ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আফগানিস্তানে দ্বিতীয় দিনের মতো পাকিস্তানের অভিযান

তৈয়বুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:০২, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
আফগানিস্তানে দ্বিতীয় দিনের মতো পাকিস্তানের অভিযান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানি সৈন্যরা পরপর দ্বিতীয় দিনের মতো শনিবার সীমান্ত পাড়ি দিয়ে আফগানিস্তানে সন্ত্রাসীদের আস্তানায় অভিযান চালিয়েছে। এতে কয়েক সন্ত্রাসী নিহত হয়। অভিযানের পর আফগানিস্তানে নিযুক্ত পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূতকে ডেকে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী অভিযানের প্রতিবাদ করেন।

তিনি বলেন, অভিযানে তাদের কয়েক সৈন্যও নিহত হয়। জবাবে পাকিস্তানি দূত তাকে বলেন, আফগানিস্তানে সন্ত্রাসীদের নির্মূল করার জন্য চালানো হয় এই অভিযান।

জং পত্রিকার খবরে বলা হয়, পাকিস্তান সীমান্ত সংলগ্ন আফগানিস্তানের রেনা এলাকায় চালানো এই অভিযানে নিহত সন্ত্রাসীদের সবাই জামাতুল আহরারের সদস্য।

ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া খবরে বলা হয়, পাকিস্তানি সৈন্যরা জামাতুল আহরারের কয়েকটি আস্তানায় অভিযান চালায়। এতে সন্ত্রাসীদের কয়েকজন হতাহত হওয়া ছাড়াও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

জং পত্রিকার সাংবাদিকরা বলছেন, অভিযানে একজন কমান্ডারসহ ১৫ সন্ত্রাসী নিহত হয়। ধ্বংস হয়ে গেছে চারটি আস্তানা।

সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, ভারী অস্ত্র  ও মর্টার দিয়ে গোলাবর্ষণ করে রেনা পার্চাওয়ের আস্তানাগুলো ধ্বংস করা হয়। খাইবার এজেন্সির পাশের মোহাম্মদ এজেন্সির জঙ্গি আস্তানাতেও অভিযান চালোনো হয়। তবে সেখান থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির কোনো বিবরণ পাওয়া যায়নি।

সেনা অভিযান চালানোর আগে তোরখাম ও গোলাম খান সীমন্ত ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। কাছাকাছি সীমান্ত এলাকায় জারি করা হয় কার্ফিউ। পাঁচশ’রও বেশি দোকান বন্ধ রয়েছে। বন্ধ রয়েছে বেসরকারি অফিস-আদালত।

রেনা পার্চাও এলাকা থেকে লোকজন নিরাপদ এলাকায় সরে যাচ্ছে। সহকারি রাজনৈতিক এজেন্ট লাধিকোটাল নিয়াজ মোহাম্মদ এ কথা নিশ্চিত করে বলেন, প্রতি দশটি পরিবারের আটটি নিরাপদ স্থানে সরে গেছে। কিন্তু নিরপেক্ষ সূত্রগুলো বলছে, রেনা পার্চাও থেকে প্রায় দেড়শ ব্যক্তি সরে গেছে নিরাপদ স্থানে।

পাকিস্তানের কাস্টমস বিভাগে মুখপাত্র মেহমুল হাসান জানান, বেশ কয়েকটি সীমান্ত পথ বন্ধ থাকায় আটকা পড়েছে ট্রাক বোঝাই তাজা ফল ও শাকসবজি।

তোরখামের পাসপোর্ট বিভাগের কর্মকর্তা শামসুল ইসলাম জানান, সব ধরনের  সরকারি অফিস বন্ধ রয়েছে শনিবার দ্বিতীয় দিনের মতো। তবে খোলা রয়েছে তোরখামের সীমান্ত সংক্রান্ত অফিসগুলো।

এদিকে আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কাবুলস্থ পাকিস্তানি রাষ্টদূত আবরার হোসেনকে ডেকে নিয়ে সেনা অভিযানের প্রতিবাদ করেছে। কাবুল বলেছে, পাকিস্তানি ভূখণ্ড থেকে আফগানিস্তানের নানগরহর প্রদেশের লালপুর জেলা ও পাশের কুনার প্রদেশের সারকানো জেলায় গোলাবর্ষণ করা হয়েছে।

আফগানিস্তানের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী হেকমত খলিল খরজাই পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণের ব্যাখ্যা দাবি করেন। একই সঙ্গে পাকিস্তানে আত্মঘাতী বোমা হালায় বেশকিছু ব্যক্তি নিহত হওয়ায় শোক প্রকাশ করেন।

আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী দাবি করেন যে, পাকিস্তানি বাহিনীর গোলাবর্ষণে  কয়েকজন আফগান সৈন্য নিহত হয়।

 

 

 

 


রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/তৈয়বুর/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়