ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘আধুনিক মেডিক্যাল ব্যবস্থাপনা সময়ের দাবি’

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ১৬ অক্টোবর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘আধুনিক মেডিক্যাল ব্যবস্থাপনা সময়ের দাবি’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ সোসাইটি অব অ্যানেসথেসিওলজিস্টের উদ্যোগে র‌্যালি, সেমিনারসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে প্রতি বছরের মতো এবারও ১৭১তম বিশ্ব অ্যানেসথেসিয়া দিবস পালিত হয়েছে।

এবারে দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য ‘কোয়ালিফাইড অ্যানেসথেসিওলজিস্ট, কোয়ালিটি এনেসথেসিয়া’ ।

সোমবার পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান।

র‌্যালিতে বিশেষ অতিথি ছিলেন জ্যেষ্ঠ শিক্ষক ও এনেসথেসিওলজিস্ট অধ্যাপক ডা. আফজালুননেছা। র‌্যালিতে সোসাইটির সভাপতি অধ্যাপক এ বি এম মাকসুদুল আলম, মহাসচিব ও বিএসএমএমইউর অ্যানেসথেসিয়া, এনালজেসিয়া অ্যান্ড ইনটেনসিভ কেয়ার মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. দেবব্রত বণিক, অধ্যাপক এম আব্দুর রহমানসহ সারা দেশ থেকে আসা অ্যানেসথেসিওলজি বিষয়ের শিক্ষক, ছাত্র ও নবীন-প্রবীণ চিকিৎসকরা অংশ নেন।

র‌্যালি শেষে বিএসএমএমইউর শহীদ ডা. মিলন হলে বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন ডা. মানস কুমার বসু। সেখানে প্রধান অতিথি ছিলেন বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক কামরুল হাসান খান।

বৈজ্ঞানিক অধিবেশনে বিএসএমএমইউর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, প্রক্টর অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুর রহমান দুলাল, অধ্যাপক ডা. ফকরুননেসা, অধ্যাপক ডা. কে এম ইকবালসহ জ্যেষ্ঠ শিক্ষকরা বক্তব্য রাখেন।

সোসাইটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. কাওছার সরদার শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সোসাইটির সহ-সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম আব্দুর রহমান।

দিবসটি উপলক্ষে সকাল ১১টা ৫ মিনিটে কেক কাটা হয়। এ ছাড়া শহীদ ডা. মিলন হলে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়। সম্মেলনে সারা দেশ থেকে ৩০০ চিকিৎসক অংশ নেন।

অধিবেশনে প্রধান অতিথি কামরুল হাসান খান বলেন, আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে অ্যানেসথেসিওলজি একটি অপরিহার্য শাখা। বর্তমানে অ্যানেসথেসিওলজিস্টগণ শুধু ব্যথামুক্ত সার্জারি চিকিৎসায় সীমাবদ্ধ না থেকে মুমূর্ষু রোগীর নিবিড় পরিচর্যা, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা নিরাময় এবং নিরাময়অযোগ্য রোগীর চিকিৎসা প্রদানে সফলতার সাথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। দেশে চাহিদার তুলনায় অ্যানেসথেসিওলজিস্টদের খুবই অভাব। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অ্যানেসথেসিওলজিস্টের সংখ্যা বৃদ্ধিতে যথাযথ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, আধুনিক মেডিক্যাল ব্যবস্থাপনা ও ননপ্র্যাকটিসিং এখন সময়ের দাবি। মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ননপ্র্যাকটিসিং সিস্টেম চালু করা সম্ভব। চিকিৎসকসহ সাপোর্টিং স্টাফদের প্রধান কর্মক্ষেত্র যেন বিশ্রামের জায়গা না হয়, সেদিকে সংশ্লিষ্টদের অবশ্যই নজর দিতে হবে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ অক্টোবর ২০১৭/সাওন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়