ছিনতাই মামলা : এএসআই আলমগীরের জামিন নাকচ
আলমগীর হোসেন
নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মামলায় উত্তরা পূর্ব থানার এএসআই আলমগীর হোসেনের জামিনের আবেদন নাকচ করেছেন আদালত।
রোববার ঢাকার দ্রুত বিচার আদালতের বিচারক সাজ্জাদুর রহমান জামিন নামঞ্জুরের আদেশ দেন।
ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বলেন, মামলায় গত ৬ এপ্রিল আলমগীর হোসেনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। রিমান্ড শেষে গত ৯ এপ্রিল তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। এর আগে গত ৬ এপ্রিল মামলার অপর আসামি মাসুম বিল্লাহ (৪৩) আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি প্রদান করেন।
মাসুম বিল্লাহ জবানবন্দিতে বলেন, ছিনতাইয়ের সময় এএসআই আলমগীর হোসেনও তার সঙ্গে ছিলেন এবং ডিবি পুলিশ পরিচয়ে ভিকটিমকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ছিনতাই করা ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকার সমপরিমাণের ইউএস ডলারে মধ্যে ৪ লাখ টাকার সমপরিমাণ ইউএস ডলার এএসআই আলমগীর নিয়েছেন।
নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার খাসিয়া মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মো. ইলিয়াস (৩০) মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন, তিনি লতিফ ইম্পেরিয়াল মার্কেটস্থ এইচএস মানি এক্সচেঞ্জের মালিক। গত ৪ এপ্রিল বিকেল ৩টার দিকে তিনি রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ ঢাকা মেট্টো-গ-১৯-০৯৭০ নম্বরের সাদা একটি প্রাইভেটকার তার সামনে এসে থামে। গাড়ি থেকে কয়েকজন লোক নেমে ডিবি পুলিশ পরিচয়ে দিয়ে তাকে গাড়িতে তোলেন। এরপর তারা মানি এক্সচেঞ্জের ১৮ হাজার ৮শ ইউএস ডলার (১৫ লাখ চার হাজার টাকা) ছিনিয়ে নেয়। ওই সময় ইলিয়াসের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে তারা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু উপস্থিত লোকজন মাসুম বিল্লাহকে আটক করে এবং অপর চারজন পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ মাসুম বিল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি এই ঘটনায় এএসআই আলমগীর হোসেন, জনৈক হাবিব ডলার, রাশেদ ও সুমান জড়িত বলে জানান। মাসুম বিল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে এএসআই আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, পুলিশ সদস্য আলমগীর যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানার কৃত্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে মাসুম বিল্লাহর বাড়ি ঢাকার দোহার থানার উত্তর শিমুলিয়া গ্রামে।
রাইজিংবিডি/ঢাকা/২৮ মে ২০১৭/মামুন খান/উজ্জল
রাইজিংবিডি.কম
আরো পড়ুন