ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দি

ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:৩০, ১৮ জুলাই ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ভোলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত, অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দি

ভোলা সংবাদদাতা: অতি জোয়ারের পানির চাপে প্লাবিত হয়েছে ভোলার নিম্নাঞ্চল।  ভোলা সদরের ইলিশা, তজুমদ্দিন, মনপুরা, চরফ্যাশন ও দৌলতখানের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ।

মেঘনার পানি গত সোমবার রাত থেকেই বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ডুবে যায় নিম্নাঞ্চলে বিভিন্ন জনপদ । পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, বেড়িবাঁধের বাইরের এলাকাই শুধু প্লাবিত হয়েছে।

এতে চরাঞ্চলের বাসিন্দারাই বেশি বিপদে পড়েছে। অতি জোয়ারের পানির চাপে রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেসে গেছে পুকুর ও ঘেরের মাছ। জনজীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। এতে নারী ও শিশুরা চরম বিড়ম্বনার মধ্যে পড়েছেন।

এদিকে অতি জোয়ারের প্রভাবে ভোলা সদরের ইলিশা ফেরি ঘাট তলিয়ে যাওয়ায় পরিবহন ওঠা-নামা করতে পারছেনা। উভয় পাড়ে আটকে আছে শতাধিক যানবাহন। ফলে দুর্ভোগে পড়েছে পরিবহন শ্রমিকরাও।

এব্যাপারে চরফ্যাশন পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, তেঁতুলিয়ার জোয়ারে চরফ্যাশনের মুজিবনগর ইউনিয়নের চর মোতাহার পয়েন্টে দিয়ে পানি ঢুকে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
 


এছাড়াও বাঁধ না থাকায় ঢালচর ও চর পাতিলা প্লাবিত হয়েছে। এদিকে চর কুকরী-মুকরীর বাঁধের বাইরে বেশ কিছু এলাকায়ও পানি ঢুকেছে। অন্যদিকে মনপুরার কলাতলীর চর ও চর নিজামের বেশ কিছু নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

ঢালচর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান সালাম হাওলাদার জানান, জোয়ারের পানিতে পুরো ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বাঁধ না থাকায় গত তিন দিন ধরে এখানকার মানুষ পানিবন্দি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে পুল-কালভার্ট। ভেসে যাচ্ছে পুকুরের মাছ।

কুকরী-মুকরী ইউপি সচিব মোকাম্মেল হক জানান, চর পাতিলা ও চর কুকরী-মুকরী বাঁধের বাইরের অন্তত ৩ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। গত দু’দিন ধরে জোয়ারের পানি ঢুকে ওইসব এলাকা প্লাবিত হচ্ছে।

এব্যাপারে ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড (ডিভিশন-২) নির্বাহী প্রকৌশলী কাওছার আলম বলেন, ‘সোমবার মেঘনার পানি বিপদসীমার ১০ সেন্টিমিটার এবং তেঁতুলিয়ার পানি ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।’

তিনি জানান, চর মোতাহার পয়েন্টে ১ কিলোমিটার এলাকায় বাঁধ নির্মাণের জন্য একটি প্রস্তাব অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

তজুমদ্দিন উপজেলার সদরের চাঁদপুর ইউনিয়নের দালাল কান্দি, মাওলানা কান্দি ও চৌকিদার কান্দি প্লাবিত হয়েছে। পুরাতন বাঁধ ভেঙে চতুর্থ দিনের মতো সেখানকার ৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এছাড়া ভোলা সদরের রাজাপুর, রামদাসপুর, মাঝের চর, দৌলতখানের মদনপুরসহ বেশ কিছু নিচু ও বাঁধের বাইরের এলাকা প্লাবিত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।




রাইজিংবিডি/ভোলা/১৮ জুলাই ২০১৮/ফয়সল বিন ইসলাম নয়ন/টিপু

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়