বরিশাল সিটি করপোরেশনে বকেয়া বেতন চাওয়া মানা
নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল: বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বকেয়া বেতন চাওয়া মানা। কারণ, তহবিলে অর্থ নেই। বকেয়া চাইলে চলতি মাসের টাকাও ফেরত যাবে, বলে দিয়েছেন মেয়র।
সিটি মেয়র আহসান হাবিব কামাল বলেন, ‘নগর ভবনের কাঙ্ক্ষিত রাজস্ব আদায় হচ্ছে না। তহবিলে অর্থ নেই। এ অবস্থায় মানবিক দিক বিবেচনায় অন্য তহবিল থেকে টাকা ধার এনে ঈদের পূর্ব মুহূর্তে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের এক মাসের বকেয়া বেতন এবং ঈদ বোনাস দেওয়া হবে। কিন্তু কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ৪ মাসের বকেয়া বেতন ও ২২ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ড এবং ঈদ বোনাস এক সাথে নিতে গেলে কোনটাই তারা পাবেন না। তারা ঝামেলা করলে অন্য তহবিল থেকে ধার করে আনা টাকা ফেরত দিয়ে দেব।’
৪ মাসের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস এবং ২২ মাসের প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থের দাবীতে বরিশাল সিটি মেয়রকে রোববার নগর ভবনে তার অফিস কক্ষে অবরুদ্ধ করেছিলো সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এ নিয়ে বাদানুবাদ এবং হট্টগোলের খবর পেয়ে গণমাধ্যম কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী ফরিদ উদ্দিন সিকদার তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করেন, কক্ষ থেকে বের করে দেন।
বরিশাল সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী পরিষদের শীর্ষ নেতা দিপক লাল মৃধা জানান, রোববার মেয়র নগর ভবনে এলে বকেয়া বেতন ও প্রভিডেন্ট ফান্ডের অর্থ এবং ঈদ বোনাস চাইতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি দল তার কক্ষে যান। এক সাথে শতাধিক কর্মচারী মেয়রের অফিস কক্ষে প্রবেশ করে বকেয়া বেতন-ভাতার দাবী করায় সেখানে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে সাংবাদিকরা সেখানে গেলে তাদের ছবি তুলতে বাধা দেওয়া হয়। দুর্ব্যবহার করে মেয়রের কক্ষ থেকে বের করে দেওয়া হয়।
পরে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নগর ভবনের তৃতীয় তলায় হিসাব বিভাগে গিয়ে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তা মশিউর রহমানকে অবরুদ্ধ করে।
কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নেতা দিপক লাল মৃধা জানান, তারা হিসাব বিভাগ থেকে ৪ মাসের বকেয়া বেতন, ঈদ বোনাস এবং ২২ মাসের প্রভিডেন্ড ফান্ডের সম পরিমাণ অর্থের চেক প্রস্তুত করে সিটি মেয়র এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে নিয়ে যাবেন। তাদের আশা কর্তৃপক্ষ তাদের বকেয়া পরিশোধ করে দেবেন।
রাইজিংবিডি/বরিশাল/১১ জুন ২০১৮/জে. খান স্বপন/টিপু
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন