ঢাকা     বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১১ ১৪৩১

‘বন্নির সঙ্গে বাবুল আক্তারের পরকীয়ার জেরে আকরাম হত্যা’

রাজিব হাসান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১০:৫৭, ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘বন্নির সঙ্গে বাবুল আক্তারের পরকীয়ার জেরে আকরাম হত্যা’

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের সঙ্গে বনানী বশির বন্নির পরকীয়ার জেরে এসআই আকরামকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন আকরামের বোনেরা।

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে ঝিনাইদহের স্থানীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নিহত এসআই আকরামের বোন এ অভিযোগ করেন। এ সময় তার পাঁচ বোনের সবাই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। বনানী বশির বন্নি নিহত এসআই আকরামের স্ত্রী।

গত ৫ জুন সকালে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় চট্টগ্রামের ও আর নিজাম রোডে গুলি করে ও কুপিয়ে তৎকালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতুকে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এরপর দীর্ঘ দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত এবং একপর্যায়ে চাকরিতে ইস্তফা দেন বাবুল আক্তার। মিতু হত্যায় তাকেও কয়েক দফা জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। 

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে আকরাম হত্যা মামলার বাদী ও তার বোন জান্নাত আরা পারভীন রিনি বলেন, ‘আমাদের একমাত্র ভাইয়ের বিয়ে হয় ২০০৬ সালের ১৩ জানুয়ারি ঝিনাইদহের সদর উপজেলার মগরখালী গ্রামের বসির উদ্দিন বাদশার মেয়ে বনানী বসির বন্নির সঙ্গে। বিয়ের পর তাদের একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়।’

রিনি অভিযোগ করেন, বিয়ের আগে থেকে বন্নির সঙ্গে সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ের পর তা পরকীয়ায় রূপ নেয়। এ বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর আকরাম ও বন্নির মধ্যে দাম্পত্য কলহ দেখা দেয়। তারই জের ধরে গত ২০১৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর ঢাকা থেকে মোটরসাইকেল যোগে যমুনা সেতু হয়ে ঝিনাইদহে বাড়িতে আসার পথে শৈলকূপার বড়দাহ নামক স্থানে  পূর্বপরিকল্পিতভাবে অস্ত্রধারীরা আকরামকে মারাত্মক আহত করে ফেলে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে প্রথমে ঝিনাইদহ ও পরে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরের দিন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১৭ দিন পর ২০১৫ সালের ১৩ জানুয়ারি তিনি মারা যান। এ ব্যাপারে তার স্ত্রী বন্নি বাদী হয়ে শৈলকূপা থানায় সড়ক দুর্ঘটনাজনিত অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেন।

লিখিত বক্তব্যে তিনি অভিযোগ করেন, ‘আমরা এ ব্যাপারে শৈলকূপা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করতে গেলে তৎকালীন ওসি হাশেম খান তা গ্রহণ করেননি। পরবর্তীকালে সে সময়কার ঝিনাইদহের পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেনের কাছে গেলে তিনি তাচ্ছিল্য করে আমাদের পাঁচ বোনকে অফিস থেকে বের করে দেন। পরে বাধ্য হয়ে আমরা ঝিনাইদহের আদালতে ভাই হত্যার বিচার চেয়ে মামলা দায়ের করি।’ 

এ সময় আকরাম হত্যার সুষ্ঠূ তদন্তপূর্বক সঠিক বিচার দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে বোন রেহানা খাতুন, ফেরদৌস আরা, শাহনাজা পারভীন রিপা ও শামীমা নাসরিন মুক্তি উপস্থিত ছিলেন।



রাইজিংবিডি/ঝিনাইদহ/১৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/রাজিব হাসান/বকুল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়