটি বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ তা হলো এ দুটো রোগে পরিপাকতন্ত্র এবং এর বাইরে বিভিন্ন আকস্মিক জটিলতা হতে পারে এবং তার জন্য জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে। যেমন অন্ত্রের সংকোচন বা ছিদ্রজনিত জটিলতার জন্য জরুরি অপারেশন প্রয়োজন হতে পারে। আবার অন্ত্রের বাইরে চোখের প্রদাহের জন্য জরুরি চোখের চিকিৎসা এবং শরীরের বিভিন্ন গিটে প্রদাহের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তাই নিজের প্রতি যত্নশীল হতে হবে এবং ওষুধ প্রয়োগের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ মে ২০১৭/সাওন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়