ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘মানসিক চাপ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন জরুরি’

আরিফ সাওন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৪৭, ১০ অক্টোবর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘মানসিক চাপ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন জরুরি’

নিজস্ব প্রতিবেদক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেছেন, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত ঘুম, ব্যায়াম, মানসিক চাপ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন, আবেগ নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

বুধবার বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে আয়োজিত অনুষ্ঠানে একথা বলেন ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের উদ্যোগে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে র‌্যালি, সেমিনার, নাটক প্রদর্শনী, কুইজ প্রতিযোগিতা, ক্রেস্ট প্রদানসহ বর্ণাঢ্য নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস ২০১৮ পালিত হয়েছে। দিবসটির এবারে প্রতিপাদ্য ‘পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য’।

বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার।

সভাপতিত্ব করেন মনোরোগবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. এম এম এ সালাউদ্দীন কাউসার বিপ্লব। আরো বক্তব্য রাখেন মনোরোগবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার, অধ্যাপক এম এস আই মল্লিক।

উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, বিশ্ব এখন তরুণদের। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে তরুণদের অবদান অনস্বীকার্য। তবে পরিবর্তনশীল বিশ্বে তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে অবশ্যই ভাবতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখার জন্য নিয়মিত ঘুম, ব্যায়াম, মানসিক চাপ মোকাবেলার সক্ষমতা অর্জন, আবেগ নিয়ন্ত্রণ জরুরি। এর মধ্যে শারীরিক ব্যায়াম খুবই প্রয়োজন।

তিনি বলেন, তরুণ প্রজন্মকে শারীরিক ব্যায়ামের প্রতি অধিক গুরুত্ব দিতে হবে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খেলাধূলা, বন্ধুদের সঙ্গে একসাথে বসে গল্প করা, সঙ্গীত শ্রবণের প্রয়োজন রয়েছে। তরুণ প্রজন্ম এখন আর তার পাশের লোকটির সাথে কথা না বলে মোবাইলেই সময় ব্যয় করে এ অবস্থার পরিবর্তন হওয়া জরুরি।

উপ-উপাচার্য  অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার বলেন, পরিবর্তনশীল বিশ্বে কিশোর-কিশোরী, তরুণ, বয়স্ক সকলেই কমবেশি প্রভাবিত হচ্ছে। এরমধ্যে তরুণরা সব চাইতে বেশি প্রভাতি হচ্ছে। যে কোনো পরিবর্তনই হতে হবে মানুষের কল্যাণের জন্যে। মানসিক স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে সুকুমারবৃত্তির বিকাশ ও প্রকৃত কল্যাণ হবে না। 

মনোরোগ বিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা.  এম এম এ সালাউদ্দীন কাউসার বিপ্লব বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোরোগবিদ্যা বিভাগ থেকে বিশ্বের সর্বশেষ প্রযুক্তির প্রয়োগ, সর্বাধুনিক চিকিৎসাসেবা প্রদান এবং গবেষণা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

অধ্যাপক ডা. ঝুনু শামসুন নাহার বলেন, প্রযুক্তির কল্যাণে এখন তরুণরা অনেককিছুই জানে। প্রযুক্তির ভালো বিষয়গুলো নিতে হবে এবং খারাপ বিষয়গুলো বর্জন করতে হবে।

অধ্যাপক এম এস আই মল্লিক বলেন, মানসিক স্বাস্থ্য বিষয়ে মানুষকে সচেতন করতে হবে এবং মানসিক স্বাস্থ্যের ব্যাপারে সেবা প্রাপ্তির বিষয়গুলো জানাতে হবে। সিজোফ্রেনিয়া রোগী কখনো ভালো হয় না এটা ঠিক না। এই ভ্রান্ত ধারণা ভাঙতে হবে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, বিশ্বব্যাপী অসুস্থতা ও ডিজএ্যাবালিটির অন্যতম প্রধান কারণ বিষন্নতা। ১০-১৯ বছর বয়সীদের অসুস্থতার শতকরা ১৬ ভাগ মানসিক কারণজনিত। ১৫-১৯ বছর বয়সীদের মৃত্যুর তৃতীয় প্রধান কারণ আত্মহত্যা। মানসিক স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি এবং মানসিক রোগের প্রতিকার হোক বর্তমান প্রজন্মের অঙ্গীকার।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১০ অক্টোবর ২০১৮/সাওন/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়