ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

চবিতে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৮:৩৬, ১৮ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
চবিতে প্রাণিবিদ্যা বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা

নিজস্ব প্রতিবেদক : চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক নিয়োগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট।

একইসঙ্গে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক নিয়োগে মৌখিক পরীক্ষা বাতিলপূর্বক পুনরায় পরীক্ষা নিতে প্রার্থী মো. এমদাদুল হকের আবেদন দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে উপাচার্যকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার এমদাদুল হকের করা রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে  বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার।

পরে জ্যোতির্ময় বড়ুয়া সাংবাদিকদের বলেন, ‘গত ২৭ মার্চ প্রাণিবিদ্যা বিভাগে প্রভাষক পদে নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষা দেওয়ার জন্য মো. এমদাদুল হক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে গিয়ে পৌঁছানোর পর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাতজন শিক্ষার্থী তার পথ আটকায় এবং এখান থেকে অবরোধ করে তাকে কেন্দ্রীয় খেলার মাঠের কোনায় নিয়ে গিয়ে তার কাছ থেকে টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তাকে মারধর করে। সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্যাগোডায় নিয়ে গিয়েও মারধর করে।’

তিনি বলেন, ‘সেখান থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের জিরো পয়েন্টে নিয়ে গিয়েও মারধর করে পুলিশের হাতে সোপর্দ করে এবং বলা হয় যে, সে শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। পুলিশ বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। প্রক্টর ও ভিসিকে জানিয়েছে এ ঘটনার বিষয়ে। কিন্তু প্রক্টর ও ভিসি কোনো রকমের পদক্ষেপ নেননি। তারপর তার নিরাপত্তার কথা ভেবে পুলিশ তোকে হাটহাজারী থানায় নিয়ে গিয়ে লকাপে রাখে ৫টা পর্যন্ত।

এরপর ৫টার সময় ওসি এসে পুরা ঘটনাটি শুনে দুঃখ প্রকাশ করেন। মারধর করে এমদাদুল হকের গায়ের কাপড় ছিঁড়ে ফেলা হয়েছিল। থানার ডিউটি অফিসার তার একটি শার্ট দেয়। ৫টার দিকে ছাড়া পেয়ে এমদাদুলক হক তার এক বন্ধুর বাসায় চলে যান বলে জানান জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

তিনি বলেন, ‘তার দুদিন পর ৩০ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি বরাবরে লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন এবং অনুরোধ করেন যেন তিনি নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। এমদাদুল হক ২০১২-১৩ সালে প্রাণিবিদ্যা বিভাগ থেকে সিজিপিএ ৪.৮৮ পেয়েছেন। তার এই রেজাল্টের জন্য ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক দেন। এমন ভালো রেজাল্ট করার পরও একজন শিক্ষার্থী যদি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ না পায় এটা অত্যন্ত দুঃখজনক।’

এই ঘটনার কোনো সমাধান না পেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়। আজকে এ আবেদনটির শুনানি হয়েছে। শুনানি শেষে আদালত আদেশে বলেছেন, ৩০ মার্চ এমদাদুল হক যে আবেদনটি জানিয়েছিলেন ভিসি মহোদয়ের কাছে সেটি আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে বলেছেন এবং এই সময়ের মধ্যে কোনোভাবেই যেন প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষকের দুটো খালি পদে যেন নিয়োগ প্রক্রিয়টা সম্পন্ন না করা হয়, সেটার ওপর নিষেধাজ্ঞার আদেশ জারি করেছেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৮ এপ্রিল ২০১৯/মেহেদী/ইভা

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়