গৃহবধূকে ধর্ষণ: আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল : বরিশালের বানারীপাড়ায় চাঁদার টাকা না পেয়ে স্বামীকে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সুমন মোল্লা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

সোমবার বিকেলে বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন মোল্লাকে অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ।

বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন জানান, আদালতের বিচারক মো. শিহাবুল ইসলামের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছেন সুমন মোল্লা। এরপর তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। এ সময় ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধূর স্বামী ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী আনোয়ারা বেগমের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। আর গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে অটো রিকশা চালাতে গিয়ে আট/নয় মাস আগে ওই ব্যক্তি দ্বিতীয় বিয়ে করেন। কয়েক দিন আগে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে নানা বাড়ি বানারীপাড়া উপজেলার সলিয়াবাকপুর ইউনিয়নের বেতাল গ্রামে বেড়াতে আসেন। এ সময় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুমন মোল্লা দলবল নিয়ে তাদের কাছে চাঁদা দাবি করেন। শনিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে বের হলে সুমন মোল্লা ও তার সহযোগীরা দুইজনকে ধরে নিয়ে স্বামীকে আটকে রেখে তাদের বিয়ের কাবিননামা দেখতে চান। এই অজুহাতে এক বাড়িতে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণ করেন। স্থানীয় চেয়ারম্যান বিষয়টি পুলিশকে জানালে পুলিশ গিয়ে রোববার বেলা ১১টার দিকে তাদের উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। এ দিন বিকেলে ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

পুলিশ প্রধান আসামিকে বরিশাল নগরী থেকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে বলে জানিয়েছেন ওসি মো. সাজ্জাদ হোসেন।

উজিরপুর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. শাহাবুদ্দিন কবির বলেন, মামলা দায়েরের ছয় ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ আসামি ধরতে সক্ষম হয়েছেন। তারা বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখছেন।

ধর্ষণের ঘটনায় বানারীপাড়া থানায় মামলা হওয়ার পর বরিশাল জেলা ছাত্রলীগের এক জরুরি সভায় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের কাছে সুমন মোল্লাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়। পরে তাকে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক।



রাইজিংবিডি/বরিশাল/১৭ জুলাই ২০১৭/জে. খান স্বপন/বকুল