ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

সিলেটে শিববাড়িতে অপারেশন ‘টোয়াইলাইট’

রফিকুল ইসলাম কামাল || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৩:০৬, ২৫ মার্চ ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
সিলেটে শিববাড়িতে অপারেশন ‘টোয়াইলাইট’

নিজস্ব প্রতিবেদক, সিলেট : সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলার শিববাড়ি এলাকার আতিয়া মহলের জঙ্গি আস্তানায় অভিযান শুরু করেছে সেনাবাহিনীর প্যারা-কমান্ডোর বাহিনীর বেশ কিছু সংখ্যক সদস্য।

এ অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছে ‘টোয়াইলাইট’ । শনিবার সকাল সোয়া ৯টার দিকে শুরু হয় এ অভিযান। সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে এ বিষয়টি জানিয়েছেন। তবে এর আগে সোয়াত এ অভিযানের নাম দিয়েছিল ‘অপারেশন স্প্রিং রেইন’।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, সফল অভিযানের জন্য তারা আশাবাদী। অভিযানের নেতৃত্বে আছেন ১৭ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি আছেন মেজর জেনারেল আনোয়ারুল মোমেন। রয়েছে সোয়াত সদস্যরা। এ ছাড়া বাইরে আছেন পুলিশ, র‌্যাব, পিবিআই, ডিবি, এসবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শত শত সদস্য।

এদিকে, সকাল পৌনে ৮টার দিকে আতিয়া মহলের গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া আতিয়া মহলের এক কিলোমিটারের মধ্যে সাংবাদিকসহ কাউকে অবস্থান করতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আশপাশে রাখা হয়েছে সেনাবাহিনীর চারটি বুলেট প্রুফ আর্মারড ভেহিক্যাল, সাজোয়া যান, অ্যাম্বুলেন্স ও ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি।

গত বৃহস্পতিবার ভোর থেকে আতিয়া মহল ঘিরে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। উস্তার আলীর নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন পাঁচতলা ওই ভবনের নিচতলার একটি ফ্ল্যাটে নারীসহ একাধিক ‘জঙ্গি’ রয়েছে বলে ধারণা পুলিশের। ওই ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে নারী ও পুরুষ ‘জঙ্গি’ শুক্রবার দুপুরের পর দ্রুত সোয়াত ফোর্স ‘পাঠাতে বলেছিল’। তারা বলেছিল, ‘তোমরা (পুলিশ) শয়তানের পথে, আমরা আল্লাহর পথে। দেরি কেন, দ্রুত সোয়াত ফোর্স পাঠাও।’

শুক্রবার বিকেল ৪টার কিছু আগে ঢাকা থেকে অতিরিক্ত উপকমিশনার আশিকুর রহমানের নেতৃত্ব ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায় সোয়াত ফোর্স। এর কিছুক্ষণ পর বম্ব ডিসপোজাল ইউনিটও আসে ঘটনাস্থলে। সন্ধ্যার দিকে দুটি অ্যাম্বুলেন্স আনা হয়। রাত ৮টার দিকে ঘটনাস্থলে আসে মেজর রোকন ও মেজর রাব্বির নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর প্যারা কমান্ডো ইউনিটের একটি দল। রাতে সার্চ লাইট দিয়ে আলোকিত করে রাখা হয় পুরো আতিয়া মহল। বাড়ানো হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সংখ্যা। এ ছাড়া সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালের চিকিৎসকদের রাখা হয় প্রস্তুত। তবে ‘জঙ্গিদের’ ফ্ল্যাটে চূড়ান্ত অভিযান আর হয়নি।

এ ছাড়া শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য এক যুবককে আটক করা হয় বলে জানিয়েছিলেন পুলিশ কমিশনার গোলাম কিবরিয়া।

এদিকে, ওই ভবনে আটকা পড়া ২৯টি ফ্ল্যাটের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগ আর আতঙ্কে রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাইরে থেকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করাও সম্ভব হচ্ছে না।

আতিয়া মহলের মালিক উস্তার আলী  জানিয়েছিলেন, প্রায় তিন মাস আগে একটি বেসরকারি কোম্পানির কর্মকর্তা পরিচয়ে নিচতলার ওই ফ্ল্যাট ভাড়া নেন কাওছার ও মর্জিনা নামে দম্পতি।



রাইজিংবিডি/সিলেট/২৫ মার্চ ২০১৭/কামাল/উজ্জল

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়