ঢাকা     মঙ্গলবার   ২৩ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১০ ১৪৩১

উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পেছনের তিন মানুষ

শাহেদ হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:০৮, ২৬ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পেছনের তিন মানুষ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতিবার সফল ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার পর উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উনের সঙ্গে হাস্যজ্জল তিনটি মানুষের ছবি দেখতে পাওয়া যায়। কোনো ছবিতে তাদের কোলাকুল কিংবা ধুমপানও করতে দেখা যায়। আন্তর্জাতিক ও কোরিয়ার গণমাধ্যমে বারবার ছবি আসা এই তিন ব্যক্তিকে নিয়ে মার্কিন ও পশ্চিমা গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর আগ্রহের শেষ নেই। কারণ দেশটির দ্রুত চলমান পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা কর্মসূচি পরিচালনার শীর্ষ ব্যক্তিত্ব হচ্ছেন এই তিনজন।

এদের মধ্যে একজন হচ্ছেন রি পিয়ং চোল। তিনি হলেন বিমানবাহিনীর প্রাক্তন জেনারেল। দ্বিতীয়জন হচ্ছেন কিম জং সিক। পেশায় তিনি রকেট বিজ্ঞানী। আর তৃতীয়জন হচ্ছেন জাং চ্যান হান। তিনি হচ্ছেন সমরাস্ত্র উন্নয়ন ও সংগ্রহ কেন্দ্রের প্রধান।

ছবি ও টেলিভিশন ফুটেজ অনুযায়ী বোঝা যায়, এই তিনজন কিম জং উনের পছন্দের মানুষ। অন্য সরকারি কর্মকর্তাদের চেয়ে তাদের সঙ্গে কিমের ব্যবহার যে অন্যরকম তা স্পষ্টই বোঝা যায়। এদের মধ্যে দুজন আবার কিমের ব্যক্তিগত বিমান গোসহক-ওয়ানে ভ্রমণও করেছেন। উত্তর কোরিয়ার ক্রমবর্ধমান সমরাস্ত্র কর্মসূচিতে ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টি, সেনাবাহিনী ও বিজ্ঞানীদের মতো এই তিন অপরিহার্য ব্যক্তিত্ব।

কিম জং সিক ও জ্যাং কোনো অভিজাত পরিবার থেকে উঠে আসেননি। আর বিমান বাহিনীর প্রাক্তন কমান্ডার রি ছিলেন উত্তর কোরিয়ার এক সময়ের সেরা স্কুলের ছাত্র। এদের মধ্যে সেই বেশি পরিচিত। ক্যামেরার সামনে সবসময় হাসিমুখে আসা রি এখন ওয়ার্কার্স পার্টির সমরাস্ত্র ভান্ডার শিল্প বিভাগের প্রধান। এই বিভাগটিই উত্তর কোরিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি দেখভাল করে।

উত্তর কোরিয়ার শাসকদের ব্যাপারে বিশেষজ্ঞ মাইকেল ম্যাডেন বলেন, ‘এই তিনজনের মধ্যে প্রধান হচ্ছেন রি পিয়ং চোল। কিম জং উন যখন কোনো গুরুত্বপূর্ণ আলাপ করেন, সেখানেও তার উপস্থিতি থাকে।’

১৯৪৮ সালে জন্ম নেওয়া রি রাশিয়াতেও পড়াশোনা করেছেন। ২০০০ সালের পরে কিম জং উনের যখন র‌্যাংক বাড়ছিল তখন রিকে পদোন্নতি দেওয়া হয়। রি একবার চীন ও দুইবার রাশিয়া সফর করেছেন।

কিম জং সিক পেশায় রকেট বিজ্ঞানী। সরকারি বিমান প্রকৌশলী হিসেবে তার কর্মজীবনের শুরু। তবে এখন তিনি জেনারেলের পোষাক পরেন। ২০১২ সালে উত্তর কোরিয়ার প্রথম রকেট উৎক্ষেপণের সফলতার পেছনে কাজ করেছেন সমরাস্ত্র ভান্ডার বিভাগের প্রধান সিক।

তিনজনের মধ্যে সবচেয়ে রহস্যময় হচ্ছেন জ্যাং চ্যাং হা। জাতীয় প্রতিরক্ষা বিজ্ঞান একাডেমির প্রধান তিনি। সমরাস্ত্র নিয়ে উত্তর কোরিয়ার গোপন গবেষণা ও উন্নয়নের দেখভাল করেন তিনি। এর মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্রও রয়েছে। জ্যাংয়ের নেতৃত্বে একাডেমিতে কাজ করছে ১৫ হাজার কর্মকর্তা ও তিন হাজার ক্ষেপণাস্ত্র প্রকৌশলী।

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ মে ২০১৭/শাহেদ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়