৩৭৭৭ রোগীর ক্যানসারের প্রকার চিহ্নিত
নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) আট বছরে ৩ হাজার ৭৭৭ রোগীর ক্যানসারের সুনির্দিষ্ট প্রকার চিহ্নিত করা হয়েছে।
সোমবার বিএসএমএমইউর ডা. মিলন হলে এক সেমিনারে এ তথ্য জানানো হয়। ‘ইমিউনোহিস্টোকেমিস্ট : নিউ এরা ইন ডায়াগনোস্টিক সার্জিক্যাল প্যাথলজি’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয়ের সেমিনার সাব কমিটি।
সেমিনারে সাব কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. চৌধুরী ইয়াকুব জামালের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কমরুল হাসান খান, প্যাথলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. আসীম রঞ্জন বড়ুয়া, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ কামাল, সহযোগী অধ্যাপক ডা. এ কে এম নূরুল কবির ও সহযোগী অধ্যাপক ডা. শবনম আখতার।
সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ডা. মো. রেজাউল আমিন, ডা. ফেরদৌসী বেগম ও ডা. বিষ্ণুপদ দে।
সেমিনারে জানানো হয়, বিএসএমএমইউর প্যাথলজি বিভাগে ২০০৯ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ৩ হাজার ৭৭৭ জন ক্যানসার রোগীর প্রকার নির্ণয় সম্ভব হয়েছে।
সেখানে আরো জানানো হয়, ইমিউনোহিস্টোকেমিস্ট সুনির্দিষ্টভাবে ক্যানসারের প্রকার নির্ণয়ের কারণে রোগীদের যথাযথ চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হচ্ছে।
এ সময় বক্তারা বলেন, এমন কিছু ক্যানসার আছে যার টিস্যু শুধুমাত্র স্লাইড দেখে নির্ণয় করা যায় না। এ ক্ষেত্রে ইমিউনোহিস্টোকেমিস্টের সহায়তা নিতে হয়। এর মাধ্যমেই কারসিনোমা, সারকোমা, লিম্ফোমা, মেলানোমা ইত্যাদি ক্যানসার নির্ণয় করা হয়।
বক্তারা আরো বলেন, কনসারের প্রকারভেদ আরো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করতে মলিউলার প্যাথলজিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। প্রকৃতপক্ষে ইমিউনোহিস্টোকেমিস্ট ও মলিউলার প্যাথলজির মাধ্যমে সুনির্দিষ্টভাবে ক্যানসারের সঠিক থেরাপি দেওয়াসহ যথাযথ চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ নভেম্বর ২০১৭/সাওন/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন