ঢাকা     শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ||  বৈশাখ ৬ ১৪৩১

পুলিশের এএসআইসহ দুজনের বিচার শুরু

মামুন খান || রাইজিংবিডি.কম

প্রকাশিত: ০৯:৫৩, ১৯ জুন ২০১৭   আপডেট: ০৫:২২, ৩১ আগস্ট ২০২০
পুলিশের এএসআইসহ দুজনের বিচার শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক : প্রায় ১৫ লাখ টাকা ছিনতাইয়ে দ্রুত বিচার আইনের একটি মামলায় পুলিশের এএসআইসহ দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক বিচার শুরু হয়েছে।

সোমবার ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত-৩ এর  বিচারক সাজ্জাদুর রহমান অভিযোগ গঠনের আদেশ দেন।

মামলায় আসামিরা হলেন- উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের এএসআই আলমগীর হোসেন এবং মাছুম বিল্লাহ।

ওই আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান বলেন, অভিযোগ গঠনকালে আসামিরা আদালতে হাজির ছিলেন। তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে ন্যায়বিচার প্রার্থনা করলে বিচারক আগামী ৫ জুলাই সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য দিন ধার্য করেন। তাদের জামিনের আবেদন করা হলে বিচারক তা নাকচ করে দেন।

মামলাটিতে গত ৬ এপ্রিল আলমগীর হোসেনের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়। ওই রিমান্ড শেষে গত ৯ এপ্রিল আসামিকে কারাগারে পাঠায় আদালত। আর ৬ এপ্রিল মামলার অপর আসামি মাসুম বিল্লাহ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন।

মাসুম বিল্লাহ জবানবন্দিতে বলেছেন, ছিনতাইয়ের সময় এএসআই আলমগীর হোসেনও তার সঙ্গে ছিলেন এবং ডিবি পরিচয়ে ভিকটিমকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। ছিনতাই করা ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকার সমপরিমাণের ইউএস ডলারের মধ্যে ৪ লাখ টাকার সমপরিমাণের ইউএস ডলার এএসআই আলমগীর নিয়েছেন মর্মেও বলেছেন।

নড়াইল জেলার নড়াগাতি থানার খাসিয়া মধ্যপাড়ার বাসিন্দা মো. ইলিয়াস (৩০) এ মামলার এজাহারে অভিযোগ করেন, তিনি লতিফ ইম্পেরিয়াল মার্কেটস্থ এইচএস মানি এক্সচেঞ্জের মালিক। গত ৪ এপ্রিল বেলা ৩টার দিকে তিনি রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। হঠাৎ ঢাকা মেট্রো-গ-১৯-০৯৭০ নম্বরের সাদা একটি প্রাইভেটকার তার সামনে থামে। গাড়ি থেকে কয়েকজন লোক নেমে ডিবি পরিচয় দিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। এক পর্যায়ে কালো কাপড় দিয়ে তার চোখ বাঁধে। এরপর তারা তার কাছে থাকা মানি এক্সচেঞ্জের ১৮ হাজার ৮০০ ইউএস ডলার যার বর্তমান বাংলাদেশের বাজার মূল্য ১৫ লাখ চার হাজার টাকা, তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। ওই সময় ইলিয়াসের ডাক-চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে আসামিরা তাদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু উপস্থিত জনতা গাড়ি আটকে মাসুম বিল্লাহকে আটক করে এবং অপর চারজন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মাসুম বিল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এ ঘটনায় পালিয়ে যাওয়া আসামি এএসআই আলমগীর হোসেন, জনৈক হাবিব ডলার, রাশেদ ও সুমন বলে জানায়। পুলিশ মাসুম বিল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে এএসআই আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে।

উল্লেখ্য, পুলিশ সদস্য আলমগীর যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানাধীন কৃত্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে মাসুম বিল্লাহর বাড়ি ঢাকার দোহার থানাধীন উত্তর শিমুলিয়া গ্রামে।

 

 

রাইজিংবিডি/ঢাকা/১৯ জুন ২০১৭/মামুন খান/মুশফিক

রাইজিংবিডি.কম

আরো পড়ুন  



সর্বশেষ

পাঠকপ্রিয়