শুল্ক গোয়েন্দার কাছে গাড়ি দিলেন আইএলও কর্মকর্তা
নিজস্ব প্রতিবেদক : শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করা আইএলও বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিসের প্রাক্তন এক কর্মকর্তার ব্যবহৃত সাদা রঙের টয়োটা সিডান গাড়িটি জমা দেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে আইএলও বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিস থেকে শুল্ক গোয়েন্দার তদন্ত দলের কাছে গাড়িটি জমা দেওয়া হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এসব তথ্য জানিয়েছেন।
রাইজিংবিডিকে তিনি বলেন, আজ দুপুর ১টায় গুলশান-১ এর আইএলও বাংলাদেশ কান্ট্রি অফিস থেকে শুল্ক গোয়েন্দার তদন্ত দলের কাছে গাড়িটি হস্তান্তর করা হয়। আইএলওর ড্রাইভার গোলাম মোস্তফার মাধ্যমে গাড়িটি কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা সদর দপ্তরে আনা হয়। গাড়ির ব্যবহারকারী ছিলেন ফ্রান্সিস দিলীপ বসন্ত ডি সিলভা। তিনি ২০০৮ সালের ১৭ জুন থেকে ২০১৬ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আইএলও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র আরো জানায়, গাড়িটির ব্যবহারকারী ফ্রান্সিস দিলীপ বসন্ত ডি সিলভা আইএলও বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞ হিসেবে কর্মরত ছিলেন। বাংলাদেশে অবস্থানকালে তিনি ব্যক্তিগত ব্যবহারের জন্য সাদা রঙের গাড়িটি শুল্কমুক্ত সুবিধায় ক্রয় করেন। গাড়ির Reg no : AJALA-0036, Chassis no- JZS133-0033001। তিনি ৩১ ডিসেম্বর/২০১৬ তারিখে বাংলাদেশে অ্যাসাইনমেন্ট শেষ করে স্থায়ীভাবে বাংলাদেশ ত্যাগ করেন। কিন্তু আইনানুযায়ী বাংলাদেশ ত্যাগের পূর্বে তার ব্যবহৃত কাস্টমস পাসবুক ও গাড়িটি কাস্টমস কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি।
শুল্ক গোয়েন্দারা ধারণা করছেন, শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহার করে বিভিন্ন বিদেশি সংস্থা কর্তৃক অবৈধভাবে ব্যবহৃত গাড়ির বিরুদ্ধে শুল্ক গোয়েন্দার সাম্প্রতিক তৎপরতার কারণে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে ঢাকার আইএলও কান্ট্রি অফিস গাড়িটি শুল্ক গোয়েন্দার কাছে হস্তান্তর করে।
গাড়িটি বর্তমানে শুল্ক গোয়েন্দা সদর দপ্তরের হেফাজতে রয়েছে। কাগজপত্র যাচাই করে গাড়িটির বিষয়ে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও শুল্ক গোয়েন্দা সূত্র জানায়।
ইতোপূর্বে ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে শুল্কমুক্ত সুবিধার অপব্যবহারের অভিযোগে আরেকজন আইএলও কর্মকর্তার গাড়ি আটক করা হয়েছিল।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/এম এ রহমান/মুশফিক
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন