ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

বাড্ডায় ক্লিনিকে হত্যা : হারানো মোবাইল ফোনকে ঘিরে তদন্ত

মাকসুদুর রহমান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৯, ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
বাড্ডায় ক্লিনিকে হত্যা : হারানো মোবাইল ফোনকে ঘিরে তদন্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর মধ্য বাড্ডায় জেসমিন আক্তার লিজা হত্যাকাণ্ডের কারণ এখনো জানতে পারেনি পুলিশ। তবে ওই হত্যাকাণ্ডের সময় হারানো দুটি মোবাইল ফোনকে ঘিরে তদন্ত চলছে। এতে খুনি শনাক্ত এবং হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটন সহজ হবে বলে আশা করছে পুলিশ।

এ বিষয়ে বাড্ডা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী ওয়াজেদ আলী রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘ঘটনার দিন মধ্যরাতে হায়দার ডিজিটাল ডেন্টাল ক্লিনিকের মালিক নজরুল ইসলাম ওরফে জুলফিকার আলী ভুট্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকেই এ ঘটনায় প্রথম সন্দেহভাজন হিসেবে শনাক্ত করা হয়। তবে ঘটনার সময় তিনি এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় ছিলেন বলে প্রমাণ মিলেছে।

মালিকের সঙ্গে সম্পর্ক কিংবা নিহতের ব্যক্তিগত কোনো কারণে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেনি বলে নিশ্চিত করে ওয়াজেদ আলী বলেন, ‘দুটি কারণে এ ঘটনা ঘটতে পারে। সেক্ষেত্রে ক্লিনিকের ওপরের কোনো ভাড়াটিয়া বা রোগী সেজে কোনো হত্যাকারী বাইরে থেকে এসে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ঘটনার সময় লিজার দুটি মোবাইল খোয়া যায়। এর মধ্যে একটির আইএমই নম্বর পাওয়া গেছে। প্রতিদিনই গোয়েন্দা পুলিশ তা নজরদারি করছে। এর বাইরে এ ঘটনার তেমন কোনো ক্লু মিলছে না। আবার হত্যাকাণ্ডের আগের কয়েক দিন থেকে ক্লিনিকের সিসি ক্যামেরা বন্ধ রয়েছে। এ কারণে তদন্তে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে।

জানা গেছে, ঘটনার আগে ক্লিনিক বন্ধ ছিল। তারপরও লিজাকে ক্লিনিকে ডেকে নেওয়া হয়েছিল। ঘটনার দিন দুপুর সোয়া ১২টার দিকে লিজার সঙ্গে মালিকের কথা হয়েছিল। এরপর বেলা ২টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ক্লিনিকের মালিক ভুট্টু তাকে আরো দুই বার ফোন করেছিলেন। আর এসব বিষয় নিশ্চিত হতেই মোবাইল দুটি উদ্ধারের কোনো বিকল্প নেই।

সোমবার সকালে কথা হয় লিজার স্বামী আরাফাত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমি ক্লিনিক মালিক ছাড়া তেমন কাউকে চিনি না। তাকেই সন্দেহ হচ্ছে। তিনি লিজাকে মোটরসাইকেলে ঘুরতে যেতে অফার করেছিলেন। এর বাইরে আমি কাউকে সন্দেহও করছি না।’

প্রসঙ্গ, ২ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সন্ধ্যায় ক্লিনিকের দ্বিতীয় তলা থেকে লিজার রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যায় পুলিশ। লিজার শরীরের পেছনে ১১টি, কানে একটি এবং দুই হাতের কব্জিতে দুটি আঘাতের চিহ্ন ছিল বলে পুলিশ সুরতহাল প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮/মাকসুদ/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়