ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

এখন কী করবেন নওয়াজ?

কাওসার || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৪:৪৪, ২২ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
এখন কী করবেন নওয়াজ?

পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারির অভিযোগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে গত বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদ সুপ্রিম কোর্ট তদন্ত দল গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন।

শিগগির তদন্ত সম্পন্ন করে রায় দিলে সেটা প্রভাবিত হওয়ার আশঙ্কা খুব কম। তবে তা দীর্ঘায়িত হলে দমন কিংবা প্রভাবিত করার ঘটনা ঘটতে পারে। তবে এটা স্পষ্ট যে, প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে স্বচ্ছতার জন্য আদালতে লড়ে যেতে হবে। তা ছাড়া আদালতে শরিফের পরিবার যে ব্যাখ্যা হাজির করেছে, তাতে করে তার পরিবারের আর্থিক বিষয়াদি নিয়ে আরও প্রশ্ন উঠছে।

ইসলামাবাদের সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির মধ্যে তিনজনই একমত হয়েছেন, শরিফকে প্রধানমন্ত্রীর পদে অযোগ্য ঘোষণার মতো তাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। তবে অভিযোগের ব্যাপারে তার পরিবারের স্বচ্ছতার অভাব রয়েছে বলে সব বিচারকই একমত। তদন্তের ক্ষেত্রে আইনি ও রাজনৈতিকভাবে সমস্যা সৃষ্টি হওয়াটাই স্বাভাবিক ব্যাপার। কারণ, শরিফ আইনত বৈধভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। তবে এই ঘটনায় রাজনৈতিকভাবে তার বৈধতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এই সময়ে প্রধানমন্ত্রী অন্তত দুইটি বিকল্প গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে পারেন।

প্রথম বিকল্প : সুপ্রিম কোর্ট পরিচালিত তদন্তের সময় তাকে অস্থায়ীভাবে সরানো যেতে পারে। বৃহস্পতিবার ইসলামাবাদের সুপ্রিম কোর্ট তদন্তদল গঠনের নির্দেশ দেওয়ার পর পরই  ইমরান খান ওই দাবি জানিয়েছেন। গত বছরের এপ্রিল মাসে যখন পানামা পেপার্স কেলেঙ্কারির ঘটনা পাকিস্তানের রাজনৈতিক অঙ্গনে তোলপাড় ফেলে দিয়েছিল, তখনই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে, একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত প্রয়োজন। শরিফের পরিবারকেও ওই বিষয়ে প্রমাণাদি হাজির করতে হবে।

গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বিশ্বাসযোগ্যতা তখন লাইনেই ছিল। এখন, এক বছর পর এসে দুটি বিষয় প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এক. কোনও বিশ্বাসযোগ্য তদন্ত করা হয়নি এবং শরিফের ব্যবসা সাম্রাজ্যে সঠিক তদন্ত হয়নি। তদন্তকারী সংস্থার অন্তর্নিহিত সীমাবদ্ধতার কারণে  রাজনৈতিক প্রভাবে বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রীকে তার পদ থেকে অস্থায়ীভাবে সরিয়ে  দিলে ন্যায্য ও নিরপেক্ষ তদন্তের সম্ভাবনা অবশ্যই উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।

রাজনৈতিক অঙ্গনে যেহেতু শরিফ তার প্রতিদ্বন্দ্বী ইমরান খানকে বিজয়ী হতে দেখতে চাইবেন না এবং সুপ্রিম কোর্ট নিজেও শরিফের বিরুদ্ধে তড়িঘড়ি করে কাজ করতে অস্বীকার করেছে, সেহেতু প্রধানমন্ত্রীর কাছে দ্বিতীয় আরেকটি বিকল্প আছে।

সংসদ ভেঙে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সর্বদলীয় সাধারণ নির্বাচন দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ।  তাতে জনগণই রায় দেবে- শরিফ তার দাবি অনুযায়ী তখনও রাজনৈতিকভাবে বৈধ থাকবেন কি না। সব নির্বাচিত প্রতিনিধির অবশ্যই এই বৈধতা থাকা দরকার।  আর যদি নির্বাচনে হেরে যান তাহলে পিএমএল-এনকে জনগণ চার বছর আগে যে বৈধতা দিয়েছিল তা আপনা আপনি খারিজ হয়ে যাবে। এখন সময় এসছে শরিফের সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার।

তথ্যসূত্র : ডন অনলাইন।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ এপ্রিল ২০১৭/কাওসার/রাসেল পারভেজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়