ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৫ ১৪৩১

ঈদে ঘরে ফেরা

দ্রুত সড়ক সংস্কারে ব্যবস্থা নিন

আলী নওশের || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৩৪, ২ জুন ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
দ্রুত সড়ক সংস্কারে ব্যবস্থা নিন

দেখতে দেখতে মাহে রমজানের অর্ধেক চলে গেছে। ঈদুল ফিতরের আর বেশি বাকী নেই। এ মাসের মাঝামাঝি উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল ফিতর। প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ির উদ্দেশে ছুটবে মানুষ। ঈদ উপলক্ষে ঘরমুখো মানুষের যাত্রা শুরু হবে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের শেষ দিক থেকে। কিন্তু আশঙ্কা করা হচ্ছে এবারও চরম ভোগান্তিতে পড়তে হতে পারে ঘরমুখো মানুষকে। রাজধানীর বাইরে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে সড়কে এখনই যানজটের যে খবর পাওয়া যাচ্ছে ঈদের আগে পরিস্তিতি কি দাঁড়ায় তা নিয়ে প্রবল শঙ্কা।

এবার আগাম বৃষ্টির কারণে সড়ক-মহাসড়কের অবস্থা ভাল নয়। চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে অনেক সড়ক। ফলে আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষকে দীর্ঘ যানজটে আটকে পড়ে বিড়ম্বনার মুখে পড়তে হতে পারে। বিভিন্ন স্থানে সড়ক-মহাসড়কের বেহাল অবস্থা। কোথাও রাস্তা ভাঙা, কোথাও জলাবদ্ধতা। এদিকে দেখা যাচ্ছে, ঈদ সামনে রেখে জোড়াতালি দিয়ে চলছে সড়ক-মহাসড়কের সংস্কার কাজ। এতে ঈদযাত্রায় ভোগান্তির আশঙ্কা করছেন পরিবহন মালিক, শ্রমিক ও সাধারণ মানুষ।

সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমে সড়ক ও জনপথ অধিদফতরের (সওজ) মহাসড়ক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সর্বশেষ জরিপের তথ্য উদ্ধৃত করে এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশে সড়ক ও মহাসড়কের ২ হাজার ৬শ’ কিলোমিটারের বেশি সড়ক ভাঙাচোরা। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৪৩ কিলোমিটার সড়কের অবস্থা খুব খারাপ। বাকি ১ হাজার ৭৩ কিলোমিটার সড়কের অবস্থাও নাজুক।ভাঙাচোরা সড়কের কারণে দুর্ঘটনাসহ নানা সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। সড়কের দুরবস্থার কারণে যানজট প্রকট আকার ধারণ করে।

ঈদ উপলক্ষে যান চলাচল স্বাভাবিকভাবেই বেশি হবে। আর তখন সমস্যা হবে আরো বেশি। ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় সামাল দিতে বিশেষ সার্ভিস চালু হয়।এ সময় আঞ্চলিক রুটের অনেক যানবাহনও চলে আসে মহাসড়কে। যত্রতত্র বাস থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা চলে। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, মাঝরাস্তায় গাড়ি থামিয়ে যাত্রী তোলা কিংবা নামানো হচ্ছে। এতে যানবাহনের লম্বা লাইন পড়ে গিয়ে যানজটের সৃষ্টি হয়।

এছাড়া বিভিন্ন স্থানে সড়ক-মহাসড়ক দখল করে গড়ে উঠেছে অবৈধ হাটবাজার। এ কারণে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করতে পারে না। চালকদের ধীর গতিতে গাড়ি পালাতে হয়। ফলে দূরপাল্লার যানবাহনগুলোকে গন্তব্যে পৌঁছাতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন থেকে ছয় ঘণ্টা সময় বেশি লেগে যায়। কোনো কোনো স্থানে পৌঁছাতে আরও বেশি সময় লাগে। ঈদের আগে এ সমস্যা আরো প্রকট হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এতে ঘরমুখী মানুষকে অবর্ণনীয় দুর্ভোগে পড়তে হতে পারে।

এ অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব  সড়ক মেরামতের কাজ সম্পন্ন করতে হবে। কয়েকদিন আগে গাজীপুরের চন্দ্রায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘যানজট নিরসন ও ভোগান্তি কমাতে পুলিশ, সড়ক ও জনপথ এবং স্থানীয় প্রশাসন সমন্বিতভাবে কাজ করবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলে দিয়েছেন, রাস্তাকে চলাচল এবং ব্যবহার উপযোগী রাখতে হবে।  বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে, তবে বৃষ্টিকে অজুহাত করে রাস্তার মেরামত কাজ সঠিকভাবে হবে না, এটা আমি শুনব না।’ তিনি আগামী ৮ জুনের সারা দেশের রাস্তা মেরামত করে যেকোনো মূল্যে রাস্তাকে সচল রাখার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।

আমাদের প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টরা বিষয়টিতে গুরুত্ব দেবেন এবং সড়ক মেরামতের কাজ দ্রুত সম্পন্ন করবেন যাতে ঘরমুখী মানুষ দ্রুত ও নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন। পাশাপাশি হাইওয়ে পুলিশকে সক্রিয় হতে হবে। যত্রতত্র গাড়ি থামানো ও যাত্রী ওঠানামা যাতে না করা হয় সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/২ জুন ২০১৮/আলী নওশের

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়