ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা কখনোই বন্ধ হবে না : উ. কোরিয়া

আবীর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:৪৮, ২৭ এপ্রিল ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা কখনোই বন্ধ হবে না : উ. কোরিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সিএনএনের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এক উত্তর কোরীয় কর্মকর্তা জানান, তার দেশ পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা কখনোই বন্ধ করবে না, যতক্ষণ না আমেরিকা তার আগ্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ করছে।

উত্তর কোরিয়ার ‘একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সেস’- এর ‘ইনস্টিটিউট অব হিউম্যান রাইটস- এর পরিচালক সোক চোল ওয়ান জানান, বাইরের কোনো কিছুতে প্রভাবিত না হয়েই তারা তাদের ষষ্ঠ পারমাণবিক পরীক্ষা চালাবেন। তবে কখন চালানো হবে, তা নির্দিষ্ট করেননি তিনি।

তার দেশের পরমাণু সক্ষমতা বৃদ্ধিতে পরমাণু পরীক্ষা অপরিহার্য বলে মন্তব্য করেন ওয়ান। আর মার্কিন আগ্রাসী ও প্রতিকূল আচরণ চলতে থাকলে তারা কখনোই পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা বন্ধ করবেন না বলে জানান তিনি।

এই বিরল সাক্ষাৎকারে ওয়ানকে সব বিষয়ে কথা বলার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল বলে জানা গেছে।

কিম সাং ডুকসহ উত্তর কোরিয়ায় বন্দি তিন মার্কিন নাগরিকের ব্যাপারে প্রশ্ন করলে ওয়ান বলেন, তাদের সাধারণ কয়েদিদের মতোই রাখা হয়েছে।

দেশ ছেড়ে পালানো উত্তর কোরীয়রা বন্দিশিবিরে নির্যাতনের যে ভয়াবহতা বর্ণনা করেছেন, তা ডাহা মিথ্যা বলে উল্লেখ করেন ওয়ান। দেশত্যাগীদের অপরাধী হিসেবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, তারা যুক্তরাষ্ট্রের পুতুল। জাতিসংঘ মানবাধিকারকে ছুতো হিসেবে ব্যবহার করে তার দেশে নাক গলাতে চায় বলে জানান ওয়ান।

ওয়ানের মতে, মানবাধিকার হলো উত্তর কোরিয়া ও কিম জং-উনকে যেকোনো মূল্যে রক্ষা করা, এমনকি পারমাণবিক যুদ্ধের বিনিময়ে হলেও।

অন্যদিকে, উত্তর কোরিয়া বিষয়ে মার্কিন সিনেটরদের নিয়ে এক ব্রিফিংয়ে অর্থনৈতিক অবরোধ ও কূটনৈতিক চাপ বাড়ানোর ব্যাপারে জোর দেওয়া হয়। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের কথা বলেন অনেক সিনেটরই।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেক্স টিলারসন, প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেমস মাট্টিস এবং জাতীয় গোয়েন্দা প্রধান ড্যান কোটস শান্তিপূর্ণভাবে উত্তর কোরিয়াকে পরমাণু নিরস্ত্রীকরণের পক্ষে। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের আত্মরক্ষায় তারা বদ্ধপরিকর।

কোরীয় উপদ্বীপে ব্যাপক সমরসজ্জা ওই অঞ্চলে টানটান উত্তেজনা ক্রমান্বয়ে বাড়াচ্ছে। দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের থাড প্রযুক্তি ও সামরিক নৌবহর পাঠানোর পাশাপাশি উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনী ৮৫তম বার্ষিকীতে দেশটির ব্যাপক সামরিক কুচকাওয়াজ ও অস্ত্র প্রদর্শন এর উদাহরণ। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এসব কিছুর পরও আসল যুদ্ধের সম্ভাবনা কম। ওয়াশিংটনের উদ্দেশ্য, উত্তর কোরিয়ার প্রধান মিত্র ও অর্থনৈতিক ত্রাতা চীন যেন দুশ্চিন্তায় পড়ে এবং উত্তর কোরিয়ার ওপর লোক দেখানো চাপ বাদ দিয়ে সত্যি সত্যি কঠোরতা প্রদর্শন করা শুরু করে।

তথ্যসূত্র : সিএনএন অনলাইন




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৭ এপ্রিল ২০১৭/আবীর/রাসেল পারভেজ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়