ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

দুদকের শুভেচ্ছা দূত সাকিব আল হাসান

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪২, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দুদকের শুভেচ্ছা দূত সাকিব আল হাসান

নিজস্ব প্রতিবেদক : দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) শুভেচ্ছা দূত হলেন নন্দিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান।

দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করার লক্ষ্য নিয়ে সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে শুভেচ্ছা দূত হিসেবে নিয়োগ দেয় কমিশন।

এ উপলক্ষে আজ দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটি বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানকে ক্রেস্ট এবং ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়।

এ সময় সাকিব আল হাসানকে উদ্দেশ করে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, আমরা সম্মিলিতভাবে দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধ করার চেষ্টা করছি। আপনারা বিশেষ করে আপনি বাংলাদেশকে একটি বিশেষ মাত্রায় নিয়ে গেছেন। বিশ্বে বাংলাদেশকে মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এজন্য আমরা গর্বিত।

তিনি বলেন, আপনি তরুণ, দেশকে কিছু দেওয়ার জন্য এখনই উত্তম সময়। আপনি দেশের কোটি কোটি তরুণ-তরুণীর আইকন। আপনার কারণে যদি দেশের ১০টি তরুণ সৎ জীবনযাপনে উদ্বুদ্ধ হয় সেটাও বিশাল প্রাপ্তি। তাই আপনাকে দুর্নীতি প্রতিরোধে কমিশনের শুভেচ্ছা দূত হিসেবে তরুণদের মাঝে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

নন্দিত ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান দুর্নীতি দমন কমিশনের কার্যক্রমকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের যেকোনো কর্মসূচিতে আমি আসব। আমরাও চাই দুর্নীতিমুক্ত দেশ। আমরা যখন কোনো দেশের অভিবাসন দপ্তরে আমাদের পাসপোর্ট জমা দেব, তখন তারা যেন মনে করে, বাংলাদেশের মানুষ দুর্নীতিমুক্ত এবং বিশ্বের রোল মডেল।’

কমিশনের চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, দুর্নীতি আমাদের দেশের মানুষের জন্য একটি লজ্জার বিষয়। এ লজ্জা থেকে মুক্তির জন্যই দুর্নীতি দমন কমিশন কাজ করছে। কমিশনের অন্যতম কাজ হচ্ছে মানুষকে দুর্নীতি প্রতিরোধের বিভিন্ন বার্তা পৌঁছে দেওয়া। যাতে দুর্নীতি সংঘটিত হওয়ার আগেই মানুষ সচেতন হয়। কমিশন চেষ্টা করছে দুর্নীতি সংঘটিত হওয়ার আগেই তা প্রতিরোধ করতে।

গত বছর দুর্নীতির সূচকে বাংলাদেশ দুই ধাপ এগিয়েছে উল্লেখ করে দুদক চেয়ারম্যান বলেন, এর অর্থ হচ্ছে দুর্নীতির বিরুদ্ধে কিছু ইতিবাচক কার্যক্রম হচ্ছে। ঘুষ নিতে ঘুষখোর কর্মকর্তারা ভয় পাচ্ছেন। অনেক রাঘব-বোয়াল এখন দুদকের জালে। এক্ষেত্রে কমিশন ব্যক্তির পদ-পদবি, সামাজিক মর্যাদা, রাজনৈতিক পরিচয়- কোনো কিছু দেখছে না। কমিশন শুধু দেখছে অভিযোগের ব্যাপকতা ও গুরুত্ব।

তিনি  বলেন, আমরা বিশ্বের প্রতিটি মানুষকে জানাতে চাই আমরা দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের নাগরিক নই। তিনি বলেন, আমরা জাতিগতভাবে আবেগপ্রবণ ও সহানুভূতিশীল; তাই আমরা বন্যা, ঘূর্ণিঝড় কিংবা অন্য যেকোনো দুর্যোগে যেমন মানুষের পাশে দাঁড়াই, তেমনি আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে বিজয় অর্জন করি। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে প্রতিটি আন্দোলনে দেশের তরুণ প্রজন্ম এগিয়ে এসেছে। দুর্নীতি প্রতিরোধেও তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে হবে। তাই কমিশন প্রতিটি কর্মসূচিতে তরুণদের সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছে।

ইকবাল মাহমুদ বলেন, এই দেশ আমার, আপনার আমাদের সবার। দুদক চেয়ারম্যান বা কমিশনারের পদটি কোনো চাকরির পদ নয়, এটি একটি মিশন। আমরা দুর্নীতি দমন ও প্রতিরোধে একটি মিশন নিয়ে কাজ করছি। 

তিনি বলেন, কমিশনকে ভয় পাবে শুধু দুর্নীতিপরায়ণ ব্যক্তিরা, সাধারণ মানুষ কমিশনকে ভয় পায় না, পাবেও না।

এ সময় দুদকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ সেপ্টেম্বর ২০১৭/এম এ রহমান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়