ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘অবকাঠামো হলেই হবে না, সেবার মান বাড়াতে হবে’

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:২৫, ২৫ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘অবকাঠামো হলেই হবে না, সেবার মান বাড়াতে হবে’

নিজস্ব প্রতিবেদক : স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবেদনশীলতার সঙ্গে জনগণের স্বাস্থ্যমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তার এ সংবেদনশীলতার কারণেই আগামী নির্বাচনে আবার জনগণ আওযামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।

বুধবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নতুন চারটি ইমার্জেন্সি অপারেশন থিয়েটার, সার্জিক্যাল এইচডিইউ এবং ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উন্নত যন্ত্রপাতি চালুকরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেবার মান আরো বাড়ানোর তাগিদ দিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শুধু আধুনিক অবকাঠামো হলেই হবে না, সেবার মান বাড়াতে হবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সেবার ক্ষেত্রে কোনো দলাদলি, রাজনীতি নয়, সেবার মানই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য সেক্টরে নতুন নতুন অবকাঠামো নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। মাতৃ ও শিশুমৃত্যু হার কমেছে। তারপরও রোগীর চাপ অব্যাহত আছে। এই চাপ সামলাতে সরকার সারা দেশে নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করছে। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালকেও ৫ হাজার শয্যাবিশিষ্ট করে নতুন আঙ্গিকে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে সরকার।

মোহাম্মদ নাসিম বলেন, হাসপাতালের সব ধরনের জরুরি অপারেশন বিনামূল্যে সম্পন্ন করাসহ অন্য সব অপারেশন নামমাত্র মূল্যে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। হাসপাতালের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা এক শিফটের পরিবর্তে দুই শিফটে এবং জরুরি পরীক্ষাসমূহ সার্বক্ষণিক সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে রোগীদের দুর্ভোগ কমেছে।

এ সময় জানানো হয়, ঢামেক হাসপাতালের জরুরি শল্য চিকিৎসা দ্রুততার সাথে নিশ্চিত কল্পে এই নতুন চারটি জরুরি অপারেশন থিয়েটার কার্যক্রমের মাধ্যমে যথাক্রমে অর্থোপেডিক্স, জেনারেল সার্জারি, থোরাসিক সার্জারি, ইউরোলজি, নিউরোসার্জারি, ইএনটি, চক্ষু, ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি, শিশু সার্জারি বিভাগের রোগীদের ২৪ ঘণ্টাই সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে। এছাড়া, হাসপাতালের পরিবেশ সুষ্ঠু সুন্দর রাখতে আনসার সদস্যের সংখ্যা ২৪০-এ উন্নীত করা হয়েছে।

মন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সকলকে তৎপর থাকতে হবে। ভর্তি হওয়া রোগীপ্রতি একজনের বেশি স্বজন যেন না থাকে সেদিকে কঠোর অবস্থানে থাকতে হবে। স্বজনদের ভিড় কমে গেলে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার সহজতর হবে।

অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ, ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার এ কে এম নাসির উদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পরে বিকেলে স্বাস্থ্যমন্ত্রী স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ ও মিটফোর্ড হাসপাতাল পরিদর্শনে যান। এ সময় তিনি হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে দেখেন, হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত খোঁজ-খবর নেন এবং রোগীদের সঙ্গে কথা বলে সার্বিক সেবার মান সম্পর্কে অবহিত হন।

পরে মন্ত্রী মিটফোর্ড হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় মিলিত হন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ জুলাই ২০১৮/সাওন/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়