ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

ছয় ছাত্র হত্যা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটকে জেরা

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১২:৩৭, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
ছয় ছাত্র হত্যা মামলায় ম্যাজিস্ট্রেটকে জেরা

নিজস্ব প্রতিবেদক : সাভারের আমিনবাজারে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যার মামলায় প্রাক্তন জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কাজী শহিদুল ইসলামকে জেরা করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী।

রোববার ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রফিকুল ইসলামের আদালতে তাকে জেরা করা হয়। এদিন জেরা শেষ না হওয়ায় পরবর্তী জেরার জন্য তারিখ আগামী ১৬ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত।

কাজী শহিদুল ইসলাম বর্তমানে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যুগ্ম জেলা জজ হিসেবে কর্মরত আছেন। গত বছর ১৬ নভেম্বর তিনি জবানবন্দি দেন।

ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা মামলায় ১২ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন তিনি। ওই ১২ আসামির মধ্যে আজ আটজনের পক্ষে তাকে জেরা করা হয়েছে বলে জানান আসামিপক্ষের আইনজীবী ফারুক আহম্মেদ।

আগামী ১৬ মার্চ অপর চার আসামির পক্ষে জেরা করা হবে বলে জানিয়েছেন এ আইনজীবী।

মামলাটিতে এ পর্যন্ত চার্জশিটভূক্ত ৯২ সাক্ষীর মধ্যে ৪৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন আদালত।

প্রসঙ্গত, ২০১১ সালের ১৭ জুলাই শবে বরাতের রাতে সাভারের আমিনবাজারের বড়দেশী গ্রামের কেবলাচরে ডাকাত সন্দেহে ছয় ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। নিহতরা হলেন- ধানমন্ডির ম্যাপললিফ স্কুলের ‘এ’ লেভেলের ছাত্র শামস রহিম শাম্মাম, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজের হিসাব বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র  ইব্রাহিম খলিল, বাঙলা কলেজের পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তৌহিদুর রহমান পলাশ, তেজগাঁও কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রথম বর্ষের ছাত্র টিপু সুলতান, মিরপুরের বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব বিজনেস অ্যান্ড টেকনোলজির (বিইউবিটি) বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র সিতাব জাবীর মুনিব এবং বাঙলা কলেজের উচ্চ মাধ্যমিকের ছাত্র কামরুজ্জামান কান্ত। সেদিন আল আমিন নামের এক ছাত্র গুরুতর আহত হন।

ঘটনার পর ডাকাতির অভিযোগে আল আমিনসহ নিহতদের নামে সাভার মডেল থানায় মামলা করেন স্থানীয় বালু ব্যবসায়ী আবদুল মালেক।

ওই সময় পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত গ্রামবাসীদের আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করে। এ মামলা তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ৭ জানুয়ারি র‌্যাবের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন আহমেদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

২০১৩ সালের ৮ জুলাই ৬০ জনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন আদালত। ওই ঘটনায় বেঁচে যাওয়া আল আমিনকে ডাকাতি মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। হত্যা মামলার আসামিদের মধ্যে ছয়জন পলাতক, একজন কারাগারে, ৫২ জন জামিনে ও এক আসামি মারা গেছেন।

এ মামলায় ১৪ আসামি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৭/মামুন খান/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়