ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

চক্ষু সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্রতিবন্ধী

এসকে রেজা পারভেজ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫৯, ১৭ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চক্ষু সেবাগ্রহীতাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্রতিবন্ধী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক : প্রকল্প হাসপাতালগুলোতে যেসব মানুষ চক্ষু সেবা নিতে আসে তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্রতিবন্ধী। এর মধ্যে শুধু দৃষ্টি প্রতিবন্ধী বাদ দিলে ২৭ শতাংশ মানুষ অন্যান্য প্রতিবন্ধী হিসেবে বিদ্যমান।  উভয় ক্ষেত্রে পুরষের তুলনায় নারীর সংখ্যা বেশি।

বুধবার রাজধানীর বনানীর এক হোটেলে ‘ডিজঅ্যাবিলিটি ডাটা ডিজএগ্রিগেশন বেজলাইন ফাইন্ডিং শেয়ারিং’ শীর্ষক সেমিনারে সাইট সেভার্স এ জরিপ প্রতিবেদন তুলে ধরে।

এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাইট সেভার্সের সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার রফিকুল ইসলাম। প্রকল্প বাস্তবায়ন হাসপাতালগুলোসহ অস্থায়ী চক্ষু ক্যাম্পে চিকিৎসা নিতে আসা চারটি জেলার ৭ হাজার ৭৯ জন চক্ষু সেবাগ্রহীতার ওপর জরিপ চালানো হয়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৫০ বছরের বেশি বয়সের মানুষের মধ্যে প্রতিবন্ধিতার হার বেশি এবং কখনো কখনো তা প্রায় দুই-তৃতায়াংশের কাছাকাছি।  চোখের সমস্যা নিয়ে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে ৬৩ শতাংশ চক্ষু ক্যাম্পে এবং ৪৬ শতাংশ প্রকল্প হাসপাতালগুলোতে সেবা নেন।  দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ছাড়া অন্যান্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে ৩৩ শতাংশ চক্ষু ক্যাম্পে এবং ২৫ শতাংশ হাসপাতালে সেবা গ্রহণ করেন।  মোট নমুনার ৪২৮ জনের চোখের ছানি অপারেশন হয়েছে।

সাইট সেভার্সের কান্ট্রি ডিরেক্টর খন্দকার আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের পরিচালক (যুগ্ম সচিব) এস কে হামিম হাসান এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের প্রোগ্রাম ডিরেক্টর (উপ সচিব) ডা. আশরাফী আহমেদ প্রমুখ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে এস কে হামিম বলেন, ‘সাইট সেভার্স বাংলাদেশে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের মাঝে চক্ষু সেবা প্রদান করে প্রতিরোধযোগ্য দৃষ্টিহীনতা দূরীকরণ করে।  সাইট সেভার্স প্রতিবন্ধী ব্যক্তিরা অপ্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মতোই সমান অধিকার ভোগ করবে এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে দীর্ঘ দিন যাবত কাজ করছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়নে উল্লেখ্যযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।  শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়নের পাশাপাশি স্বাস্থ্য সেবায় প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের প্রবেশগমত্য একটি বিরাট চ্যালেঞ্জ।  যে কারণে অনেক প্রতিবন্ধী মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করতে পারে না।  কতজন প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বর্তমান স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা গ্রহণ করছে, তা জানাটা অনেক জরুরি।  এটি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে সহায়তা করবে।’

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৭ এপ্রিল ২০১৯/রেজা/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়