ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

বিএসএমএমইউর উপাচার্য আইপিপিএনডব্লিউর সহ-সভাপতি নির্বাচিত

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৫১, ৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বিএসএমএমইউর উপাচার্য আইপিপিএনডব্লিউর সহ-সভাপতি নির্বাচিত

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান ইন্টারন্যাশনাল ফিজিশয়ান্স ফর দি প্রিভেনশন অব নিউক্লিয়ার ওয়ার (আইপিপিএনডব্লিউ)-এর সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আইপিপিএনডব্লিউ নোবেল বিজয়ী পারমাণবিক যুদ্ধ প্রতিরোধবিষয়ক চিকিৎসকদের আন্তর্জাতিক সংগঠন।

বুধবার যুক্তরাজ্যের ইয়র্কে অনুষ্ঠিত আইপিপিএনডব্লিউর সম্মেলনের সমাপনী দিনে তিনি সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন।

এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ার নিউক্লিয়ারবিরোধী কর্মসূচি আরো বেগবান হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বর্তমান বিশ্ব বাস্তবতায় পারমাণবিক যুদ্ধসহ পারমাণবিক অস্ত্রের ব্যবহারের ঝুঁকি ক্রমশ বাড়ছে। এ অবস্থায় বিশ্বের ৬৪টি দেশের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও সচেতন নাগরিকদের প্রিয় সংগঠন আইপিপিএনডব্লিউর উপযোগিতা ও গুরুত্ব ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৮৩ সালে নোবেল প্রাইজ বিজয়ী এই সংগঠনটি পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহারজনিত স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে কাজ করে যাচ্ছে। আইপিপিএনডব্লিউর বাংলাদেশের অঙ্গসংগঠন হচ্ছে পিএসআর বাংলাদেশ। যা বাংলাদেশের প্রথিতযশা চিকিৎসকদের দ্বারা পরিচালিত। পিএসআর বাংলাদেশ খাদ্যে ভেজাল, ছোট অস্ত্র ব্যবহার রোধ এবং জঙ্গিবাদ প্রতিরোধের মতো বিষয়ে জনমত গঠন করতে কাজ করে যাচ্ছে।

উল্লেখ্য, চলতি মাসের ৩ থেকে ৬ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ডের ইয়র্কে অনুষ্ঠিত হয় আইপিপিএনডব্লিউর কেন্দ্রীয় সম্মেলন। এতে সারা বিশ্বের চিকিৎসকদের পাশাপাশি অংশ নেন প্রচুর মেডিক্যাল ছাত্রছাত্রী। এই সম্মেলনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন পিএসআর বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডা. এ.কে.এম সালেক। প্রতিবারের মতো এবারও বৈশ্বিক বিষয়ে আলোচনা ও কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় কমিটি নির্বাচিত হয়। নির্বাচনে কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন পিএসআর বাংলাদেশের সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যায়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।

এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান আইপিপিএনডব্লিউর সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ায় বিএসএমএমইউর বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, বিভিন্ন অফিস প্রধানসহ এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্রছাত্রী, চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাকে অভিনন্দন জানান।   

মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান ১৯৫৫ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল থানার ভাবনদত্ত গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবার নাম মো. হারুনুর রশীদ খান এবং মাতার নাম মিসেস রোকেয়া খান। পারিবারিক জীবনে তিনি প্রখ্যাত নাট্যকার-অভিনেতা ও মুক্তিযোদ্ধা মামুনুর রশীদের ছোট ভাই এবং তার স্ত্রী অধ্যাপক ডা. মাসুদা বেগম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের হেমাটোলজি বিভাগের অধ্যাপক।

ডা. কামরুল হাসান খান টাঙ্গাইলের বিন্দুবাসিনী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৭২ সালে বিজ্ঞান বিভাগে এসএসসি পাস করেন। ১৯৭৪ সালে নটর ডেম কলেজ থেকে এইচএসসি ও ১৯৮২ সালে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।

১৯৯১ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী হিসেবে অধ্যয়ন শুরু ও ১৯৯৪ সালে এমফিল ডিগ্রি অর্জন করার পর তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক, সহযোগী অধ্যাপক এবং পরবর্তী সময়ে প্যাথলজি বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে নিজেকে যুক্ত রেখে চিকিৎসা শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন।

কর্মজীবনে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা ছাড়াও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৮৯ সাল পর্যন্ত ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও জেলা হাসপাতালে মেডিক্যাল অফিসার এবং ১৯৮৯ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের প্রভাষক হিসেবে চাকরি করেছেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ সেপ্টেম্বর ২০১৭/সাওন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়