ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

ব্যাংকের অপচয়-অনিয়ম মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে

হাসান মাহামুদ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৫:৩৭, ১৪ নভেম্বর ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ব্যাংকের অপচয়-অনিয়ম মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাষ্ট্র মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর অপচয় ও অনিয়ম মোকাবিলা করে আর্থিক শৃঙ্খলা, জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠার লক্ষে ইতিমধ্যে বেশকিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট সালমা ইসলামের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেন, এ লক্ষ্যে ২০১৩ সালের ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এ অধিকতর সংশোধনী আনা হয়েছে। ব্যাংকগুলোর অপারেশনাল এফিসিয়েন্সি বৃদ্ধি করা জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক নিয়মিত তদারকি করছে। বার্ষিক পারফরমেন্স চুক্তি করা হয়েছে, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা গাইডলাইন যথাযথভাবে পরিপালন করা হচ্ছে। ব্যাংকগুলোর ইন্টারকন্ট্রোল ও কমপ্লায়েন্স বিভাগ শক্তিশালী করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়াও ব্যাংকগুলোকে নিয়মিত পরিদর্শন ও পরীবিক্ষণ করা হচ্ছে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশের অব্যাহত সামষ্টিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভারসাম্য বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে।

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে দিন বদলের সনদ রচনা করেছেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি অর্জনের পথনকশা সে সনদে প্রথিত হয়েছে। ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উন্নত ও সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে যে লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, সেটি ধারণ করে সরকার সুনির্দিষ্ট ও সমন্বিত পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।

মুহা. গোলাম মোস্তফা বিশ্বাসের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য সরকার বেশকিছু অর্থনৈতিক পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। আগামী অর্থবছরে প্রবৃদ্ধি অর্জনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ, যা বিগত তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ।

এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে আবুল মাল আবদুল মুহিত জানান, ভোক্তাবান্ধব ও রাজস্ববান্ধব ডিজিটাল এনবিআর গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক বিভিন্ন উদ্ভাবনীমূলক ও করবান্ধব পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করা হয়েছে। সহজ আয়কর পরিগণনার জন্য ই-ক্যালকুলেটর ব্যবস্থা সংযুক্ত করা হয়েছে।

মোস্তাফিজুর রহমানের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে কার্যরত কেসরকারি ব্যাংকের সংখ্যা ৪৯টি এবং চলতি ২০১৭-১৮ অর্থবছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশের সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো কৃষকদের মধ্যে ২ হাজার ৭৬০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ বিতরণ করেছে।

মামুনুর রশীদ কিরনের এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রেরিত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ৪ হাজার ৫৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৬ দশমিক ৯ শতাংশ বেশি।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৪ নভেম্বর ২০১৭/হাসান/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়