ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

সাইফ || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৯ আগস্ট ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
 হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু

রাইজিংবিডি ডেস্ক : সৌদি আরবে পবিত্র হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে মিনায় হাজিদের সমবেত হওয়ার মধ্য দিয়ে। লাব্বাইক আল্লাহুম্মা লাব্বাইক ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে উঠেছে তাঁবুর শহর মিনা।

এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত প্রায় ২০ লাখ ধর্মপ্রাণ মুসলমান মসজিদুল হারামে (কাবা) শুক্রবার জুমার সালাত আদায় করেন। শনিবার বিকেল থেকে মিনার উদ্দেশ্যে রওনা দেন হাজিরা। নিজ নিজ আবাস এবং মসজিদুল হারাম থেকে ইহরাম বেঁধে মক্কা থেকে প্রায় ৯ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে মিনার উদ্দেশে যাত্রা করেন তারা।

৯ জিলহজ মিনায় ফজরের নামাজ আদায় করে হজের মূল আনুষ্ঠানিকতা পালনের জন্য ভোরে তারা যাবেন আরাফাত ময়দানে। মূলত: ৯ জিলহজ আরাফাতের ময়দানে অবস্থানের দিনকেই হজের দিন বলা হয়। এ দিন দুপুর ১২টার পর মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা পাঠ করবেন মদিনার মসজিদে নববির ইমাম ও খতিব ড. হোসাইন বিন আব্দুল আজিজ আল শাইখ।

খুতবার পর হাজিরা একসঙ্গে জোহর ও আসরের নামাজ আদায় করবেন। এরপর তারা সূর্যাস্ত পর্যন্ত সেখানে অবস্থান করে আরাফাত থেকে প্রায় ৮ কিলোমিটার দূরে মুজদালিফায় যাবেন এবং সেখানে একসঙ্গে মাগরিব ও এশার নামাজ আদায় করবেন। রাতে সেখানে তারা অবস্থান করবেন খোলা মাঠে। সেখান থেকে শয়তানের প্রতিকৃতিতে নিক্ষেপের জন্য প্রয়োজনীয় পাথর সংগ্রহ করবেন।

১০ জিলহজ মুজদালিফায় মুসল্লিরা ফজরের নামাজ আদায় করে কেউ ট্রেনে, কেউ গাড়িতে, কেউ হেঁটে মিনায় যাবেন এবং নিজ নিজ তাঁবুতে ফিরবেন। মিনায় বড় শয়তানকে সাতটি পাথর মারার পর পশু কোরবানি দিয়ে মাথার চুল ছেঁটে (ন্যাড়া করে) গোসল করবেন এবং সেলাইবিহীন দুই টুকরো কাপড় বদল করবেন। এরপর স্বাভাবিক পোশাক পরে মিনা থেকে মক্কায় গিয়ে পবিত্র কাবা শরিফ তাওয়াফ করবেন। কাবার সামনের দুই পাহাড় সাফা ও মারওয়ায় সাঈ (সাতবার দৌড়াবেন) করবেন। সেখান থেকে তারা আবার মিনায় যাবেন।

মিনায় যত দিন থাকবেন, তত দিন তিনটি (বড়, মধ্যম, ছোট) শয়তানকে ২১টি পাথর মারবেন। এরপর আবার মক্কায় বিদায়ী তাওয়াফ করার পর নিজ নিজ দেশে ফিরবেন। যারা হজের আগে মদিনায় যাননি, তারা মদিনায় যাবেন। এভাবে সম্পন্ন হবে হজের পুরো আনুষ্ঠানিকতা।

বাংলাদেশ হজ মিশনের তথ্যানুযায়ী, এ বছর ১ লাখ ২৭ হাজার ২৯৭ হজযাত্রী (ব্যবস্থাপনা সদস্যসহ) সৌদি আরবে পৌঁছেছেন। বিমান বাংলাদশে এয়ারলাইনস হজযাত্রী পরিবহন শেষ করেছে ১৫ আগস্ট। আর সৌদি এয়ারলাইনস ১৭ আগস্ট হজযাত্রী পরিবহনের কাজ শেষ করেছে ।

এদিকে হজের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার পূর্বে শনিবার পর্যন্ত বার্ধক্য, হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ৫১ বাংলাদেশি হজযাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে ৪২ জন পুরুষ ও নয় নারী রয়েছে।

সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে হজ পালনে ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে সৌদি সরকার। মুসলমানদের সুচারুভাবে হজ পালনের সুবিধার জন্য সৌদি আরবের কয়েকটি মন্ত্রণালয় সমন্বয় সাধন করে কাজ করছে। হজ ও উমরাহ মন্ত্রণালয় হজযাত্রীদের সাহায্য করার জন্য একটি বিশেষ সেল স্থাপন করেছে।

সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, হাজিদের স্বাস্থ্যসেবা দেওয়ার জন্য মক্কায় পর্যাপ্ত জনবল, ওষুধ ও যন্ত্রপাতিসহ কয়েকটি হাসপাতাল স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া মিনা,আরফাতের ময়দান ও মুজদালিফায় অনেকগুলো স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র চালু করা হয়েছে।




রাইজিংবিডি/১৯ আগস্ট ২০১৮/সাইফ/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়