ঢাকা     শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

নারী পাচারকারী চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

আহমদ নূর || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ১৩:০৭, ২৫ মে ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
নারী পাচারকারী চক্রের তিন সদস্য গ্রেপ্তার

ছবি : শাহীন ভূঁইয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে নারী পাচারকারী চক্রের তিন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. রতন সরকার, মো. সোহেল আহমেদ ও মো. নজরুল ইসলাম।

বৃহস্পতিবার সকাল ৬টার দিকে ফকিরাপুলের ১৮৮/১ ইনার সার্কুলার রোড এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিকেলে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন এ কথা জানান।

তিনি বলেন, প্রলোভন দেখিয়ে গত ২২ এপ্রিল নরসিংদীর মনোহরদি এলাকার একজন নারীকে জর্ডানে পাঠায় দালাল চক্র। তিনি সেখানে পৌঁছার পর চক্রটি তাকে জিম্মি করে। পরে তাকে হত্যার হুমকিসহ শারীরিকভাবে নির্যাতন করে এবং পরিবারের কাছে দুই লাখ ৮০ হাজার টাকা বাংলাদেশে অবস্থানরত চক্রের সদস্য রতন ও সোহেলে কাছে দিতে বলে। ভিকটিমের মা লাভলী বেগম বিষয়টি মনোহরদি থানায় জানিয়ে সাধারণ ডায়েরি করলে ডিবি পশ্চিম তদন্ত শুরু করে। কিছুদিন আগে ডিবি পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিম আধুনিক প্রযুক্তি ও বিশেষ কৌশল প্রয়োগ করে জর্ডানে আটককারীদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে ভিকটিমকে জর্ডান থেকে বাংলাদেশে ফেরত আনায়।

পুলিশের কাছে ভিকটিম জানিয়েছেন, জর্ডানে তাকে মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে অসামাজিক কার্যকলাপ করতে চাপ প্রয়োগ করা হয়েছিল।

আব্দুল বাতেন বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা আর্ন্তজাতিক মানবপাচারকারি দলের সক্রিয় সদস্য বলে প্রাথমিকভাবে আমরা নিশ্চিত হতে পেরেছি। তারা সবাই ট্র্যাভেল এজেন্ট হিসেবে নিজেদের পরিচয় দেন।

তিনি বলেন, বিদেশে কাউকে পাঠানোর একমাত্র অধিকার রাখে রিক্রুট এজেন্সি। কিন্তু সম্প্রতি ট্র্যাভেল এজেন্টরাও বিদেশে শ্রমিক পাঠাচ্ছেন। কিন্তু আইন অনুযায়ী তারা তা পারেন না। ট্র্যাভেল এজেন্সিগুলোকে শুধুমাত্র বিমানের টিকিট বিক্রি করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

আব্দুল বাতেন বলেন, আমাদের অর্থনীতির বড় একটি অংশ রেমিট্যান্স থেকে আসে। আর রেমিট্যান্সের টাকা পাঠান প্রবাসী বাঙালিরা। আগে পুরুষরা বিদেশে শ্রমিক হিসেবে গেলেও সম্প্রতি নারীরা প্রবাসে যাওয়া শুরু করেছেন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে নারী পাচারকারী চক্র অনেক সক্রিয়। তারা বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নারীদের বিদেশে পাঠায়। সেখানে তাদের শারিরীক ও মাসসিকভাবে নির্যাতন করা হয়। এমনকি তাদের জিম্মি করে বাংলাদেশ থেকে মুক্তিপণ আদায় করা হয়।

বিদেশে নারী শ্রমিক হিসেবে যাওয়ার আগে সবাইকে আরো সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন আব্দুল বাতেন।



রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৫ মে ২০১৭/নূর/সাইফ

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়