ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘ওয়ালটন ফ্রিজ কিনেই ভাগ্য খুলতে শুরু করেছে’

জাকির হুসাইন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:২০, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘ওয়ালটন ফ্রিজ কিনেই ভাগ্য খুলতে শুরু করেছে’

মো. এরশাদের হাতে ওয়ালটনের লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য তুলে দেওয়া হচ্ছে

জাকির হুসাইন : ‘মাস্টার্স শেষ করার পরপরই আমার পিত্তথলিতে সমস্যা দেখা দেয়। ফলে গত এক বছরে কোনো চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি। এর মধ্যে ওয়ালটন থেকে ফ্রিজ কিনে এক লাখ টাকা পেয়েছি। আল্লাহ তায়ালার অশেষ মেহেরবানি। বর্তমানে শরীরের অবস্থাও কিছুটা উন্নতির দিকে। মনে হচ্ছে ওয়ালটন থেকেই আমার ভাগ্য খুলতে শুরু করেছে।’

কথাগুলো মো. এরশাদের। গত ২৫ জানুয়ারি রাজধানীর ধোলাইপাড়ের ওয়ালটনের ডিলার শোরুম বিএম করপোরেশন থেকে ২০ হাজার ৭০০ টাকা দিয়ে একটি ফ্রিজ কেনেন। আর সেই ফ্রিজ কিনেই ডিজিটাল ক্যাম্পেইনে পেয়েছেন এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার। এই প্রাপ্তিকে নিজের ভাগ্য পরিবর্তনের সূচনা হিসেবে দেখছেন তিনি।

মো. এরশাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তার বাড়ি পটুয়াখালীর বাউফল থানার ছিটকায়। চার ভাই ও তিন বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। বাবা বেঁচে নেই। বড় ভাই মাকে নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকেন। এক বোন চাকরির সুবাদে বরিশাল থাকেন। এরশাদসহ আর সবাই ঢাকায় থাকেন।

মো. এরশাদ বলেন, ‘আমি গত ১০ বছর ধরে রাজধানীর ধোলাইপাড় এলাকায় বড় আপার বাসায় থাকি। দুলাভাই সিঙ্গাপুর থাকেন। আপার কোনো ছেলেমেয়ে নেই। তিনি হাইকোর্টে অফিস সহকারী হিসেবে চাকরি করলেও আমি নিজে এখনো কিছু করতে পারছি না।’

কারণ হিসেবে এরশাদ বলেন, ‘এক বছর আগে তিতুমীর কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছি। এর পরপরই পিত্তথলিতে সমস্যা দেখা দেয়। দীর্ঘ একটা বছরেও কোনো চাকরির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারিনি। এমনকি শারীরিক সমস্যার কারণে কোনো ধরনের প্রস্তুতিও নিতে পারিনি। আমার বেশিরভাগ সময় বাসায় কাটে। তবে এখন শরীরের অবস্থা অনেকটা উন্নতির দিকে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘এদিকে আপার বাসায় একটি ফ্রিজ না হলে চলছিল না। চাকরির কারণে আপারও বেশি সময় ছিল না। ফলে এ দায়িত্ব আমার ওপর আসে। আপার কাছ থেকে টাকা নিয়ে গত ২৫ জানুয়ারি ওয়ালটনের শোরুম বিএম করপোরেশনে যাই। সেখান থেকে ১১ সিএফটি সাইজের ফ্রিজটি ২০ হাজার ৭০০ টাকা দিয়ে কিনি। তখন আমাকে জানানো হয়, ওয়ালটন পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করলে ২০০ টাকা থেকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, যা আমি প্রথমে বিশ্বাসই করিনি।’

এ প্রসঙ্গে রাজধানীর ধোলাইপাড়ে ওয়ালটনের ডিলার বিএম করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী মো. বিলাল মৃধা (দিপু) বলেন, ‘ভাগ্যবান ক্রেতা মো. এরশাদ ওয়ালটনের এই অফার সম্পর্কে জানতেন না। প্রয়োজন বিধায় ফ্রিজ কিনতে আমাদের শোরুমে আসেন। তখন শোরুমের ম্যানেজার তাকে অফার সম্পর্কে বিস্তারিত জানান। প্রথমে তিনি বিশ্বাস করতে চাননি। পরে কিছু প্রমাণ দেখালে বিশ্বাস করেন ঠিকই, কিন্তু ২০০ টাকার বেশি পাবেন না বলে মন্তব্য করেন। তবে ভাগ্যের কি লীলা! সেই ফ্রিজ কিনেই এরশাদ পেয়েছেন লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার।’

ওয়ালটনের ডিলার শোরুম বিএম করপোরেশনে বাদ্য-বাজনা সহযোগে মো. এরশাদকে লাখ টাকার পণ্য বুঝিয়ে দেওয়া হয়

দিপু আরো বলেন, ‘তাকে দেখে রোগা মনে হচ্ছিল। খোঁজ নিয়ে জানতে পারি আসলেই তিনি অসুস্থ। তিনি লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাওয়ায় আমারও ভালো লাগছে। ব্যান্ড বাজিয়ে এক আনন্দঘন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে তার হাতে লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার ও অন্যান্য পণ্য দেওয়া হয়েছে। অসুস্থতার কারণে মনমরা থাকলেও, এ সময় তিনি খুবই হাসিখুশি ছিলেন।’

এরশাদ বলেন, ‘মনে হয় আল্লাহ তায়ালা আমার প্রতি রহমত করেছেন। ওয়ালটন থেকেই এ রহমত শুরু হয়েছে। আল্লাহ তায়ালার এ রহমত অব্যাহত থাকলে দ্রুত আমার সব সমস্যার সমাধান হবে বলে মনে করছি। ওয়ালটন থেকে লাখ টাকা পাওয়ায় আমার সব আত্মীয়-স্বজনও দারুণ খুশি।’

ক্যাশ ভাউচারের টাকা দিয়ে কী কিনেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এ টাকা দিয়ে আরো কিছু দরকারি ও মূল্যবান পণ্য কিনেছি। এর মধ্যে রয়েছে একটি বড় সাইজের ফ্রিজ, এলইডি টিভি, রাইস কুকার, ইলেকট্রিক প্রেসার কুকার, সিলিং ফ্যান ইত্যাদি।’

ওয়ালটন পণ্যের দাম, মান ও গুণাগুণ সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘আমার অন্যান্য ভাইবোনের বাসায় কম-বেশি ওয়ালটন পণ্য আছে। আমিও অনেককে ওয়ালটনের পণ্য কিনে দিয়েছি। তাদের সবাই ভালো বলছে। আমি নিজেও ওয়ালটন পণ্য পছন্দ করি। বিশেষ করে দামের ব্যাপারে আমি সন্তুষ্ট। বাজার যাচাই করে দেখেছি ওয়ালটনের মতো কম দামে অন্য কোনো কোম্পানির ইলেকট্রনিকস পণ্য নাই। অথচ মানের দিক দিয়ে সবার ওপরে রয়েছে ওয়ালটন। আমি ওয়ালটন কোম্পানির আরো অগ্রগতি ও সাফল্য কামনা করছি।’

উল্লেখ্য, ক্রেতাদের দোরগোড়ায় অনলাইনে দ্রুত ও সর্বোত্তম বিক্রয়োত্তর সেবা দিতে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম চালু করেছে ওয়ালটন। এই কার্যক্রমে ক্রেতাদের অংশগ্রহণকে উদ্বুদ্ধ করতে প্রতিদিন দেওয়া হচ্ছে নিশ্চিত ক্যাশ ভাউচার। ওয়ালটন প্লাজা এবং পরিবেশক শোরুম থেকে ১০ হাজার টাকা বা তার বেশি মূল্যের পণ্য কিনে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন করে সর্বনিম্ন ২০০ থেকে সর্বোচ্চ এক লাখ টাকার ক্যাশ ভাউচার পাচ্ছেন ক্রেতারা। ক্যাশ ভাউচার পাওয়ার এই সুযোগ থাকবে আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/অগাস্টিন সুজন/সাইফুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়