ঢাকা     শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৭ ১৪৩১

সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ২৫ এপ্রিল ২০১৯   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সরকারি কর্মকর্তাকে হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

নিজস্ব প্রতিবেদক : আহম্মেদ উল্লাহ স্টেটের ক্ষমতা, মাজার দখল ও মাজারের ক্ষমতা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আমিনুল হক খাদেম হত্যা মামলায় ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক আবদুর রহমান সরদার এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- শহিদুর রহমান খাদেম ওরফে শাহিদুর রহমান খাদেম ওরফে মিনু খাদেম, মাহবুব আলম লিটন ওরফে দাঁত ভাঙ্গা লিটন, শেখ শামীম আহম্মেদ, মো. জুয়েল, কামাল হোসেন বিপ্লব, সোহেল ওরফে ক্যাটস আই সোহেল।

আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বাবু ওরফে হোন্ডা বাবু ওরফে টিঅ্যান্ডটি বাবু ওরফে চুলা বাবু ওরফে টুইন্যা বাবুকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরো এক বছর কারাভোগ করতে হবে।

আজগর হোসেন রানার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

দাঁত ভাঙ্গা লিটন, কামাল হোসেন এবং টুইন্যা বাবু পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। দণ্ডপ্রাপ্ত উপস্থিত অপর আসামিদের সাজা পরোয়ানা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

রায় ঘোষণার সময় বিচারক বলেন- এটা ছিল একটা ক্লুলেস মামলা। কোনো দেখা সাক্ষী ছিল না। মোবাইল ট্র্যাকিং এর মাধ্যমে এর রহস্য উদঘাটন করা হয়।

বিচারক রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেন-‘এই মামলার ভিকটিম আমিনুল হক খাদেম ওরফে আনিস খাদেম। তিনি ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার অফিসে প্রশাসনিক কর্মকর্তা পদে কর্মরত ছিলেন। এই মামলার প্রধান আসামি শহিদুর রহমান খাদেমের সঙ্গে ভিকটিমের আহম্মেদ উল্লাহ স্টেটের ক্ষমতা, মাজার দখল ও মাজারের ক্ষমতা নিয়ে দীর্ঘ দিনের চলমান বিরোধসহ একাধিক মামলা করে হয়রানি করার জের হিসেবে এই আসামির পরিকল্পনা ও সহযোগিতায় অন্যান্য আসামিদের মাধ্যমে  আমিনুল হককে হত্যা করা হয়।

প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ও মাজারে অর্থ সাহায্য প্রদানের মিথ্যা অজুহাতে মালিবাগ শাহী মসজিদের সামনে ডেকে নিয়ে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়।

আসামিদের বেশির ভাগই উচ্চ শিক্ষিত এবং তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ অন্যান্য একাধিক মামলা রয়েছে। প্রতারণার মাধ্যমে প্রকাশ্য দিবালোকে ভিকটিমকে ডেকে নিয়ে হত্যার বিষয়টি মেনে নেয়া যায় না। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, সমাজের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, মানুষের জান ও মালের সুরক্ষাসহ সর্বোপরি ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য ও অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি আবশ্যক।

আমিনুল হক খাদেমকে হত্যার অভিযোগে তার ছেলে সাইদুল হক খাদেম ২০০৯ সালের ৪ মে মতিঝিল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে র‌্যাব-৩ এর মো. মজিবুর রহমান ৮ জনকে অভিযুক্ত করে ওই বছরের ৩০ নভেম্বর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

২০১৪ সালের ৮ জুন আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত ১৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। মামলার ৮ আসামিই আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।




রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ এপ্রিল ২০১৯/মামুন খান/ইভা     

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়