ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

মা-ভক্ত হিটলার

কাওসার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:২২, ২০ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
মা-ভক্ত হিটলার

হিটলারের মা ক্লারার প্রতিকৃতি, যা জার্মানির মিউনিখে হিটলারের ঘরে টাঙানো ছিল

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল শনিবার সন্ধ্যা। জার্মান সীমান্তের কাছে অস্ট্রিয়ান শহরের একটি শোধনাগারের ওপরে নির্মিত অ্যাপার্টমেন্টে এক কৃষক মেয়ে তার চতুর্থ সন্তানের জন্ম দেন। শিশুটি আর কেউ নন, অ্যাডলফ হিটলার।

হিটলারের ২৯ বছর বয়সি মা ক্লারা হিটলার জাতিতে ছিলেন পজল। প্রথমদিকে তিনি বয়স্ক অ্যালইসের দাসী ছিলেন। পরে তৃতীয় স্ত্রী হিসেবে তার সঙ্গেই সংসার শুরু করেন। দীর্ঘ দেহি ক্লারার মুখটা লম্বা হলেও স্মিত হাসি লেগেই থাকতো। একইসঙ্গে তিনি শান্ত ও লাজুক প্রকৃতির ছিলেন। অন্যদিকে সরকারি চাকরিজীবী অ্যালইস ছিলেন অত্যন্ত বদ মেজাজি।

১৯০৩ সালের এক সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যান অ্যালইস। তখন ক্লারা হয়ে ওঠেন হিটলারের একক অভিভাবক।

১৯০৫ সালে ১৬ বছর বয়সি হিটলার অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটান। তিনি মাকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তার পক্ষে নিয়মিত স্কুলে যাওয়া সম্ভব নয়। তার চেয়ে বাড়িতে মায়ের সঙ্গে থাকলেই তিনি বেশি ভালো থাকবেন। সেই সময়ের বর্ণনা করতে গিয়ে হিটলার বলেন, ‌‌‘সেই সুখি দিনগুলো আমার কাছে স্বপ্নের মতো মনে হয়।'

একবার তার মা ক্লারা বুকের ব্যথায় ভুগছিলেন। পারিবারিক চিকিৎসক জানালেন তার মায়ের ব্রেস্ট ক্যান্সার হয়েছে। যতো দ্রুত সম্ভব তা কেটে বাদ দিতে হবে। ওইসময় হিটলারের মায়ের স্তন কেটে বাদ দেওয়ার পর ইলেকট্রিক শক দিতে হয়েছিল। সেসময় হিটলার তার মায়ের পাশে থেকে নিজের সর্বোচ্চটা দিয়ে সেবা করেছেন।

পরবর্তী সময়ে স্মৃতিকথা লিখতে গিয়ে তাদের পারিবারিক ওই চিকিৎসক হিটলারের মায়ের প্রতি ভালোবাসা নিয়ে বেশ ইতিবাচক আলোচনা করেছেন।

১৯০৭ সালের ডিসেম্বরের এক ভোরে মাকেও হারান হিটলার। পারিবারিক চিকিৎসক ব্লোচ ওই সময় হিটলারকে মায়ের দিকে চেয়ে থাকতে দেখেন। স্মৃতিকথা লিখতে গিয়ে ওই চিকিৎসক উল্লেখ করেন, জীবদ্দশায় হিটলারের মতো মা-ভক্ত ছেলে তিনি দ্বিতীয়টি দেখেননি। চিকিৎসক হিসেবে দীর্ঘদিন তার মায়ের সেবা করায় ব্লোচের প্রতি হিটলারও খুব সন্তুষ্ট ছিলেন।

তথ্যসূত্র : এনডিটিভি অনলাইন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২০ এপ্রিল ২০১৭/কাওসার/রাসেল পারভেজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়