ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

নওয়াজ শরিফের স্ত্রী মারা গেছেন

শাহেদ হোসেন || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:০৫, ১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নওয়াজ শরিফের স্ত্রী মারা গেছেন

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পাকিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের স্ত্রী কুলসুম নওয়াজ আর নেই। মঙ্গলবার লন্ডনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

নওয়াজ শরিফের ভাই ও পাকিস্তান মুসলিম লিগের (এন) সভাপতি শেহবাজ শরিফ টুইটারে কুলসুমের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘আমার ভাবী ও নওয়াজ শরিফ সাহেবের স্ত্রী আর আমাদের মাঝে নেই।’

কুলসুম নওয়াজের বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তিনি স্বামী ছাড়াও চার সন্তান- হাসান নওয়াজ, হুসেইন নওয়াজ, মরিয়ম নওয়াজ ও আসমা নওয়াজকে রেখে গেছেন।

প্রাক্তন এই ফার্স্ট লেডি দীর্ঘদিন ক্যান্সারে ভুগছিলেন এবং গত কয়েকমাস লন্ডনের হার্লে স্ট্রিট ক্লিনিকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। গত বছরের আগস্টে কুলসুমের লিমফোমা (গলার ক্যন্সার) ধরা পড়ে। তাকে কয়েকদফা কেমোথেরাপি ও রেডিওথেরাপি দেওয়া হয়।

তার ছেলে হুসেইন নওয়াজ জানিয়েছেন গত মাসে কুলসুম ভাল বোধ করছিলেন। কিন্তু সোমবার রাতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর আইসিইউতে রাখা হয়। মঙ্গলবার সকালে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।

জিও টিভি জানিয়েছে, কুলসুম নওয়াজের মৃত্যুতে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং সেনা প্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

 



পাকিস্তান মুসলিম লীগের (এন) মুখপাত্র মরিয়ম আওরঙ্গজেব জানিয়েছেন, প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের স্ত্রীর মরদেহ দেশে আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, কুলসুমের মরদেহ দেশে আসার পর লাহোরে তার দাফন সম্পন্ন হবে।

কুলসুম নওয়াজের জন্ম ১৯৫০ সালে লাহোরে এক কাশ্মীরি পরিবারে। তার নানা বিশ্বখ্যাত ভারোত্তলক গোলাম মুহাম্মদ যিনি স্থানীয়ভাবে গামা পাহলোয়ান হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯৭০ সালে পাকিস্তানের পাঞ্জাব বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন কুলসুম। এর পরের বছর নওয়াজ শরিফকে বিয়ে করেন তিনি।

তার স্বামী নওয়াজ শরিফ ১৯৯০-১৯৯৩, ১৯৯৭-১৯৯৯ এবং ২০১৩-২০১৭ সাল পর্যন্ত তিনবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। কিন্তু কোনোবারই তিনি মেয়াদ শেষ করতে পারেননি।

গত বছর দেশটির সুপ্রিম কোর্ট নওয়াজকে দুর্নীতির দায়ে প্রধানমন্ত্রী পদে অযোগ্য ঘোষণা করে রায় দেওয়ার পর লাহোরের একটি আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয়ী হন কুলসুম নওয়াজ। তবে নির্বাচনী প্রচার শুরুর আগে শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান তিনি। মায়ের পক্ষে লাহোরের ওই আসনে নির্বাচনী প্রচার চালান মরিয়ম নওয়াজ।

আর নওয়াজ শরিফ ও তার মেয়ে মরিয়মকে দুর্নীতির দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে গত ৬ জুলাই রায় ঘোষণা করে দেশটির দুর্নীতি-বিরোধী আদালত। রায় ঘোষণার পর ১৩ জুলাই লন্ডন থেকে দেশে ফিরে গ্রেফতার হন নওয়াজ এবং তার মেয়ে মরিয়ম। বর্তমানে রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা জেলে বন্দি আছেন নওয়াজ শরিফ, তার মেয়ে মরিয়ম ও জামাতা মুহাম্মদ সফদার।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/১১ সেপ্টেম্বর ২০১৮/শাহেদ/এনএ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়