ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আব্বাসের চিকিৎসায় আগ্রহী সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০২, ২ এপ্রিল ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আব্বাসের চিকিৎসায় আগ্রহী সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল

নিজস্ব প্রতিবেদক : মাদারীপুরের ১৩ বছরের কিশোর আব্বাস শেখের চিকিৎসায় সহযোগিতায় আগ্রহ প্রকাশ করেছে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

আব্বাস শেখ বিরল রোগে (ওয়াইল্ড সিন্ড্রোম) আক্রান্ত। বর্তমানে রাজধানীর মালিবাগে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে।

সোমবার সকাল ৯টায় ঢামেকের দ্বিতীয় তলায় ‘ক্যাপাসিটি ইনহ্যান্সমেন্ট ফর বার্নস’ শীর্ষক প্রশিক্ষণ কর্মশালায় সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সি জ্যাক চং এ আগ্রহের কথা জানান।

এর আগে সকালে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাবরীনা ইয়াসমীনের নেতৃত্বে একটি টিম আব্বাস শেখকে নিয়ে ঢামেকের বার্ন ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লালের কাছে যান। সেখানে ‘ওয়াইল্ড সিন্ড্রোম’ রোগে আক্রান্ত আব্বাস শেখের চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা ও সেমিনার হয়।

সেমিনারে ডা. সাবরীনা ইয়াসমীনের তত্ত্বাবধানে আব্বাসের চিকিৎসা, রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা সংক্রান্ত বিষয়াবলি ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে সনাক্ত করেছে-তা সহযোগী অধ্যাপক ডা. তৌহিদা নূর উপস্থাপন করেন।

ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ডা. নয়াজেশ আলী খান, সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সি জ্যাক চং, ক্রিটিক্যাল কেয়ার মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. লীই প্যাংক, ডা. সামন্ত লাল সেন ও ডা. সাবরীনা ইয়াসমীন তাদের নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করেন। তারা সবাই আব্বাস যে ‘ওয়াইল্ড সিন্ড্রোম’ আক্রান্ত তাতে সহমত পোষণ করেন।

ডা. সি জ্যাক চং বলেন, এ পর্যন্ত আব্বাস শেখকে সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ যে চিকিৎসা দিয়েছে তা সঠিক ও কার্যকরি।

তিনি বলেন, ওয়াইল্ড সিন্ড্রোম রোগটি যে বিরল তাতে সন্দেহ নেই। পৃথিবীতে হাতে গোনা তিন থেকে চারটি কেস স্টাডি রয়েছে। ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ ও আব্বাস শেখের অভিভাবক যদি চায়, তবে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এই রোগীর চিকিৎসায় সহযোগিতা করবে।

ডা. লীই প্যাংক বলেন, আব্বাসকে অপারেশন করতে হলে তার শারীরিক অবস্থা উন্নত করতে হবে।

অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বলেন, আব্বাসের শরীরের হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের উপস্থিত রয়েছে। তবে তা কোন প্রজাতির তা সনাক্ত করতে হবে। এ ক্ষেত্রে  ইনিস্টিউট অব ইপিডেমাইলোজি ডিসেস কন্ট্রোল অ্যান্ড রিসার্চের (আইডিসিআর) সহযোগিতা নেওয়া যেতে পারে। আব্বাসের পা রিকন্সট্রাকটিভ করা যাবে যদি তার অভিভাবকরা চান।

ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আব্বাসকে পুরোপুরি সুস্থ করা সম্ভব নয়। আব্বাসকে বেশ কয়েকটি ধাপে অপারেশন করতে হবে। আব্বাসকে ধাপে ধাপে অপারেশন করা গেলে তার স্বাভাবিক জীবনযাপন উন্নত হবে।

প্রসঙ্গত, ১৯ ও ২০ ফেব্রুয়ারি মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার আব্বাস শেখকে নিয়ে বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের প্রকাশিত সংবাদ প্রতিষ্ঠানটির চিফ ইক্সিকিউটিভ অফিসার (সিইও) অধ্যক্ষ ডা. এমএ আজিজের নজরে আসে। তিনি তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেন। এরপর থেকে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ এপ্রিল ২০১৮/সাওন/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়