ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

দীর্ঘদিনেও সিএজি পদে নিয়োগ না দেওয়ায় টিআইবি’র উদ্বেগ

এম এ রহমান মাসুম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:১৪, ১১ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দীর্ঘদিনেও সিএজি পদে নিয়োগ না দেওয়ায় টিআইবি’র উদ্বেগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: দুই মাসের বেশি সময় ধরে মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (কম্পট্রোলার ও অডিটর জেনারেল-সিএজি) এর মত গুরুত্বপূর্ণ পদে কাউকে নিয়োগ না দেয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

একই সঙ্গে স্বচ্ছ নিয়োগ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনতিবিলম্বে নতুন মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক নিয়োগের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

বুধবার এক বিবৃতিতে ওই দাবি জানিয়েছেন টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান। তিনি বলেছেন, সিএজি’র মত সাংবিধানিক পদ দীর্ঘদিন শূন্য থাকা সুশাসন প্রতিষ্ঠা ও দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণে রাষ্ট্র কাঠামোতে প্রাতিষ্ঠানিক সামর্থ‌ সুদৃঢ় করার জন্য সরকারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। বিশেষ করে জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল ও টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের আওতাভুক্ত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সিএজি কার্যালয়কে সক্রিয় ও কার্যকর রাখতে সরকার আরো সক্রিয় হবে।

তিনি বলেন, সিএজি’র অবর্তমানে নিরীক্ষা প্রতিবেদন চূড়ান্ত করে যথাযথভাবে পেশ করা সম্ভব হচ্ছে না এবং প্রতিষ্ঠানের নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া স্থবির হওয়ার পাশাপাশি সার্বিক কার্যক্রমের কার্যকারিতা ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছে। তাই অনতিবিলম্বে এ বিষয়ে মহামান্য রাষ্ট্র্রপতির হস্তক্ষেপে সংবিধানসম্মতভাবে যথাশীঘ্র সম্ভব নতুন সিএজি হিসেবে সর্বোচ্চ যোগ্যতা ও গ্রহণযোগ্যতা সম্পন্ন প্রার্থীকে নিয়োগদানের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার পথ সুগম করতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপ্রতির দৃষ্টি আকর্ষণ করছে টিআইবি।

সিএজি পদটির সাংবিধানিক মর্যাদা ও গুরুত্বের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ভবিষ্যতে এ ধরণের শূন্যতা এড়াবার লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট সময়াবদ্ধ প্রক্রিয়া প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করা অপরিহার্য মনে করছে টিআইবি।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, এশিয়াভিত্তিক সুপ্রিম অডিট প্রতিষ্ঠান এশিয়ান অর্গানাইজেশন অব সুপ্রিম অডিট ইনস্টিটিউটের (এএসওএসএআই) গভর্নিং বোর্ড এবং আন্তর্জাতিক সুপ্রিম অডিট প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন ওয়ার্কিং গ্রুপের সদস্য হিসেবে সিএজি সম্পৃক্ত। সিএজি’র অনুপস্থিতিতে এ ধরণের আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে সিএজি কার্যালয়ের সহযোগিতার ক্ষেত্রে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে এবং স্বচ্ছতা ও সুশাসন প্রতিষ্ঠায় সরকারের অঙ্গীকার প্রশ্নবিদ্ধ হবে।

গত ২৭ এপ্রিল ২০১৮ প্রাক্তন সিএজি যথানিয়মে সাময়িকভাবে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের জন্য সর্বজ্যেষ্ঠ কর্মকতার ওপর দায়িত্ব অর্পণ করে অবসরে যান। এরপর প্রথা অনুযায়ী এখন পর্যন্ত নতুন সিএজি নিয়োগ দেওয়া হয়নি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ জুলাই ২০১৮/এম এ রহমান/শাহনেওয়াজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়