বিজয় শোভাযাত্রায় আগামী নির্বাচনে জয়ের শপথ
নিজস্ব প্রতিবেদক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে আমরা আবারও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিজয়ী হব।
শনিবার দুপুরে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশের (আইইবি) সামনে বিজয় শোভাযাত্রা-পূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োজনে এ বিজয় শোভাযাত্রা হয়। আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মী ব্যান্ড পার্টি, সাইন্ড সিস্টেম, পিকআপ, ট্রাক সহকারে শোভাযাত্রায় অংশ নেন। অনেকে লাল- সবুজ শাড়ি, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট পরে শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
সমাবেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, জয় বাংলা কী? জয় বাংলা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের রণধ্বনি। এই রণধ্বনি যারা স্বীকার করে না, যারা উচ্চারণ করে না, তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে না। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে। বাংলাদেশকে বাঁচাতে হলে শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগকে বাঁচাতে হবে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচন আরেক ডিসেম্বরে হবে। আগামী নির্বাচনে আমাদের প্রতিপক্ষ কারা? আমাদের প্রতিপক্ষ বিএনপির নেতৃত্বে জয় বাংলাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী সাম্প্রদায়িক শক্তির সাথে লড়াইয়ে মুক্তিযুদ্ধের শক্তি বিজয়ী শক্তি। আমরা বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আবারও বিজয়ী হব। বিজয়ের পতাকা উড্ডীন হবে সুনামগঞ্জ থেকে সুন্দরবন। কুতুবদিয়া থেকে তেঁতুলিয়া।
দলের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আজকে আমরা জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে আবারও ঐক্যবদ্ধ হব।
এরপর তিনি নিজে স্লোগান ধরেন এবং নেতাকর্মীদের স্লোগান দেওয়ার আহ্বান জানান। এসময় ওবায়দুল কাদের প্রায় দুই মিনিট স্লোগান দেন।
এরপর বেলুন উড়িয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নামে বিজয় শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।
বিজয় শোভাযাত্রায় হাজার হাজার নেতাকর্মীর উপস্থিতিতে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমার মনে হয়, আমাদের এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা স্মরণকালের বৃহত্তম শোভাযাত্রা হিসেবে সবার কাছে প্রদর্শিত হবে।
সমাবেশে মতিয়া চৌধুরী বলেন, আজকে একটি জিনিস প্রমাণ হয়েছে, এই ঢাকার মতো সারা বাংলাদেশে গণজাগরণ ও গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। কারণ, গত আট বছরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। ২০১২ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত খালেদা জিয়ার অগ্নিসন্ত্রাসের নৈরাজ্য-জঙ্গিবাদকে মোকাবিলা করে শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে গেছেন আন্তর্জাতিক এবং জাতীয়ভাবে, তা কেবল শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগ ছাড়া সম্ভব না। এটা বাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে প্রতিষ্ঠিত।
তিনি আরো বলেন, আজকে ফ্লাইওভার বলেন, মেট্রোরেল বলেন, হাতিরঝিল বলেন- আমরা যদি নিজেদের প্রশ্ন করি, এটা কি বিএনপি পারত? অসম্ভব। একমাত্র শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগই এই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। আগামী দিনেও সেই অসম্ভবকে সম্ভবের চ্যালেঞ্জ নিয়ে বিশ্বমানবতার নেত্রী শেখ হাসিনা, যিনি মিয়ানমারের ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে পরম মমতায় টেনে নিয়েছেন এবং আরেকদিকে জনমত সৃষ্টি করছেন, সেই বিশ্বনেত্রী জাতির পিতার কন্যার পেছনে আসুন। এই বিজয় দিবসে কাতারবদ্ধ হোন এবং শপথ নেন- আমরা আগামীতেও অগ্নিসন্ত্রাস, আন্তর্জাতিক ও জাতীয় সন্ত্রাস সবকিছুকে রোধ করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়বই গড়ব।
ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে শোভাযাত্রা-পূর্ব সংক্ষিপ সমাবেশ হয়। সমাবেশে আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে আরো বক্তব্য রাখেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ। সহযোগী সংগঠনের মধ্যে মহিলা আওয়ামী লীগ উত্তরের সভাপতি শাহেদা তারেক দীপ্তি, যুব মহিলা লীগ উত্তরের সভাপতি সাবিনা আকতার তুহিন, ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বক্তব্য রাখেন। এছাড়া আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে এ কে এম এনামুল হক শামীম, আব্দুস সবুর, আবদুস সোবহান গোলাপ, দেলোয়ার হোসেন, এস এম কামাল হোসেন, মহানগর দক্ষিণের শাহে আলম মুরাদ প্রমুখ ছিলেন।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৬ ডিসেম্বর ২০১৭/নৃপেন/রফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন