ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

‘তথ্যপ্রযুক্তির মামলায় পুলিশ প্রতিবেদনের আগে শুনানি নয়’

মেহেদী হাসান ডালিম || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১১:১৩, ২৩ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
‘তথ্যপ্রযুক্তির মামলায় পুলিশ প্রতিবেদনের আগে শুনানি নয়’

নিজস্ব প্রতিবেদক : তথ্যপ্রযুক্তি আইনে করা যেকোনো মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দেওয়ার আগে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল আসামির জামিন আবেদনের শুনানি গ্রহণ করতে পারবে না বলে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মিফতাহ উদ্দিন চৌধুরী ও বিচারপতি এ এন এম বশিরউল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

একই সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এক মামলায় পুলিশ প্রতিবেদন দেওয়ার আগে আসামির জামিনের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করায় ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং শুনানির জন্য গ্রহণ না করায় মাগুরার জেলা ও দায়রা জজকে সতর্ক করা হয়েছে।

এই আদেশের কপি দেশের সব দায়রা জজ আদালত ও চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলার আসামি আহমেদ সবুজকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।

আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল ও অ্যাডভোকেট আমিমুল এহসান জোবায়ের। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জমান কবির।

গতকাল বুধবার তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এক মামলায় আসামির জামিনের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করা না করার প্রশ্নে হাইকোর্টে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেন ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবং মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ।

গত ১৩ মার্চ তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলার এক আসামির জামিন আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করা না করার প্রশ্নে দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা তলব করেন হাইকোর্ট। ওই আদেশ মোতাবেক ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সাইফুল ইসলাম এবং মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান হাইকোর্টে লিখিত ব্যাখ্যা দাখিল করেন।

আদালতে আসামিপক্ষে অ্যাডভোকেট আমিমুল এহসান জুবায়ের এবং রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির শুনানি করেন।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ফেসবুকে সরকারবিরোধী পোস্টকে কেন্দ্র করে ২০১৬ সালের ১০ সেপ্টেম্বর মাগুরার মোহাম্মপুর থানার আহমেদ সবুজ নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
এই মামলায় মাগুরার ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিন আবেদন করা হলে আদালত তা নামঞ্জুর করেন। পরে মাগুরার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করেন আহমেদ সবুজ। কিন্তু দায়রা জজ আদালত একই বছরের ১৭ নভেম্বর এই মামলা শুনানিতে অস্বীকৃতি জানান। এরপর ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালে জামিন আবেদন করলে ২০১৭ সালের ২৬ জানুয়ারি সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে আদেশ দেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন আহমেদ সবুজের আইনজীবী। হাইকোর্ট আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে উক্ত আদেশ দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ এ কে এম মনিরুজ্জামান কবির বলেন, আইন অনুযায়ী যেকোনো মামলার বিচার আমলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের যেকোনো আদেশের বিরুদ্ধে দায়রা জজ আদালত শুনানি গ্রহণ করবেন। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দায়রা জজ ওই জামিন আবেদন শুনানিতে মৌখিকভাবে অস্বীকৃতি জানান। অপরদিকে তথ্যপ্রযুক্তি আইনের যেকোনো মামলা আমলে নেওয়ার আগ পর্যন্ত সাইবার ট্রাইব্যুনাল শুনানি করতে পারেন না। কিন্তু এই মামলা আমলে নেওয়ার আগেই সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শুনানি করেছেন। এসব বিষয়ে দুই বিচারকের কাছে ব্যাখ্যা চান হাইকোর্ট।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ মার্চ ২০১৭/মেহেদী/রফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়