ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ ৪ নভেম্বর শুরু

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:২২, ১ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ ৪ নভেম্বর শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : আগামী ৪ নভেম্বর দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে কৃমি নিয়ন্ত্রণ সপ্তাহ। নভেম্বর মাসে দুই ধাপে ৫ থেকে ১৬ বছর বয়সী সব শিশুকে (স্কুলগামী, স্কুল-বহির্ভূত এবং স্কুল থেকে ঝরে পড়া) একডোজ কৃমিনাশক (মেবেন্ডাজল) ওষুধ বিনামূল্যে খাওয়ানো হবে।

৪ থেকে ৯ নভেম্বর দেশের প্রাথমিক পর্যায়ের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে উপস্থিতির মাধ্যমে ৫ থেকে ১২ বছর বয়সী সব শিশুকে এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৬ থেকে ২৩ নভেম্বর দেশের সব মাধ্যমিক পর্যায়ের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির মাধ্যমে ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী সব শিশুকে ওই ওষুধ খাওয়ানো হবে।

বুধবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার ফাইলেরিয়াসিস নির্মূল, কৃমি নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষুদে ডাক্তার কার্যক্রম এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, পরিচালক (রোগ নিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনাসহ অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।  

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. সানিয়া তাহমিনা বলেন, এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৫ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের মধ্যে কৃমি সংক্রমণের হার সবচেয়ে বেশি। চলতি বছরের এপ্রিল রাউন্ড থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের সহায়তায় ১২ থেকে ১৬ বছর বয়সী শিশুদেরকেও কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে।  

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, কৃমির ওষুধ খেলে বমি বমি ভাব হতে পারে। এছাড়া পেট ও মাথাব্যথার মতো উপসর্গ দেখা দিতে পারে। তবে এগুলো  বড় ধরনের কোনো সমস্যা নয়। এসব উপসর্গ দীর্ঘ সময়ও থাকে না।

অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, কৃমি নিয়ে মানুষের মধ্যে এখনও এক ধরনের আশঙ্কা কাজ করে। শিশুদের কৃমিনাশক যেসব ওষুধ খাওয়ানো হচ্ছে তা মানসম্মত। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রি-কোয়ালিফাইড। ওষুধের মান নিয়ে কোনো সংশয় নেই। কৃমিনাশক ওষুধ খাওয়ার পর কোনো উপসর্গ দেখা দিলে আতঙ্কিত না হয়ে চিকিৎসকের কাছে যাবার পরামর্শ দেন তিনি।

খালি পেটে কৃমিনাশক ওষুধ না খাওয়া, ওষুধ খাওয়ার পর বেশিক্ষণ রোদে না থাকা, পিটি বা প্যারেড না করার পরামর্শ দেন ডা. সানিয়া তাহমিনা। আগের বার কৃমির ওষুধ খেয়ে শিশুদের অসুস্থ হওয়ার বিষয়টিকে ‘গণমনস্তাত্ত্বিক সমস্যা’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেখা গেছে একজনের দেখাদেখি অন্যরাও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। অক্টোবর মাসে এই সপ্তাহ উদযাপন করার কথা থাকলেও পর্যাপ্ত ওষুধ মজুদ না থাকায় তা পিছিয়ে নভেম্বর মাসে পালিত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১ নভেম্বর ২০১৭/সাওন/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়