ঢাকা     বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১২ ১৪৩১

শিশু ও মৃত ব্যক্তিকে আসামি : বাদীর ব্যাখ্যা ৩০ মে

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:৫২, ২৩ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
শিশু ও মৃত ব্যক্তিকে আসামি : বাদীর ব্যাখ্যা ৩০ মে

নিজস্ব প্রতিবেদক : মারধর ও চুরির একটি মামলায় শিশু এবং মৃত ব্যক্তিকে আসামি করায় বাদী হাবিবুর রহমানের ব্যাখ্যার তারিখ পিছিয়ে আগামী ৩০ মে ধার্য করেছেন আদালত।

মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম খুরশীদ আলম বাদীপক্ষের সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এদিন ঠিক করেন।

মঙ্গলবার রাজধানীর মিরপুর থানাধীন ৫৩, মধ্য পাইকপাড়ার ওই বাসিন্দার সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে একজন মৃত ব্যক্তিকে এবং একটি শিশুকে এজাহারে আসামি করার কারণ লিখিতভাবে দর্শানোর জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু লিখিত আকারে ব্যাখ্যা প্রস্তুত না হওয়ায় বাদীপক্ষের আইনজীবী মাইনউদ্দিন মিয়া সময়ের আবেদন করেন। আদালত তা মঞ্জুর করে ব্যাখ্যার তারিখ ৩০ মে ঠিক করেছেন।

এর আগে গত ১৬ মে হাবিবুর রহমানকে আদালতে হাজির হয়ে শিশু এবং মৃত ব্যক্তিকে কেন আসামি করা হয়েছে তার কারণ দর্শানোর নির্দেশ দেওয়া হয়।

এদিকে শিশু এবং মৃত ব্যক্তিকে অভিযোগপত্রে আসামি করায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর মডেল থানার এসআই মারুফুল ইসলামকে সশরীরে আদালতে হাজির হয়ে কারণ দশানোর জন্য আগামি ২৮ মে তারিখ ধার্য রয়েছে।

আদালতের মিরপুর থানা শাখার জিআরও এসআই আলতাফ হোসেন এসব তথ্য জানিয়েছেন।

এদিকে মৃত ব্যক্তি এবং ১১ মাসের শিশুর বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়ার খবর মিডিয়ায় প্রকাশ পাওয়ার পর গত ১৪ মে তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মারুফুল ইসলামকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে ডিএমপির মিরপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) কাজী মাহবুবুল আলম এবং মিরপুর থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) মো. সাজ্জাদ হোসেনকে প্রত্যাহার ও সতর্ক করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রের ওই শিশু রুবেল (১১ মাস) রাজধানীর মিরপুর থানাধীন ৩৩৮ উত্তর পীরেরবাগের আবুল কাশেমের ছেলে। আবুল কাশের নিজেও ওই মামলার আসামি।

অন্যদিকে অভিযোগপত্রে মৃত ব্যক্তি আরিফুর রহমান (৪৫) রাজধানীর মিরপুর থানাধীন ১৭৮/বি মধ্য পাইকপাড়ার মৃত মাহবুব উল্লাহর ছেলে।

মামলার নথিতে দেখা যায়, ২০১৬ সালের ২৬ জুন বাদী মিরপুর থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় মোট ২৩ জনসহ অজ্ঞাতনামা আরও ২০/২৫ জনকে আসামি করা হয়। এজাহারের ২৩ জন জ্ঞাত আসামির মধ্যে শিশু রুবেলের বাবার নাম ২ নম্বরে, মৃত ব্যক্তির নাম ১২ নম্বরে এবং শিশু রুবেলের নাম ২০ নম্বরে দেওয়া আছে। এজাহারে শিশু রুবেলের নামের সঙ্গে পিতার নাম আব্দুল কাশেম এবং বয়স ৩০ উল্লেখ আছে। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মারুফুল ইসলাম তদন্ত শেষে চার্জশিটেও একই ক্রমিক নম্বরের তাদের আসামি হিসেবে রাখেন। এজাহারের জ্ঞাত ২৩ জনের বিরুদ্ধেই তিনি গত ২৭ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

গত ২০ মার্চ আদালত ওই অভিযোগপত্র আমলে নেন এবং অভিযোগপত্রে পলাতক দেখানো শিশু রুবেল এবং মৃত আরিফুর রহমানসহ তিনজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপর গত ৩০ এপ্রিল শিশুকে আদালতে হাজির করেন তার পিতা।

বাদীর মামলার অভিযোগে বলা হয়, ২০১৬ সালের ২৬ জুন ১৬৩, মধ্য পাইকপাড়ার বাদীর বাড়িতে আসামিরা অবৈধভাবে প্রবেশ করে বাড়ি দখলে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাদীও তার পরিবারকে মারধর করে এবং মোবাইল ও স্বর্ণের চেইন চুরি করে নিয়ে যায়।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৩ মে ২০১৭/মামুন খান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়